পরিচ্ছেদঃ ৮
জুম’আর দিনের পোশাক-পরিচ্ছেদঃ, ঘাড়ের উপর দিয়ে যাতায়াত করা, ইমামের দিকে মুখ করে বসা সম্পর্কীয় আহকাম
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ২৩৬
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ২৩৬
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ عَمَّنْ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ، لَأَنْ يُصَلِّيَ أَحَدُكُمْ بِظَهْرِ الْحَرَّةِ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَقْعُدَ حَتَّى إِذَا قَامَ الْإِمَامُ يَخْطُبُ جَاءَ يَتَخَطَّى رِقَابَ النَّاسِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ ৩৬৯-قَالَ مَالِك السُّنَّةُ عِنْدَنَا أَنْ يَسْتَقْبِلَ النَّاسُ الْإِمَامَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَخْطُبَ مَنْ كَانَ مِنْهُمْ يَلِي الْقِبْلَةَ وَغَيْرَهَا.
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
জনৈক রাবী হতে বর্ণনা করেন তিনি (আবূ হুরায়রা) বলতেন, তোমাদের কারো ‘যাহরুল হাররা’ [১] তে নামায আদায় করা এটা হতে ভাল যে, সে বসে থাকবে অর্থাৎ সময় থাকতে নামাযের জন্য মসজিদে যাবে না। অতঃপর ইমাম যখন জুম’আর দিন খুতবা দিতে দাঁড়াবেন তখন (তাড়াহুড়া করে যাওয়ার সময়) সে মানুষের ঘাড়ে পা রেখে যাবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)ইয়াহ্ইয়া (র) বলেন, মালিক (র) বলেছেন, ইমাম যে সময় খুতবা পাঠ করতে ইচ্ছা করেন সে সময় লোকজনের ইমামের দিকে মুখ করে বসাটাই আমাদের নিকট সুন্নত, তাদের মধ্যে যারা কিবলার দিকে মুখ করে আছে অথবা যারা কিবলার দিকে মুখ করে বসেনি, সকলেই ইমামের দিকে মুখ করবে। [২]
[১] কাল পাথরবিশিষ্ট মদীনার বাহিরে একটি নির্দিষ্ট স্থান। [২] যাঁরা ইমামের সামনে অবস্থান করতেছেন, তাঁদের মুখ তো ইমামের দিকে আছেই। অবশ্য যাঁরা ইমামের ডানে বা বামে আছেন তাঁরা ইমামের দিকে মুখ করে ঘুরে বসবেন। ভিড়ের কারণে পরে কাতার ঠিক করতে অসুবিধা হয় বিধায় বর্তমানে এই তরীকার উপর আমল করা হয় না; ফলে সকল মুসল্লিই কিবলামুখী বসে খুতবা শুনেন।