পরিচ্ছেদ ৪৩ :
‘সালাফ’-এর যা বৈধ
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৩৫৭
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৩৫৭
و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ حُمَيْدِ بْنِ قَيْسٍ الْمَكِّيِّ عَنْ مُجَاهِدٍ أَنَّهُ قَالَ اسْتَسْلَفَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ مِنْ رَجُلٍ دَرَاهِمَ ثُمَّ قَضَاهُ دَرَاهِمَ خَيْرًا مِنْهَا فَقَالَ الرَّجُلُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ هَذِهِ خَيْرٌ مِنْ دَرَاهِمِي الَّتِي أَسْلَفْتُكَ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ قَدْ عَلِمْتُ وَلَكِنْ نَفْسِي بِذَلِكَ طَيِّبَةٌ.قَالَ مَالِك لَا بَأْسَ بِأَنْ يُقْبِضَ مَنْ أُسْلِفَ شَيْئًا مِنْ الذَّهَبِ أَوْ الْوَرِقِ أَوْ الطَّعَامِ أَوْ الْحَيَوَانِ مِمَّنْ أَسْلَفَهُ ذَلِكَ أَفْضَلَ مِمَّا أَسْلَفَهُ إِذَا لَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عَلَى شَرْطٍ مِنْهُمَا أَوْ عَادَةٍ فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ عَلَى شَرْطٍ أَوْ وَأْيٍ أَوْ عَادَةٍ فَذَلِكَ مَكْرُوهٌ وَلَا خَيْرَ فِيهِ قَالَ وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى جَمَلًا رَبَاعِيًا خِيَارًا مَكَانَ بَكْرٍ اسْتَسْلَفَهُ وَأَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ اسْتَسْلَفَ دَرَاهِمَ فَقَضَى خَيْرًا مِنْهَا فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ عَلَى طِيبِ نَفْسٍ مِنْ الْمُسْتَسْلِفِ وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عَلَى شَرْطٍ وَلَا وَأْيٍ وَلَا عَادَةٍ كَانَ ذَلِكَ حَلَالًا لَا بَأْسَ بِهِ.
মুজাহিদ (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ্ ইবন ‘উমার (রাঃ) এক ব্যক্তির নিকট হতে কিছু দিরহাম কর্জ নিলেন। অতঃপর আদায় করবার সময় যে দিরহাম ঋণস্বরূপ নিয়েছিলেন উহা হতে উৎকৃষ্ট দিরহাম দিলেন। ঐ ব্যক্তি বলল, হে আবূ আবদুর রহমান! এই দিরহাম আমার দিরহাম হতে উৎকৃষ্ট যা আমি আপনাকে ধার দিয়েছিলাম। আবদুল্লাহ্ ইবন উমার বললেন, আমার তা জানা আছে তবুও আমি খুশী হয়ে উহা দিয়েছি। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কাউকেও স্বর্ণরৌপ্য বা কোন খাদ্যদ্রব্য ধার দেয় তবে ফেরত নেবার সময় যাকে ধার দিয়েছিল তা হতে উৎকৃষ্ট বস্তু গ্রহণ করাতে কোন দোষ নেই, যদি এইরূপ কোন শর্ত করে না থাকে বা ইহা নিয়মে পরিণত না হয়; যদি শর্ত করে বা এইরূপ দেওয়ার নিয়ম থাকে তবে উহা মাকরূহ্।মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহা এইজন্য যে, রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম উটের বাচ্চা ধার নিয়ে বড় বয়স্ক উট দিয়েছিলেন আর আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ) দিরহাম নিয়ে উহা হতে উৎকৃষ্ট দিরহাম দিয়েছিলেন। যদি এটা খাতকের সন্তুষ্ট মনে হয়ে থাকে আর এটার জন্য কোন শর্ত বা রীতি না থাকে তবে এটা হালাল, এতে কোন ক্ষতি নেই।