পরিচ্ছেদ ১৪ :
শরীকী কারবারের হিসাব
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৩৮৩
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৩৮৩
قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا فَعَمِلَ فِيهِ فَرَبِحَ فَأَرَادَ أَنْ يَأْخُذَ حِصَّتَهُ مِنْ الرِّبْحِ وَصَاحِبُ الْمَالِ غَائِبٌ قَالَ لَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَأْخُذَ مِنْهُ شَيْئًا إِلَّا بِحَضْرَةِ صَاحِبِ الْمَالِ وَإِنْ أَخَذَ شَيْئًا فَهُوَ لَهُ ضَامِنٌ حَتَّى يُحْسَبَ مَعَ الْمَالِ إِذَا اقْتَسَمَاهُ.قَالَ مَالِك لَا يَجُوزُ لِلْمُتَقَارِضَيْنِ أَنْ يَتَحَاسَبَا وَيَتَفَاصَلَا وَالْمَالُ غَائِبٌ عَنْهُمَا حَتَّى يَحْضُرَ الْمَالُ فَيَسْتَوْفِي صَاحِبُ الْمَالِ رَأْسَ مَالِهِ ثُمَّ يَقْتَسِمَانِ الرِّبْحَ عَلَى شَرْطِهِمَاقَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ أَخَذَ مَالًا قِرَاضًا فَاشْتَرَى بِهِ سِلْعَةً وَقَدْ كَانَ عَلَيْهِ دَيْنٌ فَطَلَبَهُ غُرَمَاؤُهُ فَأَدْرَكُوهُ بِبَلَدٍ غَائِبٍ عَنْ صَاحِبِ الْمَالِ وَفِي يَدَيْهِ عَرْضٌ مُرَبَّحٌ بَيِّنٌ فَضْلُهُ فَأَرَادُوا أَنْ يُبَاعَ لَهُمْ الْعَرْضُ فَيَأْخُذُوا حِصَّتَهُ مِنْ الرِّبْحِ قَالَ لَا يُؤْخَذُ مِنْ رِبْحِ الْقِرَاضِ شَيْءٌ حَتَّى يَحْضُرَ صَاحِبُ الْمَالِ فَيَأْخُذَ مَالَهُ ثُمَّ يَقْتَسِمَانِ الرِّبْحَ عَلَى شَرْطِهِمَاقَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا فَتَجَرَ فِيهِ فَرَبِحَ ثُمَّ عَزَلَ رَأْسَ الْمَالِ وَقَسَمَ الرِّبْحَ فَأَخَذَ حِصَّتَهُ وَطَرَحَ حِصَّةَ صَاحِبِ الْمَالِ فِي الْمَالِ بِحَضْرَةِ شُهَدَاءَ أَشْهَدَهُمْ عَلَى ذَلِكَ قَالَ لَا تَجُوزُ قِسْمَةُ الرِّبْحِ إِلَّا بِحَضْرَةِ صَاحِبِ الْمَالِ وَإِنْ كَانَ أَخَذَ شَيْئًا رَدَّهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَ صَاحِبُ الْمَالِ رَأْسَ مَالِهِ ثُمَّ يَقْتَسِمَانِ مَا بَقِيَ بَيْنَهُمَا عَلَى شَرْطِهِمَاقَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا فَعَمِلَ فِيهِ فَجَاءَهُ فَقَالَ لَهُ هَذِهِ حِصَّتُكَ مِنْ الرِّبْحِ وَقَدْ أَخَذْتُ لِنَفْسِي مِثْلَهُ وَرَأْسُ مَالِكَ وَافِرٌ عِنْدِي قَالَ مَالِك لَا أُحِبُّ ذَلِكَ حَتَّى يَحْضُرَ الْمَالُ كُلُّهُ فَيُحَاسِبَهُ حَتَّى يَحْصُلَ رَأْسُ الْمَالِ وَيَعْلَمَ أَنَّهُ وَافِرٌ وَيَصِلَ إِلَيْهِ ثُمَّ يَقْتَسِمَانِ الرِّبْحَ بَيْنَهُمَا ثُمَّ يَرُدُّ إِلَيْهِ الْمَالَ إِنْ شَاءَ أَوْ يَحْبِسُهُ وَإِنَّمَا يَجِبُ حُضُورُ الْمَالِ مَخَافَةَ أَنْ يَكُونَ الْعَامِلُ قَدْ نَقَصَ فِيهِ فَهُوَ يُحِبُّ أَنْ لَا يُنْزَعَ مِنْهُ وَأَنْ يُقِرَّهُ فِي يَدِهِ.
মালিক (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
যদি ব্যবসায়ী ব্যবসা করে লাভ করল আর পুঁজি বিনিয়োগকারীর অনুপস্থিতিতে নিজের লভ্যাংশ নিতে ইচ্ছা করলে তবে ইহা বৈধ হবে না, যতক্ষণ না অর্থ বিনিয়োগকারী উপস্থিত হয়। যদি তার অনুপস্থিতিতেই নিয়ে নেয়, তবে সে এর জন্য দায়ী হবে, উভয়ের মধ্যে বণ্টনের সময় উক্ত মাল একত্রিত করা পর্যন্ত।মালিক (রহঃ) বলেনঃ পুঁজি বিনিয়োগকারীর জন্য ইহা বৈধ হবে না যে, মাল না দেখে লভ্যাংশের হিসাব করবে, বরং মাল উপস্থাপন প্রয়োজন হবে। প্রথমে পুঁজি বিনিয়োগকারী মূলধন নিয়ে নিবে। পরে শর্তানুযায়ী লভ্যাংশ ভাগ করবে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি ব্যবসায়ী কোন সামগ্রী ক্রয় করে আর ব্যবসায়ীর ঋণদাতাগণ তা আটকিয়ে বলে, এই মাল বিক্রয় করে যে লাভ হবে তোমার অংশে উহা হতে আমরা আমাদের পাওনা নিয়ে নিব। যদি পুঁজি বিনিয়োগকারীর অনুপস্থিতিতে এইরূপ করে তবে ইহা অবৈধ হবে। পুঁজি বিনিয়োগকারী তার মূলধন বের করে লওয়ার পর লভ্যাংশ ভাগ করা হবে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি ব্যবসায়ী ব্যবসা করে লাভ করে এবং পুঁজি বিনিয়োগকারীর অবর্তমানে মূলধন পৃথক করে লভ্যাংশ সাক্ষীদের সম্মুখে ভাগ করে নেয় ইহা অবৈধ হবে। যদি পুঁজি বিনিয়োগকারী আসার পূর্বে এইরূপ করেও ফেলে, তবে উহা ফেরত দিতে হবে, পুঁজি বিনিয়োগকারী এসে প্রথমে তার মূলধন পৃথক করে নিবে, তারপর অবশিষ্ট লভ্যাংশ ভাগ করা হবে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ ব্যবসায়ী ব্যবসা করে লাভ করল এবং সে পুঁজি বিনিয়োগকারীর লভ্যাংশ নিয়ে উপস্থিত হল এবং বলতে লাগল, ইহা তোমার লাভের অংশ। আমিও এইটুকু নিয়েছি। আর তোমার মূলধন আমার নিকট জমা রয়েছে, তবে এইরূপ করা অবৈধ হবে, বরং সে সমস্ত মূলধন ও লাভ নিয়ে পুঁজি বিনিয়োগকারীর সম্মুখে উপস্থিত করবে। অতঃপর পুঁজির মালিকের ইখতিয়ার রয়েছে, হয় মূলধন নিয়ে নিজে রেখে দিবে বা পুনরায় ব্যবসায়ীকে দিবে।