৩০/৩৯. অধ্যায়ঃ
“আর (সওম) যাদের জন্য অতিশয় কষ্ট দেয়, তাদের করণীয়, তারা এর বদলে ফিদইয়া হিসেবে একজন মিসকীনকে খাদ্য দেবে ।” (আল-বাকারাহ : ১৮৪)
ইব্নু ‘উমার (রাঃ) এবং সালামাহ ইব্নু আকওয়া’ (রাঃ) বলেন যে, উক্ত আয়াতকে রহিত করেছে এ আয়াত : “ রমযান মাস, এ মাসেই কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে, যা মানুষের জন্য হিদায়াত, সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন এবং সত্যাসত্যের পার্থক্যকারী । সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে । তবে কেউ অসুস্থ হলে কিংবা সফরে থাকলে সে অন্য সময়ে সওম এর সংখ্যা পূরণ করে দিবে । আল্লাহ চান তোমাদের জন্য সহজ করতে, তিনি এমন কিছু চান না যা তোমাদের জন্য কষ্টকর । যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তোমাদের সৎপথে পরিচালিত করার দরুন আল্লাহর মহিমা বর্ণনা কর এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পার ।” (আল-বাকারাহ : ১৮৫)ইব্নু নুমাইর (রহঃ) ইব্নু আবূ লায়লা (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীগণ আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন, রমযানের হুকুম নাযিল হলে তা পালন করা তাঁদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায় । তাই তাঁদের মধ্যে কেউ সওম পালনে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও সওম ত্যাগ করে প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাওয়াতো। এ ব্যাপারে তাদের অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল । (আরবী) ‘আর সওম পালন করাই তোমাদের জন্য উত্তম, এ আয়াতটি পূর্বের হুকুমকে রহিত করে দেয় এবং সবাইকে সওম পালনের নির্দেশ দেয়া হয়।
সহিহ বুখারী : ১৯৪৯
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ১৯৪৯
حَدَّثَنَا عَيَّاشٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَرَأَ {فِدْيَةٌ طَعَامُ مَسَاكِينَ} قَالَ هِيَ مَنْسُوخَةٌ
ইব্নু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি فِدْيَةٌ طَعَامُ مَسَاكِينَ আয়াতটি পড়ে বলেছেন যে, ইহা মানসূখ (রহিত)।