পরিচ্ছেদঃ ২
বদ নজরের জন্য ঝাড়ফুঁক করা প্রসঙ্গে
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৬৯০
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৬৯০
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ حُمَيْدِ بْنِ قَيْسٍ الْمَكِّيِّ أَنَّهُ قَالَدُخِلَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِابْنَيْ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ لِحَاضِنَتِهِمَا مَا لِي أَرَاهُمَا ضَارِعَيْنِ فَقَالَتْ حَاضِنَتُهُمَا يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّهُ تَسْرَعُ إِلَيْهِمَا الْعَيْنُ وَلَمْ يَمْنَعْنَا أَنْ نَسْتَرْقِيَ لَهُمَا إِلَّا أَنَّا لَا نَدْرِي مَا يُوَافِقُكَ مِنْ ذَلِكَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَرْقُوا لَهُمَا فَإِنَّهُ لَوْ سَبَقَ شَيْءٌ الْقَدَرَ لَسَبَقَتْهُ الْعَيْنُ
হুমাইদ ইবনু কাইস মক্কী (র) হতে বর্ণিতঃ
জা‘ফর ইব্নু আবী তালিব (রা)-এর দুইটি ছেলেকে রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিয়ে আসা হল। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের আয়া (মহিলা খাদেম)-এর কাছে জিজ্ঞেস করলেন, এই ছেলেরা এত জীর্ণশীর্ণ (দুর্বল) কেন ? আয়া উত্তর দিল, ইয়া রসূলাল্লাহ! তাদের উপর খুব তাড়াতাড়ি (খুব সহজেই) বদ নজর লেগে যায়। আর তাদেরকে কোন রকম ঝাড়ফুঁক করাইনি। কারণ হয়ত বা আপনি উহা পছন্দ করেন না। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এদের জন্য ঝাড়ফুঁকের ব্যবস্থা কর। কেননা যদি কোন বস্তু তকদীরের (কপালের লেখার) অগ্রে কোন কর্ম সম্পন্ন করতে পারত, তবে উহা বদনজর। [১] (সহীহ, তিরমিযী ২০৫৯, ইবনু মাজাহ ৩৫১০, আলবানী হাদীসটি সহীহ বলেছেন [সিলসিলা সহীহা ১২৫২] এবং ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল)
[১] তকদীরে যা লেখা আছে তাই হয়। বদ নজরও তাকদীরের অন্তর্ভূক্ত। তাবীয-দু‘আ ও ঝাড়ফুঁক ইত্যাদিতে যদি শরীআত-বিরুদ্ধ কোন শব্দ বা বাক্য না থাকে, তবে ঐসব তাবীয-দু‘আ ঝড়ফুঁক করানোতে ক্ষতির কিছু নেই।