পরিচ্ছেদঃ ৪
যে ব্যক্তির জানাবত (গোসল ফরয হওয়া) অবস্থায় ফজর হয় সে ব্যক্তির রোযা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৬২৭
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৬২৭
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ يَقُولُ كُنْتُ أَنَا وَأَبِي عِنْدَ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ وَهُوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ فَذُكِرَ لَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ مَنْ أَصْبَحَ جُنُبًا أَفْطَرَ ذَلِكَ الْيَوْمَ فَقَالَ مَرْوَانُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ لَتَذْهَبَنَّ إِلَى أُمَّيْ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ فَلْتَسْأَلَنَّهُمَا عَنْ ذَلِكَ فَذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَذَهَبْتُ مَعَهُ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ فَسَلَّمَ عَلَيْهَا ثُمَّ قَالَ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّا كُنَّا عِنْدَ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ فَذُكِرَ لَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ مَنْ أَصْبَحَ جُنُبًا أَفْطَرَ ذَلِكَ الْيَوْمَ قَالَتْ عَائِشَةُ لَيْسَ كَمَا قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ أَتَرْغَبُ عَمَّا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ لَا وَاللهِ قَالَتْ عَائِشَةُ فَأَشْهَدُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ جِمَاعٍ غَيْرِ احْتِلَامٍ ثُمَّ يَصُومُ ذَلِكَ الْيَوْمَ قَالَ ثُمَّ خَرَجْنَا حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَسَأَلَهَا عَنْ ذَلِكَ فَقَالَتْ مِثْلَ مَا قَالَتْ عَائِشَةُ قَالَ فَخَرَجْنَا حَتَّى جِئْنَا مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ فَذَكَرَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ مَا قَالَتَا فَقَالَ مَرْوَانُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ لَتَرْكَبَنَّ دَابَّتِي فَإِنَّهَا بِالْبَابِ فَلْتَذْهَبَنَّ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ فَإِنَّهُ بِأَرْضِهِ بِالْعَقِيقِ فَلْتُخْبِرَنَّهُ ذَلِكَ فَرَكِبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَرَكِبْتُ مَعَهُ حَتَّى أَتَيْنَا أَبَا هُرَيْرَةَ فَتَحَدَّثَ مَعَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ سَاعَةً ثُمَّ ذَكَرَ لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ لَهُ أَبُو هُرَيْرَةَ لَا عِلْمَ لِي بِذَاكَ إِنَّمَا أَخْبَرَنِيهِ مُخْبِرٌ.
আবূ বক্র ইবনু আবদুর রহমান (র) হতে বর্ণিতঃ
আমি ও আমার পিতা মারওয়ানের নিকট ছিলাম, মারওয়ান তখন মদীনার শাসনকর্তা। তাঁর কাছে উল্লেখ করা হয় যে, আবূ হুরায়রা (রা) বলেন, যে ব্যক্তির জানাবত অবস্থায় ফজর হয়, তার সেই দিনের রোযা নষ্ট হয়েছে। মারওয়ান বললেন, হে আবদুর রহমান। আমি তোমাদের কসম দিচ্ছি যে, তুমি অবশ্যই উম্মুল মুমিনীনদ্বয় আয়েশা (রা) ও উম্মে সালমা (রা)-এর কাছে গমন কর এবং এ বিষয়ে উভয়কে প্রশ্ন কর। অতঃপর আবদুর রহমান গেলেন, আমিও সাথে ছিলাম। আবদুর রহমান তাঁকে ‘সালাম’ জানালেন এবং বললেন, হে উম্মুল মুমিনীন! আমরা মারওয়ান ইবনু হাকামের কাছে ছিলাম, তাঁর নিকট আলোচিত হয় যে, আবূ হুরায়রা (রা) বলেছেন যে ব্যক্তির জানাবত অবস্থায় ফজর হয়েছে সে সেই দিনের রোযা ভঙ্গ করেছে। আয়েশা (রা) বললেন, আবূ হুরায়রা যেমন বলেছেন, (মাস’আলা) তেমন নয়। হে আবদুর রহমান! রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যা করেছেন তুমি কি তা হতে বিমুখ হতে চাও ? আবদুর রহমান বললেন, না, আল্লাহ্র কসম, (তা হয় না)। আয়েশা (রা) বললেন, আমি রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি স্বপ্নদোষে নয়, সহবাসের কারণে জানাবত অবস্থায় ফজর করতেন। অতঃপর সেই দিনের রোযা রাখতেন। (রাবী) বলেন, তারপর আমরা আয়েশা (রা)-এর নিকট হতে বের হলাম এবং উম্মে সালমা (রা)-এর কাছে গেলাম এবং এ বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করলাম। আয়েশা (রা) যেমন বলেছেন তিনিও তেমন বললেন।অতঃপর আমরা প্রস্থান করলাম এবং মারওয়ান ইবনু হাকামের কাছে উপস্থিত হলাম। তাঁরা দু’জনে যা বর্ণনা করেছেন আবদুর রহমান মারওয়ানের কাছে তা উল্লেখ করলেন। অতঃপর মারওয়ান বললেন, আমি তোমাকে কসম দিচ্ছি, হে আবূ মুহাম্মদ, আমার সওয়ারী দরজায় (উপস্থিত) রয়েছে, তুমি উহার উপর সওয়ার হয়ে অবশ্যই আবূ হুরায়রা (রা)-এর নিকট গমন কর। তিনি তাঁর (নিজস্ব) ভূমিতে আকীক নামক স্থানে অবস্থান করতেছেন। নিশ্চয়ই এ খবরটি তাঁকে পৌঁছিয়ে দাও। আবদুর রহমান সওয়ার হলেন, আমি তাঁর সাথে আরোহণ করলাম।অতঃপর আমরা আবূ হুরায়রা (রা)-এর কাছে এলাম। আবূ হুরায়রা (রা)-এর সহিত আবদুর রহমান কিছুক্ষণ কথা বললেন। তারপর এই বিষয়ে তাঁর সাথে আলোচনা করলেন। এরপর আবূ হুরায়রা (রা) বললেন, এই বিষয়ে আমার জানা নাই, আমাকে খবরদাতা খবর দিয়েছেন। [১] (সহীহ, মুসলিম ১১০৯)
[১] হয়তো আবূ হুরায়রা (রা)-এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, ফজরের পূর্বে গোসল করে নেয়া উত্তম অথবা তাঁর উদ্দেশ্য, সহবাস অবস্থায় ফজর হলে তারা রোযা রাখবে না, অথবা এই মত প্রথমে ছিল পরে তিনি তা প্রত্যাহার করেছেন এবং পূর্ব মত রহিত হয়েছে।