পরিচ্ছেদ ৩৩ :
এক বিক্রয়ে দুই বিক্রয় ঢুকান নিষিদ্ধ
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৩৪১
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৩৪১
و حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ اشْتَرَى سِلْعَةً بِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ نَقْدًا أَوْ بِخَمْسَةَ عَشَرَ دِينَارًا إِلَى أَجَلٍ فَكَرِهَ ذَلِكَ وَنَهَـى عَنْهُا.قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ ابْتَاعَ سِلْعَةً مِنْ رَجُلٍ بِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ نَقْدًا أَوْ بِخَمْسَةَ عَشَرَ دِينَارًا إِلَى أَجَلٍ قَدْ وَجَبَتْ لِلْمُشْتَرِي بِأَحَدِ الثَّمَنَيْنِ إِنَّهُ لَا يَنْبَغِي ذَلِكَ لِأَنَّهُ إِنْ أَخَّرَ الْعَشَرَةَ كَانَتْ خَمْسَةَ عَشَرَ إِلَى أَجَلٍ وَإِنْ نَقَدَ الْعَشَرَةَ كَانَ إِنَّمَا اشْتَرَى بِهَا الْخَمْسَةَ عَشَرَ الَّتِي إِلَى أَجَلٍقَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ اشْتَرَى مِنْ رَجُلٍ سِلْعَةً بِدِينَارٍ نَقْدًا أَوْ بِشَاةٍ مَوْصُوفَةٍ إِلَى أَجَلٍ قَدْ وَجَبَ عَلَيْهِ بِأَحَدِ الثَّمَنَيْنِ إِنَّ ذَلِكَ مَكْرُوهٌ لَا يَنْبَغِي لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ نَهَى عَنْ بَيْعَتَيْنِ فِي بَيْعَةٍ وَهَذَا مِنْ بَيْعَتَيْنِ فِي بَيْعَةٍقَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ قَالَ لِرَجُلٍ أَشْتَرِي مِنْكَ هَذِهِ الْعَجْوَةَ خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا أَوْ الصَّيْحَانِيَّ عَشَرَةَ أَصْوُعٍ أَوْ الْحِنْطَةَ الْمَحْمُولَةَ خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا أَوْ الشَّامِيَّةَ عَشَرَةَ أَصْوُعٍ بِدِينَارٍ قَدْ وَجَبَتْ لِي إِحْدَاهُمَا إِنَّ ذَلِكَ مَكْرُوهٌ لَا يَحِلُّ وَذَلِكَ أَنَّهُ قَدْ أَوْجَبَ لَهُ عَشَرَةَ أَصْوُعٍ صَيْحَانِيًّا فَهُوَ يَدَعُهَا وَيَأْخُذُ خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا مِنْ الْعَجْوَةِ أَوْ تَجِبُ عَلَيْهِ خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا مِنْ الْحِنْطَةِ الْمَحْمُولَةِ فَيَدَعُهَا وَيَأْخُذُ عَشَرَةَ أَصْوُعٍ مِنْ الشَّامِيَّةِ فَهَذَا أَيْضًا مَكْرُوهٌ لَا يَحِلُّ وَهُوَ أَيْضًا يُشْبِهُ مَا نُهِيَ عَنْهُ مِنْ بَيْعَتَيْنِ فِي بَيْعَةٍ وَهُوَ أَيْضًا مِمَّا نُهِيَ عَنْهُ أَنْ يُبَاعَ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ مِنْ الطَّعَامِ اثْنَانِ بِوَاحِدٍا.
মালিক (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
কাসিম ইবনু মুহাম্মদকে প্রশ্ন করা হল এক ব্যক্তি সম্পর্কে যে ব্যক্তি কোন পণ্য ক্রয় করল নগদ মূল্যে দশ দীনারের বিনিময়ে অথবা ধারে পনের দীনারের বিনিময়ে। তিনি উহাকে মাকরূহ মনে করলেন এবং এইরূপ করতে নিষেধ করলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি আর এক ব্যক্তি হতে পণ্য ক্রয় করেছে নগদ দশ দীনার মূল্যে কিংবা ধারে পনের দীনার মূল্যে, ক্রেতাকে দুই মূল্যের যেকোন একটি পরিশোধ করতে হবে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ এটা জায়েয হবে না। কারণ সে যদি দশ দীনার নগদ আদায় না করে তবে পনের দীনার ধারে রইল। [১] আর যদি নগদ দশ দীনার আদায় করল তবে সে যেন এই দশ দীনারের বিনিময়ে ধারে বিক্রয়ের পনর দীনারকে ক্রয় করল।মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তি হতে সামগ্রী ক্রয় করল নগদ এক দীনার মূল্যে, অথবা বাকী মূল্যে এক বকরীর বিনিময়ে যার গুণাগুণ খুলে বলা হয়েছে। সে ব্যক্তির উপর ক্রয় ওয়াজিব হয়েছে উভয় মূল্যের যে কোন এক মূল্যে। এটা মাকরূহ্ জায়েয নাই। কারণ রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক বিক্রয়ে দুই বিক্রয় ঢুকাতে নিষেধ করেছেন; উহা এক বিক্রয়ে দুই বিক্রয় ঢুকানোর অন্তর্ভুক্ত। [২]মালিক (রহঃ) বলেনঃ জনৈক ব্যক্তি সম্বন্ধে যে অপর এক ব্যক্তিকে বলল- আমি আপনার নিকট হতে এই ‘আজওয়া খেজুরের পনের সা’ কিংবা সায়হানীর দশ সা’ অথবা মাহমূলা’ [৩] গমের পনের সা’ অথবা সিরীয় গমের দশ সা’ এক দীনারের বিনিময়ে ক্রয় করলাম। বর্ণিত দুটি [৪] হতে একটি আমার প্রাপ্য হবে। এটা মাকরূহ, এটা হালাল হবে না। এক বিক্রয়ে দুই বিক্রয় ঢুকানো যে নিষিদ্ধ এই বিক্রয় উহারই সদৃশ। ইহা আরও সদৃশ সেই নিষিদ্ধ বেচাকেনার যাতে একই প্রকারের খাদ্যদ্রব্য একের বিনিময়ে দুটি বিক্রয় করা হয়।
[১] সে যেন পনের দীনারের বিনিময়ে নগদ দশ দীনার ক্রয় করে নিল। ইহা সুদ।[২] কাজেই এটা নিষিদ্ধ। [৩] মাহমূলা’-ধূসর বর্ণের দেশী দানার গম।[৪] প্রথম দৃষ্টান্তে দুই প্রকারের খেজুরের এক প্রকার খেজুর। অর্থাৎ আজওয়া এবং সায়হানী খেজুর। দ্বিতীয় দৃষ্টান্তে শামী গম ও মাহমূলা দুই প্রকারের গম হতে এক প্রকারের গম।