পরিচ্ছেদঃ ১৫
হাদ্য়ী-র গলায় কিছু লটকালেই কেউ মুহরিম হয়ে যায় না
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৭৪৬
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৭৪৬
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ زِيَادَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ كَتَبَ إِلَى عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ قَالَ مَنْ أَهْدَى هَدْيًا حَرُمَ عَلَيْهِ مَا يَحْرُمُ عَلَى الْحَاجِّ حَتَّى يُنْحَرَ الْهَدْيُ وَقَدْ بَعَثْتُ بِهَدْيٍ فَاكْتُبِي إِلَيَّ بِأَمْرِكِ أَوْ مُرِي صَاحِبَ الْهَدْيِ قَالَتْ عَمْرَةُ قَالَتْ عَائِشَةُ لَيْسَ كَمَا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَنَا فَتَلْتُ قَلَائِدَ هَدْيِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدَيَّ ثُمَّ قَلَّدَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ ثُمَّ بَعَثَ بِهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ أَبِي فَلَمْ يَحْرُمْ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْءٌ أَحَلَّهُ اللهُ لَهُ حَتَّى نُحِرَ الْهَدْيُ.
‘আমরা বিনত আবদুর রহমান (র) হতে বর্ণিতঃ
যিয়াদ ইবনু আবূ সুফইয়ান নাবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সহধর্মিনী আয়েশা (রা)-এর নিকট চিঠি লিখলেন, আবদুল্লাহ্ ইবনু আব্বাস (রা) বলেন, যবেহ না হওয়া পর্যন্ত কুরবানীর উদ্দেশ্যে মক্কায় পশু প্রেরণকারীর উপর ইহরাম পালনরত ব্যক্তির মত সকল জিনিস হারাম হয়ে যায়। আমি আপনার নিকট পশু [১] (হাদ্য়ী) প্রেরণ করলাম। আশা করি, উক্ত পশুর সাথে প্রেরিত ব্যক্তির নিকট অথবা পত্রযোগে আমাকে উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে আপনার ফতওয়া জানাবেন। ‘আমরা বলেন, আয়েশা (রা) বললেন, ইবনু আব্বাস (রা) যা বলেছেন তা ঠিক নয়। আমি নিজের হাতে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কর্তৃক প্রেরিত পশুর রশি পাকিয়েছিলাম। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজে তা উহার গলায় পরিয়ে আমার পিতার সাথে উহা মক্কায় প্রেরণ করেছিলেন। অথচ উক্ত পশুটি যবেহ হওয়া পর্যন্ত সময়ের মধ্যেও কোন হালাল জিনিস রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য হারাম হয়নি। (বুখারী ১৭০০, মুসলিম ১৩২১)
[১] কুরবানীর উদ্দেশ্যে মক্কায় যে সমস্ত পশু প্রেরণ করা হয় উহাকে হাদয়ী বলে। নিদর্শন হিসেবে হাদয়ী গলায় হাড়, চামড়া ইত্যাদি লটকানকে তাকলীদ বলা হয়।