৪৬/১১. অধ্যায়ঃ
যদি কেউ কারো যুল্ম বা অন্যায় মাফ করে দেয়, তবে সেই যুল্মের জন্য পুনরায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা চলবে না।
সহিহ বুখারী : ২৪৫০
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ২৪৫০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها – {وَإِنِ امْرَأَةٌ خَافَتْ مِنْ بَعْلِهَا نُشُوزًا أَوْ إِعْرَاضًا} قَالَتِ الرَّجُلُ تَكُونُ عِنْدَهُ الْمَرْأَةُ، لَيْسَ بِمُسْتَكْثِرٍ مِنْهَا، يُرِيدُ أَنْ يُفَارِقَهَا، فَتَقُولُ أَجْعَلُكَ مِنْ شَأْنِي فِي حِلٍّ. فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِي ذَلِكَ.
‘আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
“কোন স্ত্রী যদি স্বামীর অবজ্ঞা ও উপেক্ষার ভয় করে” - (আন-নিসা : ১২৮) আয়াতের তাফসীর প্রসঙ্গে তিনি [‘আয়িশা (রাঃ)] বলেন, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর কাছে বেশি যাওয়া-আসা করত না বরং তাকে পরিত্যাগ অর্থাৎ তালাক দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করত। [১৯] এ অবস্থায় স্ত্রী বলল, আমি তোমাকে আমার ব্যাপারে দায়মুক্ত করে দিলাম। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়।
[১৯] যে কোন কারনে স্বামীর উপেক্ষার শিকার হয়ে স্ত্রী যদি মনে করে যে, সে তালাকপ্রাপ্তা হলে আশ্রয়হীনা হয়ে পড়বে বা তার সন্তানাদি মাতৃহারা হয়ে যাবে তখন এ সকল বড় বিপদের হাত থেকে রেহাই পাবার জন্য সে তার ন্যায্য অধিকার ছাড় দিয়ে হলেও স্ত্রী হিসেবে থাকাকে অধিকতর শ্রেয় মনে করতে পারে।