পরিচ্ছেদ ২৫ :
পশুকে পশুর বিনিময়ে বিক্রয় করা এবং উহাকে ধারে বিক্রয় করা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৩২৮
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৩২৮
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ شِهَابٍ عَنْ بَيْعِ الْحَيَوَانِ اثْنَيْنِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ فَقَالَ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ ২৪قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِالْجَمَلِ بِالْجَمَلِ مِثْلِهِ وَزِيَادَةِ دَرَاهِمَ يَدًا بِيَدٍ وَلَا بَأْسَ بِالْجَمَلِ بِالْجَمَلِ مِثْلِهِ وَزِيَادَةِ دَرَاهِمَ الْجَمَلُ بِالْجَمَلِ يَدًا بِيَدٍ وَالدَّرَاهِمُ إِلَى أَجَلٍ قَالَ وَلَا خَيْرَ فِي الْجَمَلِ بِالْجَمَلِ مِثْلِهِ وَزِيَادَةِ دَرَاهِمَ الدَّرَاهِمُ نَقْدًا وَالْجَمَلُ إِلَى أَجَلٍ وَإِنْ أَخَّرْتَ الْجَمَلَ وَالدَّرَاهِمَ لَا خَيْرَ فِي ذَلِكَ أَيْضًاقَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ يَبْتَاعَ الْبَعِيرَ النَّجِيبَ بِالْبَعِيرَيْنِ أَوْ بِالْأَبْعِرَةِ مِنْ الْحَمُولَةِ مِنْ مَاشِيَةِ الْإِبِلِ وَإِنْ كَانَتْ مِنْ نَعَمٍ وَاحِدَةٍ فَلَا بَأْسَ أَنْ يُشْتَرَى مِنْهَا اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ إِذَا اخْتَلَفَتْ فَبَانَ اخْتِلَافُهَا وَإِنْ أَشْبَهَ بَعْضُهَا بَعْضًا وَاخْتَلَفَتْ أَجْنَاسُهَا أَوْ لَمْ تَخْتَلِفْ فَلَا يُؤْخَذُ مِنْهَا اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍقَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ مَا كُرِهَ مِنْ ذَلِكَ أَنْ يُؤْخَذَ الْبَعِيرُ بِالْبَعِيرَيْنِ لَيْسَ بَيْنَهُمَا تَفَاضُلٌ فِي نَجَابَةٍ وَلَا رِحْلَةٍ فَإِذَا كَانَ هَذَا عَلَى مَا وَصَفْتُ لَكَ فَلَا يُشْتَرَى مِنْهُ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ وَلَا بَأْسَ أَنْ تَبِيعَ مَا اشْتَرَيْتَ مِنْهَا قَبْلَ أَنْ تَسْتَوْفِيَهُ مِنْ غَيْرِ الَّذِي اشْتَرَيْتَهُ مِنْهُ إِذَا انْتَقَدْتَ ثَمَنَهُقَالَ مَالِك وَمَنْ سَلَّفَ فِي شَيْءٍ مِنْ الْحَيَوَانِ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى فَوَصَفَهُ وَحَلَّاهُ وَنَقَدَ ثَمَنَهُ فَذَلِكَ جَائِزٌ وَهُوَ لَازِمٌ لِلْبَائِعِ وَالْمُبْتَاعِ عَلَى مَا وَصَفَا وَحَلَّيَا وَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ مِنْ عَمَلِ النَّاسِ الْجَائِزِ بَيْنَهُمْ وَالَّذِي لَمْ يَزَلْ عَلَيْهِ أَهْلُ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا.
মালিক (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
ইবনু শিহাব (রহঃ)-এর নিকট জিজ্ঞেস করলেন একটি পশুর বিনিময়ে দুটি পশু ধারে বিক্রয় করা সম্বন্ধে। তিনি বললেন, এতে কোন ক্ষতি নেই। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত মাসয়ালা এই যে, উটকে অনুরূপ উটের বিনিময়ে অতিরিক্ত কয়েক দিরহামসহ বিক্রয় করাতে কোন দোষ নেই নগদ আদান প্রদান হলে। আর উটকে অনুরূপ উটের বিনিময়ে কয়েক দিরহাম বাড়তিসহ বিক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। উটের বিনিময়ে উট নগদ এবং দিরহাম ধারে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ উট বিক্রয় করা অনুরূপ উটের বিনিময়ে অতিরিক্ত কতিপয় দিরহামসহঃ দিরহাম নগদ ও উট ধারে [বিক্রয়] এতে কোন মঙ্গল নেই। [অর্থাৎ উহা জায়েয নয়], আর যদি উট এবং দিরহাম উভয়ে ধারে বিক্রয় হয়, তবে এতেও মঙ্গল নাই। [অর্থাৎ এটাও জায়েয নয়]মালিক (রহঃ) বলেনঃ অভিজাত উট ছোট ভার বহনকারী দুই কিংবা কতিপয় উটের বিনিময়ে ক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। যদিও উভয় উট এক দল এক বংশের হয়। এদের দুই উটকে এক উটের বিনিময়ে ধারে ক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। যদি উভয়ে গুণাবলির দিক দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন হয় এবং তাদের পার্থক্য স্পষ্টত প্রকাশ পায়। পক্ষান্তরে তাদের একটি আর একটির সদৃশ হয়, কিন্তু জাত ভিন্ন হোক বা না হোক, তবে তাদের দুইটিকে একটির বিনিময়ে ধারে ক্রয় করা যাবে না।মালিক (রহঃ) বলেনঃ মাকরূহ ক্রয়ের দৃষ্টান্তের ব্যাখ্যা এই, দুই উটের বিনিময়ে এক উট গ্রহণ করা, অথচ এতদুভয়ের [অর্থাৎ দুই বিনিময়কৃত উটের] মধ্যে ভারবহন ক্ষমতা এবং আভিজাত্যে কোন পার্থক্য নেই। যদি ইহা এইরূপ [সমপর্যায়ের] হয় যেরূপ আমরা বর্ণনা করেছি তবে উহা হতে দুটিকে একটির বিনিময়ে ধারে ক্রয় করা যাবে না। উহা হতে যা ক্রয় করা হল তা হস্তগত করার পূর্বে বিক্রেতা ছাড়া অন্যের হাতে উহাকে বিক্রয় জায়েয আছে। যদি উহার [ক্রয়কৃত পশুর] মূল্য নগদ পরিশোধ করা হয়।মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন পশুকে মেয়াদে ক্রয় করলে, সেই পশুর গুণাগুণ ও আকৃতি খুলে বর্ণনা করা হলে এবং মূল্য নগদ পরিশোধ করা হলে তবে ইহা জায়েয হবে। এই বেচাকেনা বিক্রেতা এবং ক্রেতার পক্ষে তাদের উভয়ের বর্ণনা মুতাবিক [মানিয়া লওয়া] জরুরী হবে। এইরূপ বেচাকেনা লোকের মধ্যে বৈধ বেচাকেনা রূপে সর্বদা চলে এসেছে। আমাদের শহরের আহলে ‘ইলম [‘উলামা] সর্বদা এই মতের উপর স্থির রয়েছেন।