পরিচ্ছেদঃ ২৭

শিকার করার প্রতিফল

মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৭৮২

قَالَ مَالِك قَالَ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى { يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقْتُلُوا الصَّيْدَ وَأَنْتُمْ حُرُمٌ وَمَنْ قَتَلَهُ مِنْكُمْ مُتَعَمِّدًا فَجَزَاءُ مِثْلِ مَا قَتَلَ مِنْ النَّعَمِ يَحْكُمُ بِهِ ذَوَا عَدْلٍ مِنْكُمْ هَدْيًا بَالِغَ الْكَعْبَةِ أَوْ كَفَّارَةٌ طَعَامُ مَسَاكِينَ أَوْ عَدْلُ ذَلِكَ صِيَامًا لِيَذُوقَ وَبَالَ أَمْرِهِ } قَالَ مَالِك فَالَّذِي يَصِيدُ الصَّيْدَ وَهُوَ حَلَالٌ ثُمَّ يَقْتُلُهُ وَهُوَ مُحْرِمٌ بِمَنْزِلَةِ الَّذِي يَبْتَاعُهُ وَهُوَ مُحْرِمٌ ثُمَّ يَقْتُلُهُ وَقَدْ نَهَى اللهُ عَنْ قَتْلِهِ فَعَلَيْهِ جَزَاؤُهُ - ১২৯৯-وَالْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ مَنْ أَصَابَ الصَّيْدَ وَهُوَ مُحْرِمٌ حُكِمَ عَلَيْهِ بِالْجَزَاء.قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي الَّذِي يَقْتُلُ الصَّيْدَ فَيُحْكَمُ عَلَيْهِ فِيهِ أَنْ يُقَوَّمَ الصَّيْدُ الَّذِي أَصَابَ فَيُنْظَرَ كَمْ ثَمَنُهُ مِنْ الطَّعَامِ فَيُطْعِمَ كُلَّ مِسْكِينٍ مُدًّا أَوْ يَصُومَ مَكَانَ كُلِّ مُدٍّ يَوْمًا وَيُنْظَرَ كَمْ عِدَّةُ الْمَسَاكِينِ فَإِنْ كَانُوا عَشَرَةً صَامَ عَشَرَةَ أَيَّامٍ وَإِنْ كَانُوا عِشْرِينَ مِسْكِينًا صَامَ عِشْرِينَ يَوْمًا عَدَدَهُمْ مَا كَانُوا وَإِنْ كَانُوا أَكْثَرَ مِنْ سِتِّينَ مِسْكِينًا قَالَ مَالِك سَمِعْتُ أَنَّهُ يُحْكَمُ عَلَى مَنْ قَتَلَ الصَّيْدَ فِي الْحَرَمِ وَهُوَ حَلَالٌ بِمِثْلِ مَا يُحْكَمُ بِهِ عَلَى الْمُحْرِمِ الَّذِي يَقْتُلُ الصَّيْدَ فِي الْحَرَمِ وَهُوَ مُحْرِمٌ.

মালিক (র) হতে বর্ণিতঃ

আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেন হে মু’মিনগণ, ইহরাম অবস্থায় তোমরা কোন প্রাণী শিকার করো না। কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে শিকার করে তবে যা শিকার করল তদ্রূপ একটি গৃহপালিত পশু তাকে বদলা দিতে হবে। এর ফয়সালা তোমাদের মধ্যে দুজন তাকওয়ার অধিকারী লোক করে দেবে। এইরূপ ধার্যকৃত পশু কুরবানী হিসেবে মক্কায় প্রেরিত হবে অথবা উহার কাফফারা হবে মিসকীনকে আহার্য দান করা বা সমপরিমাণ রোযা রাখা যাতে সে স্বীয় কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে পারে।মালিক (র) বলেন, কোন ইহরামবিহীন ব্যক্তি যদি কোন প্রাণী শিকার করে পরে ইহরাম বেঁধে উক্ত শিকার বধ করে তবে সে ঐ মুহরিম ব্যক্তির মত, যে ব্যক্তি শিকারকৃত প্রাণী খরিদ করে বধ করে। আল্লাহ্ উহা হতে নিষেধ করেছেন, সুতরাং উক্ত ব্যক্তির উপরও উহার বিনিময় প্রদান ওয়াজিব হবে।মালিক (র) বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত হল, মুহরিম একা বা দলবদ্ধভাবে যেভাবেই শিকার করুন না কেন তাঁর উপর বদলা দেওয়ার হুকুম প্রযোজ্য হবে।মালিক (র) বলেন, এই বিষয়ে সর্বোত্তম যে কথা আমি শুনেছি তা হল শিকারকৃত প্রাণীটির মূল্য হিসেব করে দেখা হবে যে, ঐ মূল্যের বিনিময়ে কত পরিমাণ শস্য বাজারে পাওয়া যায়। পরে এক এক ‘মুদ’ পরিমাণ শস্য এক একজন মিসকীনদের দিয়ে দেওয়া হবে বা এক এক মুদ হিসেবে যত পরিমাণ মুদ হবে তত সংখ্যক রোযা রাখবে। মিসকীনদের সংখ্যা হিসেবে তা হবে। দশজন মিসকীন হলে দশ রোযা, বিশজন হলে বিশ রোযা, এইভাবে সংখ্যা ষাটের অধিকও যদি হয়ে যায় তবে তত পরিমাণ রোযা তাকে রাখতে হবে।মালিক (র) বলেন, আমি শুনেছি যে, ইহরামবিহীন ব্যক্তি হারাম শরীফের অভ্যন্তরে কোন প্রাণী শিকার করলে তার উপর ইহরাম বেঁধে হারমের ভিতর বধ করার মত হুকুম হবে।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন