৩০/২৫. অধ্যায়ঃ
সায়িমের গোসল করা ।
সওমরত অবস্থায় ইব্নু উমার (রাঃ) একটি কাপড় ভিজালেন এরপর তা গায়ে দেয়া হলো । সওমরত অবস্থায় শাবী (রহঃ) গোসলখানায় প্রবেশ করেছেন । ইব্নু আব্বাস (রাঃ) বলেন, হাঁড়ি হতে কিছু বা অন্য কোন জিনিস চেটে স্বাদ দেখায় দোষ নেই । হাসান (রহঃ) বলেন, সওম পালনকারীর কুলি করা এবং ঠাণ্ডা লাগান দূষণীয় নয় । ইব্নু মাস‘উদ (রাঃ) বলেন, তোমাদের কেউ সওম পালন করলে সে যেন সকালে তেল লাগায় এবং চুল আঁচড়িয়ে নেয় । আনাস (রাঃ) বলেন, আমার একটি হাউস আছে, আমি সায়িম অবস্থায় তাতে প্রবেশ করি । নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত যে, তিনি সায়িম অবস্থায় মিস্ওয়াক করতেন । ইব্নু ‘উমার (রাঃ) সায়িম অবস্থায় দিনের প্রথমভাগে এবং শেষভাগে মিস্ওয়াক করতেন । আত্বা (রহঃ) বলেন, থুথু গিলে ফেললে সওম ভঙ্গ হয়েছে বলা যায় না । ইব্নু সীরীন (রহঃ) বলেন, কাঁচা মিস্ওয়াক ব্যবহারে কোন দোষ নেই । প্রশ্ন করা হল, কাঁচা মিস্ওয়াকের তো স্বাদ রয়েছে? তিনি বলেন, পানিরও তো স্বাদ আছে, অথচ এ পানি দিয়েই তুমি কুলি কর । আনাস (রাঃ), হাসান (রহঃ) এবং ইবরাহীম (রহঃ) সায়িমের সুরমা ব্যবহারে কোন দোষ মনে করতেন না ।
সহিহ বুখারী : ১৯৩২
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ১৯৩২
ثُمَّ يَصُومُهُ ثُمَّ دَخَلْنَا عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَقَالَتْ مِثْلَ ذَلِكَ
আবূ বাকর ইব্নু আবদুর রহমান (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
অতঃপর আমরা উম্মু সালামাহ (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। তিনিও অনুরূপ কথাই বললেন।