পরিচ্ছেদঃ ২
কিয়াম-এ রমাযান বা তারাবীহর নামাযের বর্ণনা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ২৪২
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ২৪২
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ أَنَّهُ قَالَ خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي رَمَضَانَ إِلَى الْمَسْجِدِ فَإِذَا النَّاسُ أَوْزَاعٌ مُتَفَرِّقُونَ يُصَلِّي الرَّجُلُ لِنَفْسِهِ وَيُصَلِّي الرَّجُلُ فَيُصَلِّي بِصَلَاتِهِ الرَّهْطُ فَقَالَ عُمَرُ وَاللهِ إِنِّي لَأَرَانِي لَوْ جَمَعْتُ هَؤُلَاءِ عَلَى قَارِئٍ وَاحِدٍ لَكَانَ أَمْثَلَ فَجَمَعَهُمْ عَلَى أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ ثُمَّ خَرَجْتُ مَعَهُ لَيْلَةً أُخْرَى وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلَاةِ قَارِئِهِمْ فَقَالَ عُمَرُ نِعْمَتِ الْبِدْعَةُ هَذِهِ وَالَّتِي تَنَامُونَ عَنْهَا أَفْضَلُ مِنْ الَّتِي تَقُومُونَ يَعْنِي آخِرَ اللَّيْلِ وَكَانَ النَّاسُ يَقُومُونَ أَوَّلَهُ.
আমি মাহে রমযানে উমার ইবনু খাত্তাব (র)-এর সাথে মসজিদের দিকে গিয়েছি, (সেখানে গিয়ে) দেখি লোকজন বিভিন্ন দলে বিভক্ত। কেউ একা নামায আদায় করতেছেন, আবার কেউ-বা নামায আদায় করতেছেন এবং তাঁর ইমামতিতে একদল লোকও নামায আদায় করতেছেন। (এই দৃশ্য দেখে) উমার (রাঃ) বললেন, আমি মনে করি যে, (কত ভালই না হত) যদি এই মুসল্লিগণকে একজন কারীর সাথে একত্র করে দেওয়া হত! অতঃপর তিনি উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ)-এর ইমামতিতে একত্র করে দিলেন। (আবদুর রহমান) বলেন, দ্বিতীয় রাত্রেও আমি তাঁর সাথে (মসজিদে) গমন করলাম। তখন লোকজন তাঁদের কারীর ইকতিদায় নামায আদায় করেছিলেন। উমার (রাঃ) (এটা অবলোকন করে) বললেন, نِعْمَتِ الْبِدْعَةُ هَذِهِ ‘এটা অতি চমৎকার বিদ’আত বা নূতন পদ্ধতি।’ আর যে নামায হতে তারা ঘুমিয়ে থাকে তা উত্তম ঐ নামায হতে, যে নামাযের জন্য তারা জাগ্রত হয়, অর্থাৎ শেষ রাতের নামাযই আফযল। [উমার (রাঃ)] এটা এজন্যই বলেছিলেন, অনেক লোকের অবস্থা (এই ছিল) রাত্রের শুরু ভাগে তারা নামায আদায় করে নিলেন। কেউ কেউ শেষ রাত্রে তারাবীহ পড়া আফযল মনে করতেন। (সহীহ বুখারী ২০১০)