পরিচ্ছেদঃ ২৭

যাদের উপর সাদকা-ই ফিতর ওয়াজিব

মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৬১১

- حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يُخْرِجُ زَكَاةَ الْفِطْرِ عَنْ غِلْمَانِهِ الَّذِينَ بِوَادِي الْقُرَى وَبِخَيْبَرَ.৯৮৫-و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّ أَحْسَنَ مَا سَمِعْتُ فِيمَا يَجِبُ عَلَى الرَّجُلِ مِنْ زَكَاةِ الْفِطْرِ أَنَّ الرَّجُلَ يُؤَدِّي ذَلِكَ عَنْ كُلِّ مَنْ يَضْمَنُ نَفَقَتَهُ وَلَا بُدَّ لَهُ مِنْ أَنْ يُنْفِقَ عَلَيْهِ وَالرَّجُلُ يُؤَدِّي عَنْ مُكَاتَبِهِ وَمُدَبَّرِهِ وَرَقِيقِهِ كُلِّهِمْ غَائِبِهِمْ وَشَاهِدِهِمْ مَنْ كَانَ مِنْهُمْ مُسْلِمًا وَمَنْ كَانَ مِنْهُمْ لِتِجَارَةٍ أَوْ لِغَيْرِ تِجَارَةٍ وَمَنْ لَمْ يَكُنْ مِنْهُمْ مُسْلِمًا فَلَا زَكَاةَ عَلَيْهِ فِيه.৯৮৬-قَالَ مَالِك فِي الْعَبْدِ الْآبِقِ إِنَّ سَيِّدَهُ إِنْ عَلِم مَكَانَهُ أَوْ لَمْ يَعْلَمْ وَكَانَتْ غَيْبَتُهُ قَرِيبَةً وَهُوَ يَرْجُو حَيَاتَهُ وَرَجْعَتَهُ فَإِنِّي أَرَى أَنْ يُزَكِّيَ عَنْهُ وَإِنْ كَانَ إِبَاقُهُ قَدْ طَالَ وَيَئِسَ مِنْهُ فَلَا أَرَى أَنْ يُزَكِّيَ عَنْهُ৯৮৭- قَالَ مَالِك تَجِبُ زَكَاةُ الْفِطْرِ عَلَى أَهْلِ الْبَادِيَةِ كَمَا تَجِبُ عَلَى أَهْلِ الْقُرَى وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَضَ زَكَاةَ الْفِطْرِ مِنْ رَمَضَانَ عَلَى النَّاسِ عَلَى كُلِّ حُرٍّ أَوْ عَبْدٍ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَى مِنْ الْمُسْلِمِينَ.

নাফি’ (র) হতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (র) তাঁর ওয়াদিউল-কুরা ও খায়বার নামক স্থানে অবস্থানরত দাসদেরও ফিতরা আদায় করতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (র) বলেন, এ বিষয়ে আমি সর্বোত্তম যা শুনেছি তা হল, যাদের খোরপোশ প্রদান করা জরুরী তাদের পক্ষ হতেও ফিতরা আদায় করতে হবে। মুকাতাব গোলাম, মুদাব্বার গোলাম এবং দাস, তারা উপস্থিত থাকুক বা অনুপস্থিত থাকুক, ব্যবসার উদ্দেশ্যে হোক বা না হোক, সকলের পক্ষ হতে ফিতরা আদায় করতে হবে। তবে শর্ত হল মুসলমান হতে হবে। আর অমুসলিম গোলামের ফিতরা আদায় করতে হয় না। [১] মালিক (র) বলেন, গোলাম পালিয়ে গেলে সে কোথায় আছে তা মালিকের জানা থাকলে অথবা জানা না থাকলে এবং গোলামের অনুপস্থিতকাল মাত্র কিছুদিনের মধ্যে সীমিত হলে এবং তার বেঁচে থাকা ও ফিরে আসার ভরসা থাকলে মালিককে তার পক্ষে সাদকা-ই-ফিতর দিতে হবে। যদি সে পলাতক অবস্থায় দীর্ঘদিন থাকে এবং তাকে ফিরে পাওয়া সম্পর্কে নিরাশ হয় তবে আমার মতে, তার জন্য মালিককে ফিতরা দিতে হবে না।মালিক (র) বলেন, শহর ও গ্রাম উভয় অঞ্চলের লোকের উপরই ফিতরা প্রদান করা ওয়াজিব। কারণ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নর-নারী, আযাদ, গোলাম প্রত্যেক মুসলমানের উপরই রমযানের কারণে সাদকা-ই-ফিতর ওয়াজিব করেছেন। (গোলামের তরফ হতে তার মালিক তা প্রদান করবে।)

[১] অর্থের বিনিময়ে আযাদ করার চুক্তিকৃত গোলামকে মুকাতাব বলা হয়, আর আমি মারা গেলে তুমি আযাদ-এই ধরনের কথা যে গোলামকে বলা হয়েছে তাকে মুদাব্বার বলা হয়।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন