২৩/৭৯. অধ্যায়ঃ
কোন বালক ইসলাম গ্রহণ করে মারা গেলে তার জন্য (জানাযার) সালাত আদায় করা যাবে কি? বালকের নিকট ইসলামের দাওয়াত দেয়া যাবে কি?
হাসান, শুরাইহ্, ইব্রাহীম ও কাতাদা (রহঃ) বলেছেন, পিতা-মাতার কেউ ইসলাম গ্রহণ করলে সন্তান মুসলিম ব্যক্তির সঙ্গে থাকবে। ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) তাঁর মায়ের সাথে ‘মুস্তায’আফীন’ (দুর্বল ও নির্যাতিত জামা’আত) –এর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন তাঁকে তাঁর পিতা (আব্বাস)- এর সাথে ‘তার কাওমের (মুশরিকদের) ধর্মে গণ্য করা হতো না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেনঃ ইসলাম বিজয়ী হয়, বিজিত হয় না।
সহিহ বুখারী : ১৩৫৪
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ১৩৫৪
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَخْبَرَهُ أَنَّ عُمَرَ انْطَلَقَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي رَهْطٍ قِبَلَ ابْنِ صَيَّادٍ، حَتَّى وَجَدُوهُ يَلْعَبُ مَعَ الصِّبْيَانِ عِنْدَ أُطُمِ بَنِي مَغَالَةَ، وَقَدْ قَارَبَ ابْنُ صَيَّادٍ الْحُلُمَ فَلَمْ يَشْعُرْ حَتَّى ضَرَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ ثُمَّ قَالَ لاِبْنِ صَيَّادٍ " تَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ ". فَنَظَرَ إِلَيْهِ ابْنُ صَيَّادٍ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ الأُمِّيِّينَ. فَقَالَ ابْنُ صَيَّادٍ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ فَرَفَضَهُ وَقَالَ آمَنْتُ بِاللَّهِ وَبِرُسُلِهِ. فَقَالَ لَهُ " مَاذَا تَرَى ". قَالَ ابْنُ صَيَّادٍ يَأْتِينِي صَادِقٌ وَكَاذِبٌ. فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " خُلِّطَ عَلَيْكَ الأَمْرُ " ثُمَّ قَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنِّي قَدْ خَبَأْتُ لَكَ خَبِيئًا ". فَقَالَ ابْنُ صَيَّادٍ هُوَ الدُّخُّ. فَقَالَ " اخْسَأْ، فَلَنْ تَعْدُوَ قَدْرَكَ ". فَقَالَ عُمَرُ ـ رضى الله عنه ـ دَعْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ أَضْرِبْ عُنُقَهُ. فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنْ يَكُنْهُ فَلَنْ تُسَلَّطَ عَلَيْهِ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْهُ فَلاَ خَيْرَ لَكَ فِي قَتْلِهِ ". وَقَالَ سَالِمٌ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ يَقُولُ انْطَلَقَ بَعْدَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ إِلَى النَّخْلِ الَّتِي فِيهَا ابْنُ صَيَّادٍ وَهُوَ يَخْتِلُ أَنْ يَسْمَعَ مِنِ ابْنِ صَيَّادٍ شَيْئًا قَبْلَ أَنْ يَرَاهُ ابْنُ صَيَّادٍ فَرَآهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مُضْطَجِعٌ، يَعْنِي فِي قَطِيفَةٍ لَهُ فِيهَا رَمْزَةٌ أَوْ زَمْرَةٌ، فَرَأَتْ أُمُّ ابْنِ صَيَّادٍ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَتَّقِي بِجُذُوعِ النَّخْلِ فَقَالَتْ لاِبْنِ صَيَّادٍ يَا صَافِ ـ وَهْوَ اسْمُ ابْنِ صَيَّادٍ ـ هَذَا مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم. فَثَارَ ابْنُ صَيَّادٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَوْ تَرَكَتْهُ بَيَّنَ ". وَقَالَ شُعَيْبٌ فِي حَدِيثِهِ فَرَفَصَهُ رَمْرَمَةٌ، أَوْ زَمْزَمَةٌ. وَقَالَ إِسْحَاقُ الْكَلْبِيُّ وَعُقَيْلٌ رَمْرَمَةٌ. وَقَالَ مَعْمَرٌ رَمْزَةٌ.
ইব্নু ‘উমর (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
‘উমর (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে একটি দলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে ইব্নু সাইয়াদ-এর (বাড়ির) দিকে গেলেন। তাঁরা তাঁকে (ইব্নু সাইয়াদকে) বনূ মাগালা দুর্গের পাশে অন্যান্য বালকদের সাথে খেলাধূলারত পেলেন। তখন ইব্নু সাইয়াদ বালিগ হবার নিকটবর্তী হয়েছিল। সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আগমন অনুভব করার পূর্বেই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার হাত ধরে ফেললেন। অতঃপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি সাক্ষ্য দিচ্ছ যে, আমি আল্লাহর রসূল? ইব্নু সাইয়াদ তাঁর দিকে দৃষ্টি করে বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি উম্মীদের রসূল। অতঃপর সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল, আপনি কি সাক্ষ্য দিবেন যে, আমি আল্লাহর রসূল? তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে ছেড়ে দিয়ে বললেনঃ আমি আল্লাহর প্রতি এবং তাঁর রসূলগণের প্রতি ঈমান এনেছি। অতঃপর তিনি তাকে (ইব্নু সাইয়াদকে) জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কী দেখে থাক? ইব্নু সাইয়াদ বলল, আমার নিকট সত্যবাদী ও মিথ্যাবাদী আগমন করে থাকে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করলেনঃ ব্যাপারটি তোমার নিকট বিভ্রান্তিকর করা হয়েছে। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ আমি একটি বিষয় তোমার হতে (আমার মনের মধ্যে) গোপন রেখেছি। বলতো সেটি কী? ইব্নু সাইয়াদ বলল, তা হচ্ছে (الدُّخُّ) 'আদ্-দুখখু। তখন তিনি ইরশাদ করলেনঃ তুমি লাঞ্ছিত হও ! তুমি কখনো তোমার (জন্য নির্ধারিত) সীমা অতিক্রম করতে পারবে না। তখন ‘উমর (রাঃ) বললেন, আমাকে অনুমতি দিন, হে আল্লাহর রসূল ! আমি তার গর্দান উড়িয়ে দেই [২৬]। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করলেনঃ যদি সে সে-ই (অর্থাৎ মাসীহ্ দাজ্জাল) হয়ে থাকে, তাহলে তাকে কাবু করার ক্ষমতা তোমাকে দেয়া হবে না। আর যদি সে-ই (দাজ্জাল) না হয়, তাহলে তাকে হত্যা করার মধ্যে তোমার কোন কল্যাণ নেই।
[২৬] ইসলামী শরীয়ত নির্ধারিত শাস্তির হকদার কেউ হলে একমাত্র ক্ষমতাসীন দায়িত্বশীল ব্যক্তিই পারবে তার উপর তা প্রয়োগ করতে। অন্য কারো অধিকার নেই। বর্ণিত হাদীসে ‘উমর (রাঃ)-এর অনুমতি চাওয়াতে এটাই প্রমাণিত হয়।