৬০/৪০. অধ্যায়ঃ

মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ আর আমি দাঊদকে দান করলাম সুলাইমান। সে ছিল অতি উত্তম বান্দা। তিনি তো ছিলেন অতিশয় আল্লাহ অভিমুখী। (সোয়াদ ৩০)

------ অর্থ গোনাহ হতে ফিরে যে আল্লাহ্‌ অভিমুখী হয়। মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ তিনি প্রার্থনা করলেনঃ হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে এমন রাজ্য দান করুন, যা আমি ছাড়া আর কারও ভাগ্যে না জোটে- (সোয়াদ ৩৫)। মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ তারা তা অনুসরণ করল যা শয়তানরা আবৃত্তি করত সুলাইমানের রাজত্বকালে- (আল-বাকারা ১০২) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ আমি বায়ুকে সুলাইমানের অধীন করে দিলাম যা সকালে একমাসের পথ অতিক্রম করত এবং বিকালে একমাসের পথ অতিক্রম করত। আর আমি তার জন্য বিগলিত তামার এক প্রস্রবণ প্রবাহিত করেছিলাম। ---- অর্থ বিগলিত করে দিলাম ---- অর্থ লোহার প্রস্রবণ-আর কতক জ্বিন তাঁর রবের নির্দেশে তার সামনে কাজ করত। তাদের যে কেউ আমার আদেশ অমান্য করে, তাকে জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি আস্বাদন করাব। জ্বিনেরা সুলাইমানের ইচ্ছানুযায়ী তার জন্য প্রাসাদ তৈরি করত। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, ------- অর্থ বড় বড় দালানের তুলনায় ছোট ইমারত-ভাস্কর্য শিল্প প্রস্তুত করতো, আর হাউজ সদৃশ বৃহদাকার রান্না করার পাত্র তৈরি করতো- যেমন উটের জন্য হাওম থাকে। ইব্‌নু আব্বাস (রাঃ) বলেন, যেমন যমীনে গর্ত থাকে। আর তৈরি বিশাল বিশাল ডেকচি যা সুদৃঢ়ভাবে স্থাপিত। হে দাঊদের পরিবার! আমার কৃতজ্ঞতার সঙ্গে তোমরা কাজ কর। আর আমার বান্দাগনের মধ্যে অল্পই শুকুর গুযারী করে- (সাবা ১২-১৩)। ------------ কেবল মাটির পোকা অর্থাৎ উই পোকা যা তার (সুলাইমানের) লাঠি খেতেছিল। ----- তার লাঠি। যখন সে (সুলাইমান) পড়ে গেল.....লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তিতে- (সাবা ১৪) মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ সম্পদের মোহে আমার রবের স্মরণ থেকে- আয়াতাংশে ---- অর্থ ---------- অর্থ তিনি [(সুলাইমান (‘আঃ)] ঘোড়াগুলোর গর্দানসমূহ ও তাদের হাঁটুর নলাসমূহ কাটতে লাগলেন। ---- অর্থ, শৃঙ্খলসমূহ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, ---- অর্থ, দৌড়ের জন্য প্রস্তুত ঘোড়াসমূহ। এ অর্থ ---------- হতে গৃহীত। ঘোড়া যখন দৌড়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে এক পা উঠিয়ে অন্য পায়ের খুরার উপর দাঁড়িয়ে যায়, তখন এ বাক্য বলা হয়। ------- অর্থ দ্রুতগামী , ---- শয়তান --- উত্তম ----------- যেখানে ইচ্ছা ---- দান কর ----------- নির্দ্বিধায়। (সদ ৩১-৩৮)

সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৩৪২৫

حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ أَىُّ مَسْجِدٍ وُضِعَ أَوَّلُ قَالَ ‏"‏ الْمَسْجِدُ الْحَرَامُ ‏"‏‏.‏ قُلْتُ ثُمَّ أَىٌّ قَالَ ‏"‏ ثُمَّ الْمَسْجِدُ الأَقْصَى ‏"‏‏.‏ قُلْتُ كَمْ كَانَ بَيْنَهُمَا قَالَ ‏"‏ أَرْبَعُونَ ‏"‏‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ حَيْثُمَا أَدْرَكَتْكَ الصَّلاَةُ فَصَلِّ، وَالأَرْضُ لَكَ مَسْجِدٌ ‏"‏‏.‏

আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সর্বপ্রথম কোন্‌ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বললেন, মসজিদে হারাম। আমি বললাম, অতঃপর কোনটি? তিনি বললেন, মসজিদে আক্‌সা। আমি বললাম, এ দু'য়ের নির্মাণের মাঝখানে কত তফাৎ? তিনি বললেন, চল্লিশ (বছরের) [১] (অতঃপর তিনি বললেন), যেখানেই তোমার সালাতের সময় হবে, সেখানেই তুমি সালাত আদায় করে নিবে। কারণ পৃথিবীটাই তোমার জন্য মসজিদ।

[১] এ দু মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন আদম (‘আঃ)। দু মসজিদের ভিত্তি স্থাপনে ব্যবধান ছিল ৪০ বছর।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন