পরিচ্ছেদ ২ :
দাসের মাল প্রসঙ্গে যখন উহাকে বিক্রয় করা হয়
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১২৬৭
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১২৬৭
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ مَنْ بَاعَ عَبْدًا وَلَهُ مَالٌ فَمَالُهُ لِلْبَائِعِ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَهُ الْمُبْتَاعُ، ২২৬৫-قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ الْمُبْتَاعَ إِنْ اشْتَرَطَ مَالَ الْعَبْدِ فَهُوَ لَهُ نَقْدًا كَانَ أَوْ دَيْنًا أَوْ عَرْضًا يُعْلَمُ أَوْ لَا يُعْلَمُ وَإِنْ كَانَ لِلْعَبْدِ مِنْ الْمَالِ أَكْثَرُ مِمَّا اشْتَرَى بِهِ كَانَ ثَمَنُهُ نَقْدًا أَوْ دَيْنًا أَوْ عَرْضًا وَذَلِكَ أَنَّ مَالَ الْعَبْدِ لَيْسَ عَلَى سَيِّدِهِ فِيهِ زَكَاةٌ وَإِنْ كَانَتْ لِلْعَبْدِ جَارِيَةٌ اسْتَحَلَّ فَرْجَهَا بِمِلْكِهِ إِيَّاهَا وَإِنْ عَتَقَ الْعَبْدُ أَوْ كَاتَبَ تَبِعَهُ مَالُهُ وَإِنْ أَفْلَسَ أَخَذَ الْغُرَمَاءُ مَالَهُ وَلَمْ يُتَّبَعْ سَيِّدُهُ بِشَيْءٍ مِنْ دَيْنِهِ.
‘আবদুল্লাহ্ ইবন ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
‘উমার ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি দাসকে বিক্রয় করেছে, আর দাসের রয়েছে সম্পদ, তবে তার সম্পদ বিক্রেতার জন্য হবে। কিন্তু যদি ক্রেতা উহা শর্ত করে থাকে [তবে স্বতন্ত্র কথা-মাল ক্রেতা পাবে।] (বুখারী ২৩৭৯, মুসলিম ১৫৪৩)মালিক (রহঃ) বলেন, আমাদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এই, ক্রেতা যদি গোলামের মালের (নিজের জন্য) শর্ত করে থাকে তবে মাল তার হবে, মাল নগদ অর্থ হোক বা ঋণ হোক কিংবা সামগ্রী হোক, জ্ঞাত হোক বা অজ্ঞাত, যদি তাকে যে মূল্যে খরিদ করেছে উহার চাইতে বেশি মালও হয়, তার মূল্য নগদ আদায় করা হোক বা ধারে বিক্রয় অথবা আসবাবপত্রের বিনিময়ে। [সর্বাবস্থায় একই প্রকার হুকুম অর্থাৎ শর্ত করলে মাল ক্রেতা পাবে]। এটা এজন্য যে, দাসের মালের জন্য কর্তার উপর যাকাত ওয়াজিব হয় না। আর যদি গোলামের কোন ক্রীতদাসী থাকে যার সাথে সঙ্গম করেছে, উহার মালিক হওয়ার দরুন। আর যদি দাস কর্তৃক কোন গোলাম আযাদ করা হয়ে থাকে অথবা কোন গোলামকে মুকাতব করা হয়ে থাকে তবে উহার মাল তার জন্য থাকবে। আর যদি গোলাম কাঙ্গাল গরীব হয়ে যায় তবে ঋণদাতাগণ তার মাল কব্জা করবে, তার ঋণের জন্য কর্তাকে দায়ী করবে না।