পরিচ্ছেদঃ ৮
উম্মুল কুরআন
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৮২
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৮২
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْقُوبَ أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ مَوْلَى عَامِرِ بْنِ كُرَيْزٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَادَى أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ وَهُوَ يُصَلِّي فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ صَلَاتِهِ لَحِقَهُ فَوَضَعَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ عَلَى يَدِهِ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يَخْرُجَ مِنْ بَابِ الْمَسْجِدِ فَقَالَ إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ لَا تَخْرُجَ مِنْ الْمَسْجِدِ حَتَّى تَعْلَمَ سُورَةً مَا أَنْزَلَ اللهُ فِي التَّوْرَاةِ وَلَا فِي الْإِنْجِيلِ وَلَا فِي الْقُرْآنِ مِثْلَهَا قَالَ أُبَيٌّ فَجَعَلْتُ أُبْطِئُ فِي الْمَشْيِ رَجَاءَ ذَلِكَ ثُمَّ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ السُّورَةَ الَّتِي وَعَدْتَنِي قَالَ كَيْفَ تَقْرَأُ إِذَا افْتَتَحْتَ الصَّلَاةَ قَالَ فَقَرَأْتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ حَتَّى أَتَيْتُ عَلَى آخِرِهَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هِيَ هَذِهِ السُّورَةُ وَهِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ الَّذِي أُعْطِيتُ.
আলা ইবনু আবদুর রহমান ইবনু ইয়াকুব (র) হতে বর্ণিতঃ
“আমির ইবনু কুরায়য’-এর ‘মাওলা’ আবূ সাঈদ (র) তাঁর নিকট বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ)-কে ডাকলেন, তখন তিনি নামায আদায় করছিলেন। নামায শেষ করে তিনি রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সমীপে হাযির হলেন; রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপন হাত তাঁর হাতের উপর রাখলেন, তখন তিনি (উবাই ইবনু কা’ব) মসজিদের দরজা দিয়ে বের হতে চাচ্ছিলেন। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, আমার ইচ্ছা যে, তুমি একটি সূরা জ্ঞাত না হয়ে মসজিদ হতে বের হবে না। সূরাটি এইরূপ যে, উহার সমতুল্য কোন সূরা ‘তাওরাত’, ‘ইনযীল’ এমন কি খোদ ‘কুরআন শরীফে’ ও অবতীর্ণ হয়নি। উবাই (রাঃ) বললেন, এটা শুনে সূরাটি জানবার আগ্রহে আমি ধীরে ধীরে চলতে লাগলাম। অতঃপর আমি বললাম হে আল্লাহর রসূল! যে সূরাটি জানাবার বিষয় আপনি আমাকে বলেছেন, তা কোন সূরা ? তিনি বললেন, তুমি নামায শুরু করার পর কিভাবে কিরা’আত পড় ? উবাই (রাঃ) বলেন আমি সূরা ফাতিহা الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ হতে শেষ পর্যন্ত তাঁকে পড়ে শুনালাম। তারপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এটাই সে সূরা। (যে সূরার কথা বলেছিলাম) এ সূরার নামই [১] سَّبْعُ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ (সাবই মাসানী) যা আমাকে প্রদান করা হয়েছে। (সহীহ, বুখারী ৪৪৭৪, ৪৬৪৭)
[১] সাবই মাসানী: সূরা ফাতিহার সাত আয়াত যা পুনঃ পুনঃ আবৃত্তি করা হয়। কুরআনুল আযীম অর্থ মহা কুরআন।