পরিচ্ছেদঃ ২
মুসাকাতে দাসদের খেদমতের শর্ত করা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৩৮৭
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৩৮৭
قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك إِنَّ أَحْسَنَ مَا سُمِعَ فِي عُمَّالِ الرَّقِيقِ فِي الْمُسَاقَاةِ يَشْتَرِطُهُمْ الْمُسَاقَى عَلَى صَاحِبِ الْأَصْلِ إِنَّهُ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ لِأَنَّهُمْ عُمَّالُ الْمَالِ فَهُمْ بِمَنْزِلَةِ الْمَالِ لَا مَنْفَعَةَ فِيْهِمْ لِلدَّاخِلِ إِلَّا أَنَّهُ تَخِفُّ عَنْهُ بِهِمْ الْمَئُونَةُ وَإِنْ لَمْ يَكُونُوا فِي الْمَالِ اشْتَدَّتْ مَئُونَتُهُ وَإِنَّمَا ذَلِكَ بِمَنْزِلَةِ الْمُسَاقَاةِ فِي الْعَيْنِ وَالنَّضْحِ وَلَنْ تَجِدَ أَحَدًا يُسَاقَى فِي أَرْضَيْنِ سَوَاءٍ فِي الْأَصْلِ وَالْمَنْفَعَةِ إِحْدَاهُمَا بِعَيْنٍ وَاثِنَةٍ غَزِيرَةٍ وَالْأُخْرَى بِنَضْحٍ عَلَى شَيْءٍ وَاحِدٍ لِخِفَّةِ مُؤْنَةِ الْعَيْنِ وَشِدَّةِ مُؤْنَةِ النَّضْحِ قَالَ وَعَلَى ذَلِكَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا قَالَ وَالْوَاثِنَةُ الثَّابِتُ مَاؤُهَا الَّتِي لَا تَغُورُ وَلَا تَنْقَطِعُ ২৬১৯-قَالَ مَالِك وَلَيْسَ لِلْمُسَاقَى أَنْ يَعْمَلَ بِعُمَّالِ الْمَالِ فِي غَيْرِهِ وَلَا أَنْ يَشْتَرِطَ ذَلِكَ عَلَى الَّذِي سَاقَاهُ.قَالَ مَالِك وَلَا يَجُوزُ لِلَّذِي سَاقَى أَنْ يَشْتَرِطَ عَلَى رَبِّ الْمَالِ رَقِيقًا يَعْمَلُ بِهِمْ فِي الْحَائِطِ لَيْسُوا فِيهِ حِينَ سَاقَاهُ إِيَّاه ২৬২১-قَالَ مَالِك وَلَا يَنْبَغِي لِرَبِّ الْمَالِ أَنْ يَشْتَرِطَ عَلَى الَّذِي دَخَلَ فِي مَالِهِ بِمُسَاقَاةٍ أَنْ يَأْخُذَ مِنْ رَقِيقِ الْمَالِ أَحَدًا يُخْرِجُهُ مِنْ الْمَالِ وَإِنَّمَا مُسَاقَاةُ الْمَالِ عَلَى حَالِهِ الَّذِي هُوَ عَلَيْهِ قَالَ فَإِنْ كَانَ صَاحِبُ الْمَالِ يُرِيدُ أَنْ يُخْرِجَ مِنْ رَقِيقِ الْمَالِ أَحَدًا فَلْيُخْرِجْهُ قَبْلَ الْمُسَاقَاةِ أَوْ يُرِيدُ أَنْ يُدْخِلَ فِيهِ أَحَدًا فَلْيَفْعَلْ ذَلِكَ قَبْلَ الْمُسَاقَاةِ ثُمَّ يُسَاقِي بَعْدَ ذَلِكَ إِنْ شَاءَ قَالَ وَمَنْ مَاتَ مِنْ الرَّقِيقِ أَوْ غَابَ أَوْ مَرِضَ فَعَلَى رَبِّ الْمَالِ أَنْ يُخْلِفَهُ.
মালিক (র) হতে বর্ণিতঃ
মুসাকাতে দাসের শ্রমের বিষয়ে আমি উত্তম যা শুনেছি তা এই-মুসাকাতে যদি শ্রমিক বাগানের মালিকের নিকট এই শর্ত করে যে, কাজকর্মের জন্য যে দাস পূর্ব হতে যুক্ত ছিল উহা এখনও শ্রমে নিযুক্ত থাকবে। তাতে কোন ক্ষতি নেই। কারণ তারা এই বাগানে পূর্ব হতে শ্রমে নিযুক্ত রয়েছে এতে শ্রমিকের কোন লাভ নেই। শুধু এইটুকু যে, দাসীদের দ্বারা মুসাকাতের শ্রমিকের শ্রমের কিছুটা লাঘব হবে। উহাদের অবর্তমানে তার শ্রম বাড়বে। এর দৃষ্টান্ত এইরূপ, যেমন এক সেচের কার্য ঐ বাগানে হয় যেখানে পানির কূপ রয়েছে আর এক প্রকার ঐ বাগানে হয়, যেখানে পানি ইত্যাদি উটের সাহায্যে বহন করে আনতে হয়। এই উভয় প্রকার এক সমান নয়। ফলে উভয় প্রকার বাগানে একই রকম বিনিময়ে মুসাকাত করতে কেউ রাজী হবে না। কেননা প্রথম প্রকারে পরিশ্রম কম হবে, দ্বিতীয়টিতে অধিক হবে।মালিক (র) বলেন ওয়াসিতা হচ্ছে এমন কূপ যার পানি সব সময় থাকে।মালিক (র) বলেন শরীকানা বাগানে শ্রমের দায়িত্ব যার তার জন্য ইহাও বৈধ হবে না যে, ঐ গোলামদের দ্বারা সে কোন অন্য কাজ নেয় বা মালিকের নিকট অন্য কাজের শর্ত করে।মালিক (র) বলেন বাগানের মালিকের পক্ষে ঐ সমস্ত গোলামের যে গোলাম পূর্ব হতে বাগানের কাজে নিযুক্ত ছিল তাদের সংখ্যা কমাতে শর্ত করা বৈধ হবে না। মুসাকাতের সময় যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায় সবকিছু থাকতে দিতে হবে। যদি কোন গোলামকে ছাঁটাই করতে চায় তবে।মালিক (র) বলেন মুসাকাতের পূর্বেই ছাঁটাই করতে হবে। এইরূপ যদি বাড়াতে চায় তবে মুসাকাতের পূর্বেই বাড়াতে হবে। তৎপর মুসাকাত করতে যদি ইচ্ছা করে, বাগানের গোলামদের মধ্যে যদি কেউ মারা যায় বা নিরুদ্দেশ হয়ে যায়, তবে বাগানের মালিককে অন্য গোলাম দিতে হবে।