পরিচ্ছেদঃ ১১
মুকাতাবের আযাদী প্রদানের যে যে পন্থা বৈধ নয়
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৪৯৭
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৪৯৭
قَالَ مَالِك إِذَا كَانَ الْقَوْمُ جَمِيعًا فِي كِتَابَةٍ وَاحِدَةٍ لَمْ يُعْتِقْ سَيِّدُهُمْ أَحَدًا مِنْهُمْ دُونَ مُؤَامَرَةِ أَصْحَابِهِ الَّذِينَ مَعَهُ فِي الْكِتَابَةِ وَرِضًا مِنْهُمْ وَإِنْ كَانُوا صِغَارًا فَلَيْسَ مُؤَامَرَتُهُمْ بِشَيْءٍ وَلَا يَجُوزُ ذَلِكَ عَلَيْهِمْقَالَ وَذَلِكَ أَنَّ الرَّجُلَ رُبَّمَا كَانَ يَسْعَى عَلَى جَمِيعِ الْقَوْمِ وَيُؤَدِّي عَنْهُمْ كِتَابَتَهُمْ لِتَتِمَّ بِهِ عَتَاقَتُهُمْ فَيَعْمِدُ السَّيِّدُ إِلَى الَّذِي يُؤَدِّي عَنْهُمْ وَبِهِ نَجَاتُهُمْ مِنْ الرِّقِّ فَيُعْتِقُهُ فَيَكُونُ ذَلِكَ عَجْزًا لِمَنْ بَقِيَ مِنْهُمْ وَإِنَّمَا أَرَادَ بِذَلِكَ الْفَضْلَ وَالزِّيَادَةَ لِنَفْسِهِ فَلَا يَجُوزُ ذَلِكَ عَلَى مَنْ بَقِيَ مِنْهُمْ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا ضَرَرَ وَلَا ضِرَارَ وَهَذَا أَشَدُّ الضَّرَرِقَالَ مَالِك فِي الْعَبِيدِ يُكَاتَبُونَ جَمِيعًا إِنَّ لِسَيِّدِهِمْ أَنْ يُعْتِقَمِنْهُمْ الْكَبِيرَ الْفَانِيَ وَالصَّغِيرَ الَّذِي لَا يُؤَدِّي وَاحِدٌ مِنْهُمَا شَيْئًا وَلَيْسَ عِنْدَ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَوْنٌ وَلَا قُوَّةٌ فِي كِتَابَتِهِمْ فَذَلِكَ جَائِزٌ لَهُ
মালিক (র) হতে বর্ণিতঃ
ক্রীতদাসদের একদল যদি একই কিতাবাতে সংযুক্ত থাকে, তবে কিতাবাতে শামিল অন্যান্য সাথীর পরামর্শ ও সম্মতি ব্যতীত তাদের একজনকে কর্তা আযাদী দিতে পারবে না, আর উহারা যদি অল্প বয়সের হয়, তবে উহাদের পরামর্শ গ্রহণযোগ্য নয় এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করা বৈধ নয়। মালিক (র) বলেন, ইহা এইজন্য যে, কোন ব্যক্তি হয়ত সকলের পক্ষে চেষ্টা বা পরিশ্রম করতে পারে এবং (চেষ্টা করে) সকলের পক্ষ হতে “বদলে কিতাবাত” পরিশোধ করতে পারে যেন সকলের আযাদী এর দ্বারা পূর্ণতা লাভ করে। আর যে ব্যক্তি সকলের পক্ষ হতে “বদলে কিতাবাত” পরিশোধ করবে এবং গোলামি হতে উহাদের মুক্তি পাওয়া যার উপর নির্ভরশীল কর্তা সেই ব্যক্তিকে আযাদ করে দিচ্ছে যেন অন্যান্য ক্রীতদাস অপারগ হয়ে পড়ে (ফলে যেন উহারা গোলাম থেকে যায়)। কর্তা এইরূপ করে নিজের জন্য কিছু অতিরিক্ত সুবিধা আদায় করতে প্রয়াসী। তাই যারা অবশিষ্ট রয়েছে উহাদের স্বার্থে এইরূপ করা জায়েয হবে না। কেননা রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ইসলামে কারো ক্ষতি সাধন বৈধ নয়। (এমনকি) প্রতিশোধমূলক কারো ক্ষতি সাধনও বৈধ নয়। (অন্যদেরকে ক্রীতদাস রাখার জন্য দলের একজনকে আযাদ করে দেয়া) এতে অন্যদের উপর জঘন্য ধরনের ক্ষতি করা হল।মালিক (র) বলেন কয়েকজন ক্রীতদাস একত্রে কিতাবাত করেছে (তাদের মধ্য হতে) অশীতিপর বৃদ্ধ এবং বালককে আযাদ করে দেয়ার ইখতিয়ার কর্তার রয়েছে যারা কিছু দেয়ার ক্ষমতা রাখে না এবং উহাদের কিতাবাতের মূল্য আদায়ের ব্যাপারে কোন সহযোগী বা সাহায্যকারীও তাদের নেই, তবে (এইরূপ ব্যক্তিকে) আযাদ করা কর্তার জন্য জায়েয আছে।