৫২/২০. অধ্যায়ঃ
মালামাল ও শরীয়াত নির্ধারিত দন্ডের ক্ষেত্রে বিবাদীর শপথ করা।
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাকে দু’জন সাক্ষী পেশ করতে হবে কিংবা তার (বিবাদীর) কসম করতে হবে। কুতায়বা (রহঃ) বলেন, সুফইয়ান (রহঃ) ইবনু শুবরুমা (রহঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, আবূ যিনাদ (রহঃ) সাক্ষীর সাক্ষ্য এবং বাদীর কসমের ব্যাপারে আমার সঙ্গে আলোচনা করলেন। আমি তাকে বললাম, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন : সাক্ষীদের মধ্যে যাদের উপর তোমরা রাজী, তাদের মধ্যে দু’জন পুরুষ সাক্ষী রাখবে, যদি পুরুষ না থাকে তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রী লোক, স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভূল করলে তাদের অপরজন স্মরণ করিয়ে দেবে-(সুরা আল-বাকারাহ : ২৮২)। আমি বললাম একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য আর বাদীর কসম যথেষ্ট হলে এক মহিলা অপর মহিলাকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার কী প্রয়োজন আছে? এই অপর মহিলাটির স্মরণ করাতে কী কাজ হবে?
সহিহ বুখারী : ২৬৭০
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ২৬৭০
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ يَسْتَحِقُّ بِهَا مَالاً لَقِيَ اللَّهَ وَهْوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ، ثُمَّ أَنْزَلَ اللَّهُ تَصْدِيقَ ذَلِكَ {إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَأَيْمَانِهِمْ} إِلَى {عَذَابٌ أَلِيمٌ}. ثُمَّ إِنَّ الأَشْعَثَ بْنَ قَيْسٍ خَرَجَ إِلَيْنَا فَقَالَ مَا يُحَدِّثُكُمْ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَحَدَّثْنَاهُ بِمَا، قَالَ، فَقَالَ صَدَقَ لَفِيَّ أُنْزِلَتْ، كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَ رَجُلٍ خُصُومَةٌ فِي شَىْءٍ، فَاخْتَصَمْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " شَاهِدَاكَ أَوْ يَمِينُهُ ". فَقُلْتُ لَهُ إِنَّهُ إِذًا يَحْلِفُ وَلاَ يُبَالِي. فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ يَسْتَحِقُّ بِهَا مَالاً وَهْوَ فِيهَا فَاجِرٌ لَقِيَ اللَّهَ وَهْوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ ". فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَصْدِيقَ ذَلِكَ، ثُمَّ اقْتَرَأَ هَذِهِ الآيَةَ.
‘আবদুল্লাহ (ইবনু মাস‘উদ) (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে এমন (মিথ্যা) কসম করে, যা দ্বারা মাল প্রাপ্ত হয়। সে (ক্বিয়ামাতের দিন) আল্লাহর সঙ্গে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে যে, আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট, অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা উক্ত বর্ণনার সমর্থনে আয়াত নাযিল করেন : যারা আল্লাহর সঙ্গে কৃত ওয়াদা এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করে ........ তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক আযাব- (সূরা আল ইমরান : ৭৭)। অতঃপর আশ‘আস ইবনু কায়স (রাঃ) আমাদের নিকট বেরিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন, আবূ ‘আবদুর রহমান (রহঃ) তোমাদের কী হাদীস শুনিয়েছেন? আমরা তাঁর বর্ণিত হাদীসটি তাঁকে শুনালাম। তিনি বললেন, তিনি (ইবনু মাস‘উদ) ঠিকই বলেছেন। আমার ব্যাপারেই আয়াতটি নাযিল হয়েছে। কিছু একটা নিয়ে আমার সঙ্গে এক ইয়াহূদী ব্যক্তির বিবাদ ছিল। আমরা উভয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আমাদের বিবাদ উত্থাপন করলাম। তখন তিনি বললেন, তোমাকে দু’জন সাক্ষী পেশ করতে হবে অথবা তাকে কসম করতে হবে। তখন আমি বললাম, তবে তো সে মিথ্যা কসম করতে দ্বিধা করবে না। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, কেউ যদি এমন কসম করে, যার দ্বারা মাল প্রাপ্ত হয় এবং সে যদি উক্ত ব্যাপারে মিথ্যাচারী হয়, তা হলে (কিয়ামতের দিন) সে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে এমন অবস্থায় যে, আল্লাহ তার উপরে অসন্তুষ্ট থাকবেন। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা এ বর্ণনার সমর্থনে আয়াত নাযিল করেন। এ কথা বলে তিনি এ আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন।