পরিচ্ছেদ ৬
স্ত্রীর সাথে মিলিত হবে না বলে শপথ করলে তার কি হুকুম
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১১৫৮
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১১৫৮
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ كَانَ يَقْضِي فِي الرَّجُلِ إِذَا آلَى مِنْ امْرَأَتِهِ أَنَّهَا إِذَا مَضَتْ الْأَرْبَعَةُ الْأَشْهُرِ فَهِيَ تَطْلِيقَةٌ وَلَهُ عَلَيْهَا الرَّجْعَةُ مَا دَامَتْ فِي عِدَّتِهَا قَالَ مَالِك وَعَلَى ذَلِكَ كَانَ رَأْيُ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يُولِي مِنْ امْرَأَتِهِ فَيُوقَفُ فَيُطَلِّقُ عِنْدَ انْقِضَاءِ الْأَرْبَعَةِ الْأَشْهُرِ ثُمَّ يُرَاجِعُ امْرَأَتَهُ أَنَّهُ إِنْ لَمْ يُصِبْهَا حَتَّى تَنْقَضِيَ عِدَّتُهَا فَلَا سَبِيلَ لَهُ إِلَيْهَا وَلَا رَجْعَةَ لَهُ عَلَيْهَا إِلَّا أَنْ يَكُونَ لَهُ عُذْرٌ مِنْ مَرَضٍ أَوْ سِجْنٍ أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ الْعُذْرِ فَإِنَّ ارْتِجَاعَهُ إِيَّاهَا ثَابِتٌ عَلَيْهَا فَإِنْ مَضَتْ عِدَّتُهَا ثُمَّ تَزَوَّجَهَا بَعْدَ ذَلِكَ فَإِنَّهُ إِنْ لَمْ يُصِبْهَا حَتَّى تَنْقَضِيَ الْأَرْبَعَةُ الْأَشْهُرِ وُقِفَ أَيْضًا فَإِنْ لَمْ يَفِئْ دَخَلَ عَلَيْهِ الطَّلَاقُ بِالْإِيلَاءِ الْأَوَّلِ إِذَا مَضَتْ الْأَرْبَعَةُ الْأَشْهُرِ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ عَلَيْهَا رَجْعَةٌ لِأَنَّهُ نَكَحَهَا ثُمَّ طَلَّقَهَا قَبْلَ أَنْ يَمَسَّهَا فَلَا عِدَّةَ لَهُ عَلَيْهَا وَلَا رَجْعَةَ.قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يُولِي مِنْ امْرَأَتِهِ فَيُوقَفُ بَعْدَ الْأَرْبَعَةِ الْأَشْهُرِ فَيُطَلِّقُ ثُمَّ يَرْتَجِعُ وَلَا يَمَسُّهَا فَتَنْقَضِي أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ قَبْلَ أَنْ تَنْقَضِيَ عِدَّتُهَا إِنَّهُ لَا يُوقَفُ وَلَا يَقَعُ عَلَيْهِ طَلَاقٌ وَإِنَّهُ إِنْ أَصَابَهَا قَبْلَ أَنْ تَنْقَضِيَ عِدَّتُهَا كَانَ أَحَقَّ بِهَا وَإِنْ مَضَتْ عِدَّتُهَا قَبْلَ أَنْ يُصِيبَهَا فَلَا سَبِيلَ لَهُ إِلَيْهَا وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ.قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يُولِي مِنْ امْرَأَتِهِ ثُمَّ يُطَلِّقُهَا فَتَنْقَضِي الْأَرْبَعَةُ الْأَشْهُرِ قَبْلَ انْقِضَاءِ عِدَّةِ الطَّلَاقِ قَالَ هُمَا تَطْلِيقَتَانِ إِنْ هُوَ وُقِفَ وَلَمْ يَفِئْ وَإِنْ مَضَتْ عِدَّةُ الطَّلَاقِ قَبْلَ الْأَرْبَعَةِ الْأَشْهُرِ فَلَيْسَ الْإِيلَاءُ بِطَلَاقٍ وَذَلِكَ أَنَّ الْأَرْبَعَةَ الْأَشْهُرِ الَّتِي كَانَتْ تُوقَفُ بَعْدَهَا مَضَتْ وَلَيْسَتْ لَهُ يَوْمَئِذٍ بِامْرَأَةٍ.قَالَ مَالِك وَمَنْ حَلَفَ أَنْ لَا يَطَأَ امْرَأَتَهُ يَوْمًا أَوْ شَهْرًا ثُمَّ مَكَثَ حَتَّى يَنْقَضِيَ أَكْثَرُ مِنْ الْأَرْبَعَةِ الْأَشْهُرِ فَلَا يَكُونُ ذَلِكَ إِيلَاءً وَإِنَّمَا يُوقَفُ فِي الْإِيلَاءِ مَنْ حَلَفَ عَلَى أَكْثَرَ مِنْ الْأَرْبَعَةِ الْأَشْهُرِ فَأَمَّا مَنْ حَلَفَ أَنْ لَا يَطَأَ امْرَأَتَهُ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ أَوْ أَدْنَى مِنْ ذَلِكَ فَلَا أَرَى عَلَيْهِ إِيلَاءً لِأَنَّهُ إِذَا دَخَلَ الْأَجَلُ الَّذِي يُوقَفُ عِنْدَهُ خَرَجَ مِنْ يَمِينِهِ وَلَمْ يَكُنْ عَلَيْهِ وَقْفٌ قَالَ مَالِك مَنْ حَلَفَ لِامْرَأَتِهِ أَنْ لَا يَطَأَهَا حَتَّى تَفْطِمَ وَلَدَهَا فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَكُونُ إِيلَاءً وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ سُئِلَ عَنْ ذَلِكَ فَلَمْ يَرَهُ إِيلَاءً.
মালিক (র) হতে বর্ণিতঃ
মারওয়ান ইবনু হাকাম (র) ফয়সালা দিতেন, যে ব্যক্তি স্ত্রীর সাথে ‘ঈলা’ করেছে, তবে চার মাস অতিবাহিত হলে তা এক তালাক বলে গণ্য হবে। ইদ্দতের ভিতর স্ত্রীর দিকে রুজূ করার ইখতিয়ার স্বামীর থাকবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (র) বলেন : ইবনু শিহাব (যুহরী)-এর অভিমতও অনুরূপ ছিল।মালিক (র) বলেন : স্ত্রীর সাথে কোন লোক ‘ঈলা’ করলে তাকে বাধ্য করা হবে। চার মাস অতিবাহিত হলে সে স্ত্রীকে তালাক দিবে। অতঃপর যে রুজু করবে, তবে সে ব্যক্তি স্ত্রীর সাথে মিলিত না হলে এবং এইরূপে ইদ্দত খতম হয়ে গেলে সে আর রুজু করতে পারবে না। হ্যাঁ, যদি তার কোন ওযর থাকে, (যেমন) বন্দী থাকা, রোগ বা অনুরূপ অন্য কোন ‘ওযর, তবে (মৌখিকভাবে) তা রুজূ গ্রহণযোগ্য হবে। আর যদি ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার পর সে পুনরায় সেই স্ত্রীকে বিবাহ করে তাবে যদি সে স্ত্রীর সাথে মিলিত না হয় এবং সেই অবস্থায় চার মাস অতিবাহিত হয় তবে তাকে বাধ্য করা হবে। সে স্ত্রীর দিকে প্রত্যাবর্তন না করলে প্রথম ‘ঈলা’-র দ্বারা স্ত্রীর উপর তালাক প্রযোজ্য হবে না। চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পর আর স্ত্রীর দিকে রুজূ‘ করার ক্ষমতাও তার থাকবে না। কারণ সে বিবাহ করেছে এবং সহবাসের পূর্বে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে, এরূপ অবস্থাতে ইদ্দতও নাই এবং রুজূ‘র অধিকারও থাকবে না। মালিক (র) বলেন : যে ব্যক্তি স্ত্রীর সাথে ‘ঈলা’ করেছে, চার মাসের পর সে ব্যক্তিকে বাধ্য করা হবে। সে তালাক প্রদান করবে অতঃপর রুজূ‘ করবে, কিন্তু (রুজূ‘করার পর) স্ত্রীর সাথে সঙ্গম না করলে তালাক প্রযোজ্য হবে না। আর যদি ইদ্দত শেষ হওয়ার পূর্বে স্ত্রীর সাথে মিলিত হয় তবে সে সেই স্ত্রীর (দিকে রুজূ‘করার) অধিক হকদার হবে। আর যদি মিলিত হওয়ার পূর্বে ইদ্দত শেষ হয়ে যায় তবে সেই স্ত্রীকে রাখার কোন ইখতিয়ার তার নেই। মালিক (র) বলেন, এটাই উত্তম, যা আমি এই বিষয়ে শুনেছি।মালিক (র) বলেন : যে ব্যক্তি স্ত্রীর সাথে ‘ঈলা’ করে, অতঃপর স্ত্রীকে তালাক প্রদান করে, তারপর তালাকের ইদ্দত শেষ হওয়ার পূর্বে চারমাস অতিবাহিত হয়, মালিক (র) বলেন : তখন যদি সে ঈলার উপর স্থির থাকে এবং প্রত্যাবর্তন না করে তবে এটা দুই তালাক বলে গণ্য হবে। আর যদি চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে তালাকের ইদ্দত খতম হয়ে যায়, তবে ‘ঈলা’ তালাক বলে গণ্য হবে না। কারণ, যে চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পর তাকে বাধ্য করা হতে সেই চারমাস (সময়) অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় সে আর তার স্ত্রী রইল না। মালিক (র) বলেন : যে ব্যক্তি একদিন অথবা একমাস স্ত্রীর সাথে বসবাস করবে না বলে হলফ করল, অতঃপর চার মাসের অধিক সময় এভাবে অতিবাহিত হল, তবে ইহা ঈলা বলে গণ্য হবে না। কারণ, চার মাসের অধিক সময় স্ত্রীর সাথে সহবাস করবে না বলে হলফ করাকে ঈলা গণ্য করা হয়। আর যে ব্যক্তি চারমাস অথবা ইহা হতে কম সময়ের জন্য হলফ করে আমি তাকে ঈলা বলে মনে করি না। কারণ, সে সময় অতিবাহিত হওয়ার পর, স্বামীকে বাধ্য করার নিয়ম রয়েছে তা অতিক্রম করার পূর্বে সে তার শপথ হতে বের হয়ে আসবে তখন তাকে আর বাধ্য করা যাবে না। মালিক (র) বলেন : বাচ্চার দুধ না ছাড়ান পর্যন্ত স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করবে বলে হলফ করলে তা ‘ঈলা’ বলে গণ্য হবে না। মালিক (র) বলেন : আমার নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, আলী ইবনু আবী তালীব (রা)-কে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি এটা ‘ঈলা’ নয় বলে মত প্রকাশ করেছেন।