পরিচ্ছেদ ১ :
কিরায [১] সম্পর্কে রেওয়ায়ত
[১] কিরায ও মুযারাবা একই অর্থে ব্যবহৃত হয় অর্থাৎ শরীকী কারবার করা। একজনের শ্রম অন্যজনের টাকা। মুনাফা উভয়ে ভাগ করে নিবে।
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৩৬৯
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৩৬৯
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ خَرَجَ عَبْدُ اللهِ وَعُبَيْدُ اللهِ ابْنَا عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي جَيْشٍ إِلَى الْعِرَاقِ فَلَمَّا قَفَلَا مَرَّا عَلَى أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ وَهُوَ أَمِيرُ الْبَصْرَةِ فَرَحَّبَ بِهِمَا وَسَهَّلَ ثُمَّ قَالَ لَوْ أَقْدِرُ لَكُمَا عَلَى أَمْرٍ أَنْفَعُكُمَا بِهِ لَفَعَلْتُ ثُمَّ قَالَ بَلَى هَاهُنَا مَالٌ مِنْ مَالِ اللهِ أُرِيدُ أَنْ أَبْعَثَ بِهِ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ فَأُسْلِفُكُمَاهُ فَتَبْتَاعَانِ بِهِ مَتَاعًا مِنْ مَتَاعِ الْعِرَاقِ ثُمَّ تَبِيعَانِهِ بِالْمَدِينَةِ فَتُؤَدِّيَانِ رَأْسَ الْمَالِ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ وَيَكُونُ الرِّبْحُ لَكُمَا فَقَالَا وَدِدْنَا ذَلِكَ فَفَعَلَ وَكَتَبَ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنْ يَأْخُذَ مِنْهُمَا الْمَالَ فَلَمَّا قَدِمَا بَاعَا فَأُرْبِحَا فَلَمَّا دَفَعَا ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ قَالَ أَكُلُّ الْجَيْشِ أَسْلَفَهُ مِثْلَ مَا أَسْلَفَكُمَا قَالَا لَا فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ابْنَا أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ فَأَسْلَفَكُمَا أَدِّيَا الْمَالَ وَرِبْحَهُ فَأَمَّا عَبْدُ اللهِ فَسَكَتَ وَأَمَّا عُبَيْدُ اللهِ فَقَالَ مَا يَنْبَغِي لَكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ هَذَا لَوْ نَقَصَ هَذَا الْمَالُ أَوْ هَلَكَ لَضَمِنَّاهُ فَقَالَ عُمَرُ أَدِّيَاهُ فَسَكَتَ عَبْدُ اللهِ وَرَاجَعَهُ عُبَيْدُ اللهِ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ جُلَسَاءِ عُمَرَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لَوْ جَعَلْتَهُ قِرَاضًا فَقَالَ عُمَرُ قَدْ جَعَلْتُهُ قِرَاضًا فَأَخَذَ عُمَرُ رَأْسَ الْمَالِ وَنِصْفَ رِبْحِهِ وَأَخَذَ عَبْدُ اللهِ وَعُبَيْدُ اللهِ ابْنَا عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ نِصْفَ رِبْحِ الْمَالِ.
যায়দ ইবন আসলাম (রহঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণিতঃ
উমার ইবন খাত্তাব (রা)-এর দুই পুত্র আবদুল্লাহ্ ও উবায়দুল্লাহ্ জিহাদের উদ্দেশ্যে এক কাফেলার সাথে ইরাক যাত্রা করলেন। ফিরবার সময় তাঁরা আবূ মূসা আশ’আরী (রা)-এর নিকট গেলেন। তিনি তখন বসরার আমীর ছিলেন। তিনি তাঁদের স্বাগতম জানিয়ে বললেন, যদি আমি তোমাদের কোন উপকার করতে পারতাম তা হলে নিশ্চয়ই তা করতাম। ঠিক আছে আমার নিকট আল্লাহর কিছু সম্পদ রয়েছে, আমি তা আমীরুল মু’মিনীনের নিকট পাঠাতে ইচ্ছা করেছি। আমি উহা তোমাদেরকে দিয়ে দিচ্ছি। তোমরা উহা দ্বারা ইরাক হতে কিছু বস্তু খরিদ করে নাও, পরে উহা মদীনায় বিক্রয় করে কিছু মুনাফা অর্জন করতে পার। তারা বললেন, আমরাও তাই চাচ্ছি। পরে আবূ মূসা তাই করলেন এবং উমার ইবন খাত্তাব (রা)-কে লিখে পাঠালেন যে, তাঁদের নিকট হতে মূলধন নিয়ে নিবেন। তাঁরা মদীনায় পৌঁছে ঐ বস্তু বিক্রয় করে অনেক মুনাফা অর্জন করলেন। মূল অর্থ নিয়ে উমার ইবন খাত্তাব (রা)-এর নিকট উপস্থিত হলেন। উমার ইবন খাত্তাব (রা) জিজ্ঞেস করলেন, আবূ মূসা কি প্রত্যেক সৈনিককে এত অর্থ ঋণ দিয়েছেন? তাঁরা বললেন, না। উমার ইবন খাত্তার (রাঃ) বললেন, তিনি তোমাদেরকে আমীরুল মু’মিনীনের পুত্র হিসেবে এই অর্থ দিয়েছেন। তোমরা মূল অর্থ এবং মুনাফা উভয়টাই আদায় কর। শুনে আবদুল্লাহ্ তো চুপ করে রইলেন। কিন্তু উবায়দুল্লাহ্ বললেন, আমীরুল মু’মিনীন, আপনার এইরূপ করা উচিত হবে না। কারণ যদি এই অর্থ নষ্ট হয়ে যেত বা ক্ষতি হত, তবে আমরা উহার জন্য জিম্মাদার হতাম। উমার (রা) বললেন, না তোমরা সমস্তই দিয়ে দাও। আবদুল্লাহ্ চুপই রইলেন কিন্তু উবায়দুল্লাহ্ তার উক্তির পুনরাবৃত্তি করলেন। তখন উমার (রা)-এর উপদেষ্টা (আবদুর রহমান ইবন আউফ রা) বললেন, আমীরুল মু’মিনীন! এই ব্যাপারকে বা’য়ই-মুযারাবা সাব্যস্ত করতে পারেন, এটাই উত্তম হবে। উমার (রা) বললেন, উহাই সাব্যস্ত করলাম। পরে তিনি মূলধন এবং অর্ধেক মুনাফা গ্রহণ করলেন আর অর্ধেক মুনাফা গ্রহণ করলেন আবদুল্লাহ্ ও উবায়দুল্লাহ্। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)