৪/৩৮. অধ্যায়ঃ
পূর্ণ মাথা মাস্হ করা।
আল্লাহ তা’আলার এ বাণীর পরিপ্রেক্ষিতে وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ (আর তোমাদের মাথা মাস্হ কর) (সূরা আল- মায়িদাহ্ ৫/৬)। ইব্নুল মুসায়্যিব বলেন, নারী পুরুষের মধ্যে মাথা মাস্হ করার ব্যাপারে কোন ভেদাভেদ নেই। ইমাম মালিক (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হল, মাথার কিছু অংশ মাস্হ করা কি যথেষ্ট হবে ? তিনি ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু যায়দ (রাঃ)-এর হাদীস দলিল হিসেবে পেশ করলেন।
সহিহ বুখারী : ১৮৫
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ১৮৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى الْمَازِنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلاً، قَالَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ ـ وَهُوَ جَدُّ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى ـ أَتَسْتَطِيعُ أَنْ تُرِيَنِي، كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ نَعَمْ. فَدَعَا بِمَاءٍ، فَأَفْرَغَ عَلَى يَدَيْهِ فَغَسَلَ يَدَهُ مَرَّتَيْنِ، ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْثَرَ ثَلاَثًا، ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا، ثُمَّ غَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ، ثُمَّ مَسَحَ رَأْسَهُ بِيَدَيْهِ، فَأَقْبَلَ بِهِمَا وَأَدْبَرَ، بَدَأَ بِمُقَدَّمِ رَأْسِهِ، حَتَّى ذَهَبَ بِهِمَا إِلَى قَفَاهُ، ثُمَّ رَدَّهُمَا إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي بَدَأَ مِنْهُ، ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ.
ইয়াহ্ইয়া আল-মাযিনী (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
জনৈক ব্যক্তি ‘আবদুল্লাহ ইব্নু যায়দ (রাঃ)-কে (তিনি ‘আমর ইব্নু ইয়াহ্ইয়ার দাদা) জিজ্ঞেস করলঃ আপনি কি আমাদেরকে দেখাতে পারেন, কীভাবে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উযূ করতেন? ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু যায়দ (রাঃ) বললেনঃ ‘হাঁ’। অতঃপর তিনি পানি আনালেন। হাতের উপর সে পানি ঢেলে দু’বার তাঁর হাত ধুলেন। তারপর কুলি করলেন এবং তিনবার নাকে পানি দিয়ে নাক ঝাড়লেন। অতঃপর চেহারা তিনবার ধুলেন। তারপর দু’হাত কনুই পর্যন্ত দু’বার করে ধুলেন। তারপর দু’হাত দিয়ে মাথা মাস্হ করলেন। অর্থাৎ হাত দু’টি সামনে ও পেছনে নিলেন। মাথার সম্মুখ ভাগ থেকে শুরু করে উভয় হাত পেছনের চুলের শেষ পর্যন্ত নিলেন। তারপর আবার যেখান থেকে শুরু করেছিলেন, সেখানেই ফিরিয়ে আনলেন। তারপর দু’পা ধুলেন।(১৮৬, ১৯১, ১৯২, ১৯৭, ১৯৯; মুসলিম ২/৭, হাঃ ২৩৫, আহমাদ ১৬৪৪৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৮০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৮৫)