পরিচ্ছেদ ১:
সালাম প্রসঙ্গ
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৭৩১
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৭৩১
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ أَنَّهُ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ فَدَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ فَقَالَ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ ثُمَّ زَادَ شَيْئًا مَعَ ذَلِكَ أَيْضًا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَهُوَ يَوْمَئِذٍ قَدْ ذَهَبَ بَصَرُهُ مَنْ هَذَا قَالُوا هَذَا الْيَمَانِي الَّذِي يَغْشَاكَ فَعَرَّفُوهُ إِيَّاهُ قَالَ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّ السَّلَامَ انْتَهَى إِلَى الْبَرَكَةِقَالَ يَحْيَى سُئِلَ مَالِك هَلْ يُسَلَّمُ عَلَى الْمَرْأَةِ فَقَالَ أَمَّا الْمُتَجَالَّةُ فَلَا أَكْرَهُ ذَلِكَ وَأَمَّا الشَّابَّةُ فَلَا أُحِبُّ ذَلِكَ
মুহাম্মাদ ইব্নু আমর ইব্নু আতা (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ্ ইব্নু আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট এসে ছিলাম; এমন সময় ইয়ামানের অধিবাসী এক ব্যক্তি এসে বলল, “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।” আরও কয়েকটি শব্দ এর সাথে সংযোজন করল। তখন ইব্নু আব্বাসের দৃষ্টিশক্তি ছিল না। তাই তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ইনি কে? উপস্থিত সকলে বলল, ইনি সেই ইয়ামানী লোক, যে আপনার কাছে (সর্বদা) আসা-যাওয়া করে। এই বলে তারা লোকটির পরিচয় করিয়ে দিল। তখন ইব্নু আব্বাস (রাঃ) লোকটিকে চিনতে পারলেন। অতঃপর ইব্নু আব্বাস লোকটিকে বললেন, “বরকত” পর্যন্ত সালাম শেষ হয়।” [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) বলেন, মালিক (রহঃ)-এর নিকট জিজ্ঞেস করা হল যে, পুরুষ স্ত্রীলোককে (কিংবা স্ত্রীলোক পুরুষকে) সালাম করবে কি? তিনি উত্তর দিলেন যে, বৃদ্ধের জন্য তো ইহা খারাপ নয়, তবে যুবক (যুবতী)-এর জন্য ভাল নয়। [২]
[১] অর্থাৎ “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহে ওয়া বারাকাতুহ” বলাই হল পূর্ণ সালাম। এর অধিক কিছু বলা ঠিক নয়। কমপক্ষে “আসসালামু আলাইকুম” বলবে।[২] অত্র হাদীসে গাইরে মাহরমের কথা বলা হয়েছে। মাহরম হলে যুবক কিংবা যুবতী উভয়েই পরস্পরকে সালাম দেয়াতে কোন অসুবিধা নেই।