পরিচ্ছেদঃ ৯
রমযানের রোযা ভঙ্গ করার কাফ্ফারা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৬৪৫
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৬৪৫
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَطَاءِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْخُرَاسَانِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَضْرِبُ نَحْرَهُ وَيَنْتِفُ شَعْرَهُ وَيَقُولُ هَلَكَ الْأَبْعَدُ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا ذَاكَ فَقَالَ أَصَبْتُ أَهْلِي وَأَنَا صَائِمٌ فِي رَمَضَانَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تُعْتِقَ رَقَبَةً فَقَالَ لَا فَقَالَ هَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تُهْدِيَ بَدَنَةً قَالَ لَا قَالَ فَاجْلِسْ فَأُتِيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرَقِ تَمْرٍ فَقَالَ خُذْ هَذَا فَتَصَدَّقْ بِهِ فَقَالَ مَا أَحَدٌ أَحْوَجَ مِنِّي فَقَالَ كُلْهُ وَصُمْ يَوْمًا مَكَانَ مَا أَصَبْتَ -قَالَ مَالِك قَالَ عَطَاءٌ فَسَأَلْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ كَمْ فِي ذَلِكَ الْعَرَقِ مِنْ التَّمْرِ فَقَالَ مَا بَيْنَ خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا إِلَى عِشْرِيْنَ.قَالَ مَالِك سَمِعْتُ أَهْلَ الْعِلْمِ يَقُولُونَ لَيْسَ عَلَى مَنْ أَفْطَرَ يَوْمًا فِي قَضَاءِ رَمَضَانَ بِإِصَابَةِ أَهْلِهِ نَهَارًا أَوْ غَيْرِ ذَلِكَ الْكَفَّارَةُ الَّتِي تُذْكَرُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَنْ أَصَابَ أَهْلَهُ نَهَارًا فِي رَمَضَانَ وَإِنَّمَا عَلَيْهِ قَضَاءُ ذَلِكَ الْيَوْمِ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ فِيهِ إِلَيَّ.
সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র) হতে বর্ণিতঃ
জনৈক বেদুঈন বুক চাপড়াতে চাপড়াতে এবং চুল টানতে টানতে রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এল। সে বলতেছিল (পূণ্য হতে) দূরবর্তী ধ্বংস হয়েছে। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, সে কি ? সে বলল, আমি স্ত্রীর সাথে রমযানে সহবাস করেছি অথচ আমি রোযাদার। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) (এটা শুনে) বললেন, তুমি একটি গোলাম আযাদ করার শক্তি রাখ কি ? সে বলল, না। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, একটি উট হাদয়ি স্বরূপ পাঠাইবার সামর্থ্য রাখ কি ? সে বলল, না। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি বস। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এক টুকরি খেজুর আনা হল। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এটা নাও এবং সদকা কর। লোকটি বলল, ইয়া রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমার অপেক্ষা অধিক মুহতাজ কাউকেও আমি পাইনি। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এটা তুমি খাও এবং স্ত্রী সহবাসের কাফফারাস্বরূপ একদিন রোযা রাখ। (বাইহাকী বর্ণনা করেন [সুনানে কুবরা ৪/২২৭]মালিক (র) বলেন, আতা খোরাসানী (র) বলেছেন, আমি সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র)-কে প্রশ্ন করলাম, সেই টুকরিতে কত খেজুর ছিল ? তিনি বললেন, পনের صَاعًا হতে বিশ صَاعًا পর্যন্ত। [১]ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র) বলেছেন, আমি আহলে ইলমকে (বিজ্ঞ উলামা) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি রমযানের কাযা (করতে গিয়ে) দিনে তার স্ত্রীর সাথে সহবাস অথবা অন্য কারণে রোযা ভঙ্গ করে ফেলে, তার উপর কাফফারা (ওয়াজিব) হবে না। যে কাফফারার কথা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বর্ণিত হয়েছে, তা সেই ব্যক্তি সম্বন্ধে যে ব্যক্তি রমযান মাসে আপন স্ত্রীর সাথে দিনে সহবাস করেছে। অবশ্য সেই ব্যক্তির উপর সেই দিনের কাযা (ওয়াজিব) হবে। মালিক (র) বলেন, এটাই সর্বাপেক্ষা পছন্দনীয় যা আমি এই ব্যাপারে শুনেছি।
[১] صَاعًا ছা’- খাদ্যশস্যের একটি পরিমাণ, প্রায় তিন সের ওজনের।