৫৬/১১৩. অধ্যায়ঃ
কোন ব্যক্তি কর্তৃক ইমামের অনুমতি গ্রহণ।
আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ মু‘মিন তো তারাই যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান রাখে এবং যখন তারা কোন সমষ্টিগত কাজে রসূলের সাথে সমবেত হয় তখন তারা তাঁর অনুমতি ব্যতিরেকে চলে যায় না। (নূর ৬২)
সহিহ বুখারী : ২৯৬৭
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ২৯৬৭
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ أَخْبَرَنَا جَرِيْرٌ عَنْ الْمُغِيْرَةِ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ غَزَوْتُ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ قَالَ فَتَلَاحَقَ بِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا عَلَى نَاضِحٍ لَنَا قَدْ أَعْيَا فَلَا يَكَادُ يَسِيْرُ فَقَالَ لِيْ مَا لِبَعِيْرِكَ قَالَ قُلْتُ عَيِيَ قَالَ فَتَخَلَّفَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَزَجَرَهُ وَدَعَا لَهُ فَمَا زَالَ بَيْنَ يَدَيْ الْإِبِلِ قُدَّامَهَا يَسِيْرُ فَقَالَ لِيْ كَيْفَ تَرَى بَعِيْرَكَ قَالَ قُلْتُ بِخَيْرٍ قَدْ أَصَابَتْهُ بَرَكَتُكَ قَالَ أَفَتَبِيْعُنِيْهِ قَالَ فَاسْتَحْيَيْتُ وَلَمْ يَكُنْ لَنَا نَاضِحٌ غَيْرُهُ قَالَ فَقُلْتُ نَعَمْ قَالَ فَبِعْنِيْهِ فَبِعْتُهُ إِيَّاهُ عَلَى أَنَّ لِيْ فَقَارَ ظَهْرهِ حَتَّى أَبْلُغَ الْمَدِيْنَةَ قَالَ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنِّيْ عَرُوسٌ فَاسْتَأْذَنْتُهُ فَأَذِنَ لِيْ فَتَقَدَّمْتُ النَّاسَ إِلَى الْمَدِيْنَةِ حَتَّى أَتَيْتُ الْمَدِيْنَةَ فَلَقِيَنِيْ خَالِيْ فَسَأَلَنِيْ عَنْ الْبَعِيْرِ فَأَخْبَرْتُهُ بِمَا صَنَعْتُ فِيْهِ فَلَامَنِيْ قَالَ وَقَدْ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِيْ حِيْنَ اسْتَأْذَنْتُهُ هَلْ تَزَوَّجْتَ بِكْرًا أَمْ ثَيِّبًا فَقُلْتُ تَزَوَّجْتُ ثَيِّبًا فَقَالَ هَلَا تَزَوَّجْتَ بِكْرًا تُلَاعِبُهَا وَتُلَاعِبُكَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ تُوُفِّيَ وَالِدِيْ أَوْ اسْتُشْهِدَ وَلِيْ أَخَوَاتٌ صِغَارٌ فَكَرِهْتُ أَنْ أَتَزَوَّجَ مِثْلَهُنَّ فَلَا تُؤَدِّبُهُنَّ وَلَا تَقُومُ عَلَيْهِنَّ فَتَزَوَّجْتُ ثَيِّبًا لِّتَقُومَ عَلَيْهِنَّ وَتُؤَدِّبَهُنَّ قَالَ فَلَمَّا قَدِمَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِيْنَةَ غَدَوْتُ عَلَيْهِ بِالْبَعِيْرِ فَأَعْطَانِيْ ثَمَنَهُ وَرَدَّهُ عَلَيَّ قَالَ الْمُغِيْرَةُ هَذَا فِيْ قَضَائِنَا حَسَنٌ لَا نَرَى بِهِ بَأْسًا
জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে এক যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করি। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছুক্ষণ পরে এসে আমার সঙ্গে মিলিত হন; আমি তখন আমার পানি-সেচের উটনীর উপর আরোহী ছিলাম। উটনী ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল; এটি মোটেই চলতে পারছিল না। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার উটের কী হয়েছে? আমি বললাম, ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উটনীর পেছন দিক থেকে গিয়ে উটনীকে হাঁকালেন এবং এটির জন্য দু‘আ করলেন। অতঃপর এটি সবক’টি উটের আগে আগে চলতে থাকে। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, এখন তোমার উটনীটি কেমন মনে হচ্ছে? আমি বললাম, ভালই। এটি আপনার বরকত লাভ করেছে। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি কি এটি আমার নিকট বিক্রয় করবে? তিনি বলেন, আমি মনে মনে লজ্জাবোধ করলাম। (কারণ) আমার নিকট এ উটটি ব্যতীত পানি বহনের অন্য কোন উটনী ছিল না। আমি বললাম, হ্যাঁ। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাহলে আমার নিকট বিক্রয় কর। অনন্তর আমি উটনীটি তাঁর নিকট এ শর্তে বিক্রয় করলাম যে, মদীনায় পৌঁছা পর্যন্ত এর উপর আরোহণ করব। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি সদ্য বিবাহিত একজন পুরুষ। অতঃপর আমি তাঁর নিকট অনুমতি চাইলাম। তিনি আমাকে অনুমতি দিলেন। আমি লোকদের আগে আগে চললাম এবং মদীনায় পৌঁছে গেলাম। তখন আমার মামা আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। তিনি আমাকে উটনীর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। আমি তাকে সে বিষয়ে অবহিত করলাম যা আমি করেছিলাম। তিনি আমাকে তিরস্কার করলেন। তিনি (রাবী) বলেন, আর যখন আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট অনুমতি চেয়েছিলাম, তখন তিনি আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, তুমি কি কুমারী বিবাহ করেছ, না এমন মহিলাকে বিবাহ করেছ যার পূর্বে বিবাহ হয়েছিল? আমি বললাম, এমন মহিলাকে বিবাহ করেছি যার পূর্বে বিবাহ হয়েছে। তিনি বললেন, তুমি কুমারী বিবাহ করলে না কেন? তুমি তার সঙ্গে খেলা করতে এবং সেও তোমার সঙ্গে খেলা করত। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমার পিতা শহীদ হয়েছেন। আমার কয়েকজন ছোট ছোট বোন রয়েছে। তাই আমি তাদের সমান বয়সের কোন মেয়ে বিবাহ করা পছন্দ করিনি; যে তাদেরকে আদব-আখলাক শিক্ষা দিতে পারবে না এবং তাদের দেখাশোনা করতে পারবে না। তাই আমি একজন পূর্বে বিবাহ হয়েছে এমন মহিলাকে বিবাহ করেছি; যাতে সে তাদের দেখাশোনা করতে পারে এবং তাদেরকে আদব-আখলাক শিক্ষা দিতে পারে। তিনি বলেন, যখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনায় আসেন, পরদিন আমি তাঁর নিকট উটনীটি নিয়ে উপস্থিত হলাম। তিনি আমাকে এর মূল্য দিলেন এবং উটটিও ফেরত দিলেন। মুগীরাহ (রাঃ) বলেন, আমাদের বিবেচনায় এটি উত্তম। আমরা এতে কোন দোষ মনে করি না।