পরিচ্ছেদ ১৯ :
ঈনা [১] এবং উহার সদৃশ [২] অন্যান্য বেচাকেনা এবং খাদ্যদ্রব্যকে কব্জা করার পূর্বে বিক্রয় করা
[১] ‘ঈনা কোন বস্তু ধারে নির্দিষ্ট মূল্যে বিক্রয় করে পরে উহাকে কম মূল্যে নগদ ক্রয় করাকে ‘ঈনা বলা হয়।[২] যেসব বস্তু বিক্রেতার অধিকারে নেই সেইসব বস্তু বিক্রয় করে লাভের সন্ধান করা। প্রশাসকগণ নাগরিকদের জন্য খাদ্যশস্য কিংবা অন্যান্য দানের জন্য তমসুক লিখে দিতেন। তাকে আরবীতে صك বলা হয়, صكوك এর বহুবচন। সেই সময় খাদ্যশস্য বিতরণ করা হত জার নামক স্থান হতে। সেইখানে ছিল খাদ্যভাণ্ডার। জার মদীনা শরীফ হতে একদিন এক রাত্রির দূরত্বে অবস্থিত। স্থানটি সাগরপাড়ে অবস্থিত।
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৩১৩
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৩১৩
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ جَمِيلَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُؤَذِّنَ يَقُولُ لِسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ إِنِّي رَجُلٌ أَبْتَاعُ مِنْ الْأَرْزَاقِ الَّتِي تُعْطَى النَّاسُ بِالْجَارِ مَا شَاءَ اللهُ ثُمَّ أُرِيدُ أَنْ أَبِيعَ الطَّعَامَ الْمَضْمُونَ عَلَيَّ إِلَى أَجَلٍ فَقَالَ لَهُ سَعِيدٌ أَتُرِيدُ أَنْ تُوَفِّيَهُمْ مِنْ تِلْكَ الْأَرْزَاقِ الَّتِي ابْتَعْتَ فَقَالَ نَعَمْ فَنَهَاهُ عَنْ ذَلِكَ ২৩৬৩-قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيْهِ أَنَّهُ مَنْ اشْتَرَى طَعَامًا بُرًّا أَوْ شَعِيرًا أَوْ سُلْتًا أَوْ ذُرَةً أَوْ دُخْنًا أَوْ شَيْئًا مِنْ الْحُبُوبِ الْقِطْنِيَّةِ أَوْ شَيْئًا مِمَّا يُشْبِهُ الْقِطْنِيَّةَ مِمَّا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ أَوْ شَيْئًا مِنْ الْأُدُمِ كُلِّهَا الزَّيْتِ وَالسَّمْنِ وَالْعَسَلِ وَالْخَلِّ وَالْجُبْنِ وَالشِّيرِقِ وَاللَّبَنِ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ الْأُدْمِ فَإِنَّ الْمُبْتَاعَ لَا يَبِيعُ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ حَتَّى يَقْبِضَهُ وَيَسْتَوْفِيَهُ.
ইয়াহইয়া ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
জামিল ইবনু আবদির রহমান আল মুয়াযযিন (রহঃ)-কে সা’ঈদ ইবনু মুসায়্যাব (রহঃ)-এর নিকট বলতে শুনেছেন, জার নামক স্থান হতে লোকদের জন্য (চেক মারফত) যেসব রসদ বন্টন করা হয়ে থাকে, (লোকদের নিকট হতে) আমি সেসব খরিদ করে নেই। যেই পরিমাণ আল্লাহ তৌফিক দেন। অতঃপর যেসব খাদ্যশস্যের মূল্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা আমার জিম্মায় রয়েছে সেইরূপ খাদ্যশস্য আমি বিক্রয় করতে প্রয়াস পাই। সা’ঈদ তাকে বললেন- (জার হতে) যে রসদ ক্রয় করেছ তুমি ক্রেতাদের তা হতে দিতে চাও কি? তিনি বললেন- হ্যাঁ, সা’ঈদ তাকে এটা করতে বারণ করলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত যাতে কোন মতানৈক্য নাই তা এই, যে কোন খাদ্যশস্য খরিদ করে যেমন- গম, যব, সুরত [১], বাজরা, কংগনী [২], অথবা কলাই, মটর জাতীয় শস্য, কিংবা এগুলোর সদৃশ কোন শস্য যেগুলোর যাকাত দিতে হয়। অথবা ব্যঞ্জন জাতীয় যাবতীয় দ্রব্য-যেমন-যাইতুন তৈল, ঘি, মধু, সির্কা, পনির, দুধ, তিল, তৈল এবং এই জাতীয় এই সবের সদৃশ অন্যান্য ব্যঞ্জনা। ক্রেতা এইসব বস্তুকে কব্জা ও পূর্ণ দখলে আনার পূর্বে বিক্রয় করবে না।
[১] গম ও যবের মাঝামাঝি এক প্রকারের শস্য, কেউ কেউ তাকে মকাই বলে উল্লেখ করেছেন। কোন স্থানে তাকে “নাবিযব” বলা হয়।[২] সরু এক প্রকারের ছোট শস্য, হিন্দীতে বলা হয় কংগনী।