পরিচ্ছেদ ৩৪
আযল [১] -এর বর্ণনা
[১] সহবাসের সময় বাহিরে বীর্যপাত করাকে ‘আযল’ বলা হয়। আযল সম্পর্কে সাহাবী এবং তাদের পরবর্তী আলেমদের মধ্যে বিভিন্ন মত রয়েছে। জাবির ইবনু আব্বাস, সা’দ ইবনু আবি ওয়াক্কাস, যায়দ ইবনু সাবিত, ইবনু মাসউদ (রা) প্রমুখ সাহাবী আযল বৈধ বলে মত পোষণ করেন। ইবনু মুসায়্যাব, তাউস, আতা, মালিক, শাফিঈ (র) প্রমুখ তাবেয়ী ও ইমাম আযলের অনুমতি দিয়েছেন বলে বর্ণিত হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রা) একে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন যদি কেউ আযল করেছে বলে আমি জানি তবে তাকে শাস্তি দিব। উমার (রা) তার কোন পুত্রকে আযল করার কারণে শাস্তি দিয়েছেন। উসমান (রা)-ও আযলকে পছন্দ করতেন না। আবূ উসামা (রা) বলেনঃ কোন মুসলমান আযল করে বলে আমি মনে করি না। আলী (রা) আযলকে পছন্দ করতেন না বলে বর্ণিত হয়েছে। প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস হাকিম ইবনু হাজর (র) বর্ণনা করেন যে, ইবনু হাযম (র) আযলকে হারাম জানতেন। কেননা হাদীস শরীফে একে গুপ্ত হত্যা বলা হয়েছে। হাদীসটি মুসলিম এ বর্ণিত হয়েছে। আযল নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ বর্ণনায় আলিমগণ বলেছেনঃ এতে স্ত্রীর হক নষ্ট করা হয় এবং বংশ বৃদ্ধি রোধ করা হয় অথচ রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বংশ বৃদ্ধির প্রতি উৎসাহিত করে বলেছেনঃ অধিক ভালবাসে এবং অধিক সন্তান জন্ম দেয় সেরূপ স্ত্রীকে বিবাহ কর। কারণ আমি আমার উম্মতের আধিক্যের উপর গর্ব করব। -আবূ দাঊদ - অন্য কারণ আযল করাতে তকদীরকে প্রতিরোধ করার চেষ্ট করা হয়। -আওজাযুল মাসালিকসহবাসের সময় বাহিরে বীর্যপাত করাকে ‘আযল’ বলা হয়। আযল সম্পর্কে সাহাবী এবং তাদের পরবর্তী আলেমদের মধ্যে বিভিন্ন মত রয়েছে। জাবির ইবনু আব্বাস, সা’দ ইবনু আবি ওয়াক্কাস, যায়দ ইবনু সাবিত, ইবনু মাসউদ (রা) প্রমুখ সাহাবী আযল বৈধ বলে মত পোষণ করেন। ইবনু মুসায়্যাব, তাউস, আতা, মালিক, শাফিঈ (র) প্রমুখ তাবেয়ী ও ইমাম আযলের অনুমতি দিয়েছেন বলে বর্ণিত হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রা) একে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন যদি কেউ আযল করেছে বলে আমি জানি তবে তাকে শাস্তি দিব। উমার (রা) তার কোন পুত্রকে আযল করার কারণে শাস্তি দিয়েছেন। উসমান (রা)-ও আযলকে পছন্দ করতেন না। আবূ উসামা (রা) বলেনঃ কোন মুসলমান আযল করে বলে আমি মনে করি না। আলী (রা) আযলকে পছন্দ করতেন না বলে বর্ণিত হয়েছে। প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস হাকিম ইবনু হাজর (র) বর্ণনা করেন যে, ইবনু হাযম (র) আযলকে হারাম জানতেন। কেননা হাদীস শরীফে একে গুপ্ত হত্যা বলা হয়েছে। হাদীসটি মুসলিম এ বর্ণিত হয়েছে। আযল নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ বর্ণনায় আলিমগণ বলেছেনঃ এতে স্ত্রীর হক নষ্ট করা হয় এবং বংশ বৃদ্ধি রোধ করা হয় অথচ রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বংশ বৃদ্ধির প্রতি উৎসাহিত করে বলেছেনঃ অধিক ভালবাসে এবং অধিক সন্তান জন্ম দেয় সেরূপ স্ত্রীকে বিবাহ কর। কারণ আমি আমার উম্মতের আধিক্যের উপর গর্ব করব। -আবূ দাঊদ - অন্য কারণ আযল করাতে তকদীরকে প্রতিরোধ করার চেষ্ট করা হয়। -আওজাযুল মাসালিক
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১২৩৯
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১২৩৯
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ حُمَيْدِ بْنِ قَيْسٍ الْمَكِّيِّ عَنْ رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ ذَفِيفٌ أَنَّهُ قَالَ سُئِلَ ابْنُ عَبَّاسٍ عَنْ الْعَزْلِ فَدَعَا جَارِيَةً لَهُ فَقَالَ أَخْبِرِيهِمْ فَكَأَنَّهَا اسْتَحْيَتْ فَقَالَ هُوَ ذَلِكَ أَمَّا أَنَا فَأَفْعَلُهُ يَعْنِي أَنَّهُ يَعْزِلُ ২২১২-قَالَ مَالِك لَا يَعْزِلُ الرَّجُلُ الْمَرْأَةَ الْحُرَّةَ إِلَّا بِإِذْنِهَا وَلَا بَأْسَ أَنْ يَعْزِلَ عَنْ أَمَتِهِ بِغَيْرِ إِذْنِهَا২২১৩-وَمَنْ كَانَتْ تَحْتَهُ أَمَةُ قَوْمٍ فَلَا يَعْزِلُ إِلَّا بِإِذْنِهِمْ.
যাঈফ (র) হতে বর্ণিতঃ
ইবনু আব্বাস (র)-কে প্রশ্ন করা হল আযল সম্পর্কে। তিনি তার জনৈকা দাসীকে ডেকে বললেন, এদেরকে বাতলিয়ে দাও। দাসী লজ্জাবোধ করল। ইবনু আব্বাস বললেন। ইহা তাই (অর্থাৎ আযল করা মুবাহ) আমিও তা করে থাকি অর্থাৎ তিনিও আযল করেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (র) বলেন : আযাদ স্ত্রীলোকের ব্যাপারে কোন ব্যক্তি তার অনুমতি ছাড়া উহার সাথে আযল করাতে কোন দোষ নেই, আর কোন ব্যক্তি কোন গোত্রের দাসীকে বিবাহ করলে তবে সেই গোত্রের লোকের অনুমতি ছাড়া সেই দাসীর সাথে আযল করবে না।