পরিচ্ছেদ ৬ :
পণ্যদ্রব্য ইত্যাদিতে শরীকী কারবার
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৩৭৫
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৩৭৫
قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يُقَارِضَ أَحَدًا إِلَّا فِي الْعَيْنِ لِأَنَّهُ لَا تَنْبَغِي الْمُقَارَضَةُ فِي الْعُرُوضِ لِأَنَّ الْمُقَارَضَةَ فِي الْعُرُوضِ إِنَّمَا تَكُونُ عَلَى أَحَدِ وَجْهَيْنِ إِمَّا أَنْ يَقُولَ لَهُ صَاحِبُ الْعَرْضِ خُذْ هَذَا الْعَرْضَ فَبِعْهُ فَمَا خَرَجَ مِنْ ثَمَنِهِ فَاشْتَرِ بِهِ وَبِعْ عَلَى وَجْهِ الْقِرَاضِ فَقَدْ اشْتَرَطَ صَاحِبُ الْمَالِ فَضْلًا لِنَفْسِهِ مِنْ بَيْعِ سِلْعَتِهِ وَمَا يَكْفِيهِ مِنْ مَئُونَتِهَا أَوْ يَقُولَ اشْتَرِ بِهَذِهِ السِّلْعَةِ وَبِعْ فَإِذَا فَرَغْتَ فَابْتَعْ لِي مِثْلَ عَرْضِي الَّذِي دَفَعْتُ إِلَيْكَ فَإِنْ فَضَلَ شَيْءٌ فَهُوَ بَيْنِي وَبَيْنَكَ وَلَعَلَّ صَاحِبَ الْعَرْضِ أَنْ يَدْفَعَهُ إِلَى الْعَامِلِ فِي زَمَنٍ هُوَ فِيهِ نَافِقٌ كَثِيرُ الثَّمَنِ ثُمَّ يَرُدَّهُ الْعَامِلُ حِينَ يَرُدُّهُ وَقَدْ رَخُصَ فَيَشْتَرِيَهُ بِثُلُثِ ثَمَنِهِ أَوْ أَقَلَّ مِنْ ذَلِكَ فَيَكُونُ الْعَامِلُ قَدْ رَبِحَ نِصْفَ مَا نَقَصَ مِنْ ثَمَنِ الْعَرْضِ فِي حِصَّتِهِ مِنْ الرِّبْحِ أَوْ يَأْخُذَ الْعَرْضَ فِي زَمَانٍ ثَمَنُهُ فِيهِ قَلِيلٌ فَيَعْمَلُ فِيهِ حَتَّى يَكْثُرَ الْمَالُ فِي يَدَيْهِ ثُمَّ يَغْلُو ذَلِكَ الْعَرْضُ وَيَرْتَفِعُ ثَمَنُهُ حِينَ يَرُدُّهُ فَيَشْتَرِيهِ بِكُلِّ مَا فِي يَدَيْهِ فَيَذْهَبُ عَمَلُهُ وَعِلَاجُهُ بَاطِلًا فَهَذَا غَرَرٌ لَا يَصْلُحُ فَإِنْ جُهِلَ ذَلِكَ حَتَّى يَمْضِيَ نُظِرَ إِلَى قَدْرِ أَجْرِ الَّذِي دُفِعَ إِلَيْهِ الْقِرَاضُ فِي بَيْعِهِ إِيَّاهُ وَعِلَاجِهِ فَيُعْطَاهُ ثُمَّ يَكُونُ الْمَالُ قِرَاضًا مِنْ يَوْمَ نَضَّ الْمَالُ وَاجْتَمَعَ عَيْنًا وَيُرَدُّ إِلَى قِرَاضٍ مِثْلِهِ.
মালিক (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
শরীকী কারবার শুধু সোনা চাঁদিতে হবে, পণ্যদ্রব্যে হবে না, কেননা পণ্য সামগ্রীতে শরীকী কারবার দুই প্রকারে হতে পারে; প্রথমত পুঁজি বিনিয়োগকারী ব্যবসায়ীকে পণ্য সামগ্রী দিয়ে বলবে, ইহা বিক্রয় করে ঐ টাকা দিয়ে কারবার কর- ইহা বৈধ নয়। কেননা এতে অর্থ বিনিয়োগকারীর এক বিশেষ উপকার এই রয়েছে যে, তার মাল নির্বিঘ্নে বিক্রয় হয়ে গেল; দ্বিতীয়ত, অর্থ বিনিয়োগকারী পণ্যসামগ্রী দিয়ে বলে দিল এর বিনিময়ে অন্য সামগ্রী ক্রয় করে নাও এবং ব্যবসা করতে থাক, যখন লেনদেন শেষ করতে ইচ্ছা কর তখন এই সামগ্রী আমাকে বাজার হতে খরিদ করে দিও। আর যা অতিরিক্ত থাকে তা আমরা ভাগ করে নিব, তবে এটাও অবৈধ হবে। কেননা এতে ধোঁকার আশংকা রয়েছে, হয়তো তখন এই মাল অধিক মূল্যে ক্রয় করতে হবে। আর সামগ্রী দেওয়ার সময় যে দাম ছিল সেই দাম হতে যদি এখন সস্তা হয়ে গিয়ে থাকে, তবে ব্যবসায়ীর সামগ্রীর মূল্যের হ্রাস অনুসারে লাভ করে যাবে বা আসল ও লাভ সমস্তই তা খরিদ করতে ব্যয় হয়ে যাবে, আর ব্যবসায়ীর মেহনত বৃথা যাবে। তবুও যদি কেউ এইরূপ লেনদেন করেই ফেলে তবে ব্যবসায়ীকে প্রথমে সামগ্রী বিক্রয়ের নিয়ম মতো পারিশ্রমিক দিতে হবে। আর যে দিন হতে মূলধন নগদ টাকা হল সেদিন হতে শরীকী কারবার শুরু হবে। অতঃপর কারবার শেষ হওয়ার সময় এই পরিমাণ মূলধনই ধরা হবে।