পরিচ্ছেদ ৪৫ :
ক্রয়-বিক্রয়ে যা নিষিদ্ধ
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৩৬৩
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৩৬৩
و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا تَلَقَّوْا الرُّكْبَانَ لِلْبَيْعِ وَلَا يَبِعْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَيْعِ بَعْضٍ وَلَا تَنَاجَشُوا وَلَا يَبِعْ حَاضِرٌ لِبَادٍ وَلَا تُصَرُّوا الْإِبِلَ وَالْغَنَمَ فَمَنْ ابْتَاعَهَا بَعْدَ ذَلِكَ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ بَعْدَ أَنْ يَحْلُبَهَا إِنْ رَضِيَهَا أَمْسَكَهَا وَإِنْ سَخِطَهَا رَدَّهَا وَصَاعًا مِنْ تَمْرٍ.قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا نُرَى وَاللهُ أَعْلَمُ لَا يَبِعْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَيْعِ بَعْضٍ أَنَّهُ إِنَّمَا نَهَى أَنْ يَسُومَ الرَّجُلُ عَلَى سَوْمِ أَخِيهِ إِذَا رَكَنَ الْبَائِعُ إِلَى السَّائِمِ وَجَعَلَ يَشْتَرِطُ وَزْنَ الذَّهَبِ وَيَتَبَرَّأُ مِنْ الْعُيُوبِ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِمَّا يُعْرَفُ بِهِ أَنَّ الْبَائِعَ قَدْ أَرَادَ مُبَايَعَةَ السَّائِمِ فَهَذَا الَّذِي نَهَى عَنْهُ وَاللهُ أَعْلَمُ.قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ بِالسَّوْمِ بِالسِّلْعَةِ تُوقَفُ لِلْبَيْعِ فَيَسُومُ بِهَا غَيْرُ وَاحِدٍ ২৫২قَالَ وَلَوْ تَرَكَ النَّاسُ السَّوْمَ عِنْدَ أَوَّلِ مَنْ يَسُومُ بِهَا أُخِذَتْ بِشِبْهِ الْبَاطِلِ مِنْ الثَّمَنِ وَدَخَلَ عَلَى الْبَاعَةِ فِي سِلَعِهِمْ الْمَكْرُوهُ وَلَمْ يَزَلْ الْأَمْرُ عِنْدَنَا عَلَى هَذَا.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বণিকদের সাথে তাদের পণ্য খরিদ করার জন্য আগে আগে মিলিত হইও না। [১] আর কেউ যেন একজনের ক্রয়ের উপর ক্রয় না করে, আর একে অন্যের উপর নাজাশ [২] করো না। আর কোন শহরবাসী যেন কোন গ্রামবাসীর পক্ষ হতে বিক্রয় না করে। আর উট এবং বকরীর স্তনে দুধ জমা [৩] করে রেখো না যদি কেউ এইরূপ উট ও বকরী ক্রয় করে, যদি পরে উহার অবস্থা অবগত হয় তবে তার ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে, ইচ্ছা হলে রাখবে আর উহা ফেরত দেবার অধিকারও তার থাকবে। যদি ফেরত দেয়, তবে যেন দুধের পরিবর্তে এক সা’ [৪] খেজুর দিয়ে দেয়। (বুখারী ২১৫০, মুসলিম ১৫১৫)মালিক (রহঃ) বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একে অন্যের ক্রয়ের উপর ক্রয় করো না। উহার ব্যাখ্যা হল, একজন যেন অন্যজনের দাম বলার সময় দাম না করে। যখন বিক্রেতার ক্রেতার নিকট বিক্রয় করতে আগ্রহ প্রকাশ পায় এবং পণ্যের দাম ঠিক করে পণ্যকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আরম্ভ করে অথবা এমন কোন কাজ করে যাতে মনে হয় যে, বিক্রেতা প্রথম ক্রেতার নিকট বিক্রয় করতে ইচ্ছুক। এমতাবস্থায় অন্য কাউকে দাম করতে নিষেধ করা হয়েছে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি বিক্রেতা প্রথম ব্যক্তির দামে বিক্রয় করতে রাযী না হয় বরং মাল বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে রাখা হয় তবে সকলেই উহার মূল্য বলতে পারে। যদি একজনের দাম বলার সাথে সাথে অন্যের দাম বলা নিষেধ হত, তবে নামমাত্র মূল্যের বিনিময়ে প্রথম ক্রেতা উহা গ্রহণ করতে পারত এবং বিক্রেতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে। মদীনায় বর্ধিত মূল্যে ক্রয় করার বরাবর রেওয়াজ ছিল।
[১] যখন কেউ বাহির হতে খাদ্যদ্রব্য শহরে আনতে থাকে তখন শহরের বাহিরে গিয়ে তা হতে ক্রয় করা নিষিদ্ধ। এটার দুটি দিক হতে পারেঃশহরে দুর্ভিক্ষ। এমতাবস্থায় সে ক্রয় করে শহরে এনে ইচ্ছামত মূল্যে বিক্রয় করবে। যদি সে ক্রয় না করত তা হলে ঐ খাদ্য বস্তু শহরে আসত আর সর্বসাধারণ উহা সঙ্গত মূল্যে খরিদ করতে পারত।শহরে দুর্ভিক্ষ না হলেও যারা উহা বিক্রয় করতে আনতেছিল শহরের বাজারদর তাদের জানা না থাকায় এই ব্যক্তি ধোঁকা দিয়ে সস্তায় তাদের দ্রব্য ক্রয় করে তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।[২] নাজাশ করো নাঃ নাজাশ হচ্ছে নিলামের সময় যে খরিদ করবে না সেও দালালের দলে থেকে অতিরিক্ত ডাক দিয়ে ঐ বস্তুর দাম বাড়িয়ে দেয়, অন্যকে ধোঁকায় ফেলে।[৩] দুধ জমা করাঃ উট বকরী বিক্রয় করার সময় অনেকে ২/৩ দিন পূর্ব হতে উহাদের স্তনে দুধ জমা করে থাকে, যাতে খরিদ্দার তাকে অনেক দুধওয়ালা মনে করে।[৪] সা’ একটি পরিমাপের পাত্র বিশেষ যা আড়াই কেজীর সমপরিমাণ হয়।