৫২/২৬. অধ্যায়ঃ
কেমনভাবে শপথ করানো হবে?
মহান আল্লাহর বাণী : “তারা আল্লাহর নামে কসম করে বলবে” অতঃপর তারা আপনার নিকট এসে আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে আমরা কল্যাণ এবং সম্প্রীতি ব্যতীত অন্য কিছুই চাই না- (সূরা আন-নিসা : ৬২) । তারা আল্লাহর নামে শপথ করে যে, তারা তোমাদেরই অন্তর্ভুক্ত- (সূরা আত্-তাওবাহ : ৫৬)। তারা তোমাদেরকে সন্তুষ্ট করার জন্য তোমাদের নিকট আল্লাহর শপথ করে- (সূরা আত্-তাওবাহ : ৬২)।তারা উভয়ে আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে, আমাদের সাক্ষ্য অবশ্যই তাদের সাক্ষ্য হতে অধিকতর সত্য- (সূরা আল-মায়িদাহ : ১০৭)। কসম করার জন্য ব্যবহৃত হয় বিল্লাহি, তাল্লাহি, ওয়াল্লাহি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আর যে ব্যক্তি ‘আসরের পর আল্লাহর নামে মিথ্যা শপথ করে। আল্লাহ ব্যতীত আর কারো নামে শপথ করা যাবে না ।
সহিহ বুখারী : ২৬৭৮
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ২৬৭৮
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ طَلْحَةَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ، يَقُولُ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا هُوَ يَسْأَلُهُ عَنِ الإِسْلاَمِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَمْسُ صَلَوَاتٍ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ ". فَقَالَ هَلْ عَلَىَّ غَيْرُهَا قَالَ " لاَ، إِلاَّ أَنْ تَطَّوَّعَ ". فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَصِيَامُ رَمَضَانَ ". قَالَ هَلْ عَلَىَّ غَيْرُهُ قَالَ " لاَ، إِلاَّ أَنْ تَطَّوَّعَ ". قَالَ وَذَكَرَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الزَّكَاةَ. قَالَ هَلْ عَلَىَّ غَيْرُهَا قَالَ " لاَ، إِلاَّ أَنْ تَطَّوَّعَ ". فَأَدْبَرَ الرَّجُلُ وَهْوَ يَقُولُ وَاللَّهِ لاَ أَزِيدُ عَلَى هَذَا وَلاَ أَنْقُصُ. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَفْلَحَ إِنْ صَدَقَ ".
ত্বলহা ইবনু উবায়দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একলোক রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে তাঁকে ইসলাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে লাগল। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, দিনে-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সলাত। সে বলল, আমার উপর আরও কিছু ওয়াজিব আছে? তিনি বললেন, না, নেই ৷ তবে নফল হিসাবে পড়তে পার। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আর রমাযান মাসের সিয়াম। সে জিজ্ঞেস করল, আমার উপর এ ছাড়া আরও কিছু ওয়াজিব আছে? তিনি বললেন, না, নেই৷ তবে নফল হিসাবে পালন করতে পার। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে যাকাতের কথা বললেন; সে জানতে চাইল, আমার উপর এছাড়া আরও কিছু ওয়াজিব আছে? তিনি বললেন, না, নেই। তবে নফল হিসাবে করতে পার। অতঃপর সে ব্যক্তিটি এই বলে প্রস্থান করল, আল্লাহর কসম! এতে আমি কোন কম-বেশী করব না। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সত্য বলে থাকলে সে সফল হয়ে গেল।