পরিচ্ছেদঃ ৭
রোগী দেখতে যাওয়া ও অশুভ লক্ষণ প্রসঙ্গ
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৭০৫
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৭০৫
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْأَشَجِّ عَنْ ابْنِ عَطِيَّةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا عَدْوَى وَلَا هَامَ وَلَا صَفَرَ وَلَا يَحُلَّ الْمُمْرِضُ عَلَى الْمُصِحِّ وَلْيَحْلُلْ الْمُصِحُّ حَيْثُ شَاءَ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ وَمَا ذَاكَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّهُ أَذًى
ইব্নু আতিয়া (র) হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রোগের ছোঁয়াচ বা সংক্রমণ বলে কিছুই নেই। পেঁচা অশুভ পাখি এবং সফর মাসে অমঙ্গলজনক কিছুই নেই। তবে রোগা উটকে সুস্থ উটের সাথে রেখ না (বা বাঁধিও না)। অবশ্য সুস্থ উটকে যেখানে ইচ্ছা রাখতে পার। অতঃপর সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ্! এই রকম কেন? রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রোগ একটি কষ্ট বিশেষ। [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
[১] আরবে, বিশেষত অন্ধকার যুগে সাধারণ মানুষ বিশেষ বস্তু দেখলে উহাকে অশুভ বলে বিশ্বাস করত। যেমন পেঁচা দেখে তারা ধারণা করত যে, আজ অমঙ্গলজনক কিছু ঘটবে। পেঁচা ঘরের ছাঁদে বসলে মনে করত যে, এই ঘর বিরান হয়ে যাবে অথবা এই ঘরে অচিরেই কেউ মারা যাবে। এইগুলোকে এতদ্ব্যতীত অন্ধকার যুগের আরবরা সফর চাঁদকেও অমঙ্গলজনক বলে ধারণা পোষণ করত, অথচ শরীয়তে এই সবের কোনই স্থান নেই। আরবের কাফিরদের বিশ্বাস ছিল, রোগের মধ্যে এমন ক্ষমতা আছে যে, সে ইচ্ছা করলে যে কোন মানুষের দেহে প্রবেশ করে তাকে মেরে ফেলতে পারে। অথচ এটাও ভুল। আমাদের দেশেও এই জাতীয় অনেক রকমের কুধারণা সাধারণ মানুষের অন্তরে বিরাজ করছে। শরীয়তে এই সমস্তের কোনই অস্তিত্ব নেই, বরং এইগুলোকে খারাপ আকীদা বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন উক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে। অবশ্য এই হাদীসে রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোগা উটকে সুস্থ উটের সাথে বাঁধতে এইজন্য নিষেধ করেছেন যে, একটির রোগ অপরটির জন্য কষ্টের কারণ হয় কিংবা দেখতে বিশ্রী দেখায় বলে ঘৃণার উদ্রেক হয়। যেমন যখমে পচন ধরলে দুর্গন্ধ বের হয়। ফলে সুস্থ উটের জন্য ইহা কষ্টের কারণ হয়। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই উদ্দেশ্যে বলেননি যে, একটির রোগ আর একটির মধ্যে প্রবেশ করবে।