৩/৩৪ অধ্যায়ঃ
কীভাবে (দ্বীনী) জ্ঞান তুলে নেয়া হবে।
‘উমর ইব্নু আবদুল আযীয (রহঃ) মদীনায় আবূ বকর ইব্নু হাযম (রহঃ) – এর কাছে এক পত্রে লিখেন : খোঁজ কর , রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যে হাদীস পাও তা লিখে নাও। আমি ইলম লোপ পাওয়ার এবং আলিমদের বিদায় নেওয়ার আশংকা করছি এবং জেনে রাখো , নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাদীস ছাড়া আর কিছুই গ্রহণ করা হবে না এবং প্রত্যেকের উচিত ইলমের প্রচার-প্রসার করা , আর তারা যেন একত্রে বসে (ইলমের চর্চা করে ) , যাতে যে জানে না সে শিক্ষা লাভ করতে পারে। কারণ ইলম গোপনীয় বিষয় না হওয়া পর্যন্ত বিলুপ্ত হবে না।‘আলা ইব্নু ‘আব্দুল জব্বার (রহঃ) ..... আব্দুল্লাহ্ ইব্নু দীনার (রহঃ)- এর সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াতে ‘উমার ইব্নু আবদুল-‘আযীয (রহঃ)- এর উপরোক্ত হাদীসে ‘আলিমগণের বিদায় নেওয়া’ পর্যন্ত বর্ণিত আছে। (আ প্র অনুচ্ছেদ পৃ ৮৫ , ই: ফা: ১০০)
সহিহ বুখারী : ১০০
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ১০০
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ اللَّهَ لاَ يَقْبِضُ الْعِلْمَ انْتِزَاعًا، يَنْتَزِعُهُ مِنَ الْعِبَادِ، وَلَكِنْ يَقْبِضُ الْعِلْمَ بِقَبْضِ الْعُلَمَاءِ، حَتَّى إِذَا لَمْ يُبْقِ عَالِمًا، اتَّخَذَ النَّاسُ رُءُوسًا جُهَّالاً فَسُئِلُوا، فَأَفْتَوْا بِغَيْرِ عِلْمٍ، فَضَلُّوا وَأَضَلُّوا ".قَالَ الْفِرَبْرِيُّ حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ قَالَ حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ هِشَامٍ نَحْوَهُ.
‘আবদুল্লাহ ইব্নু ‘আমর ইব্নুল ‘আস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের অন্তর থেকে ‘ইলম উঠিয়ে নেন না, কিন্তু দ্বীনের আলিমদের উঠিয়ে নেয়ার ভয় করি। যখন কোন আলিম অবশিষ্ট থাকবে না তখন লোকেরা মূর্খদেরকেই নেতা বানিয়ে নিবে। তাঁদের জিজ্ঞেসা করা হলে না জানলেও ফতোয়া প্রদান করবে। ফলে তারা নিজেরাও পথভ্রষ্ট হবে , এবং অন্যকেও পথভ্রষ্ট করবে।ফিরাবরী বলেন, ............ জরীর হিশামের নিকট হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।(৭৩০৭; মুসলিম ৪৭/৪, হাঃ ২৬৭৩, আহমাদ ৬৫২১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৯৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১০১)