১৮/১১. অধ্যায়ঃ
সফরকালে ফরজ সালাতের আগে ও পরে নফল সালাত আদায় না করা।
সহিহ বুখারী : ১১০২
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ১১০২
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عِيسَى بْنِ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَانَ لاَ يَزِيدُ فِي السَّفَرِ عَلَى رَكْعَتَيْنِ، وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ كَذَلِكَ ـ رضى الله عنهم.
হাফস ইব্নু ‘আসিম (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনু ‘উমর (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আমি আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে ছিলাম, তিনি সফরে দু’ রাক’আতের অধিক আদায় করতেন না। আবূ বক্র, ‘উমর ও উসমান (রাঃ)-এর এ রীতি ছিল। [১]
[১] অত্র হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরে চিরকালই কস্র করেন, কখনো পূর্ণ সালাত আদায় করেননি। তাই একদল আলিমের মতে সফরে কাসর করতেই হবে। পূর্ণ পড়লে চলবে না। ইবনু ‘উমর বলেন, সফরের সালাত দু’রাক’আত। যে ব্যক্তি এ সুন্নাত ত্যাগ করবে সে কুফরী করে- (মুহাল্লা ৪র্থ খণ্ড ২৬৬ পৃষ্ঠা)। ইবনু ‘আব্বাস বলেন, যে ব্যক্তি সফরে চার রাক’আত পড়ে, সে যেন ঘরে দু’রাক’আত পড়ে। (ঐ ২৭০ পৃষ্ঠা)ইমাম ইবনু কাইয়ূম বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরে ৪ রাক’আত বিশিষ্ট সালাত গুলো ৪ রাক’আতই আদায় করেছেন এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। আর ‘‘আয়িশা (রাঃ)-এর হাদীসে আছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাস্র এবং পূর্ণ দু’রকমই আদায় করেছেন-সে হাদীসটি সম্পর্কে ইমাম ইবনু তাইমিয়া বলেন, হাদীসটি সহীহ্ নয়, বরং এটা আল্লাহ্র রসূলের উপরে একটা মিথ্যা অপবাদ। (যাদুল মা’আদ ১ম খণ্ড ১২৮ পৃষ্ঠা)