পরিচ্ছেদ ২১
প্রয়োজনে এক করবে একাধিক লাশ দাফন করা এবং আবূ বক্র (রা) কর্তৃক রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ওয়াদাসমূহ পূরণ করা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১০০০
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১০০০
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَمْرَو بْنَ الْجَمُوحِ وَعَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرٍو الْأَنْصَارِيَّيْنِ ثُمَّ السَّلَمِيَّيْنِ كَانَا قَدْ حَفَرَ السَّيْلُ قَبْرَهُمَا وَكَانَ قَبْرُهُمَا مِمَّا يَلِي السَّيْلَ وَكَانَا فِي قَبْرٍ وَاحِدٍ وَهُمَا مِمَّنْ اسْتُشْهِدَ يَوْمَ أُحُدٍ فَحُفِرَ عَنْهُمَا لِيُغَيَّرَا مِنْ مَكَانِهِمَا فَوُجِدَا لَمْ يَتَغَيَّرَا كَأَنَّهُمَا مَاتَا بِالْأَمْسِ وَكَانَ أَحَدُهُمَا قَدْ جُرِحَ فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى جُرْحِهِ فَدُفِنَ وَهُوَ كَذَلِكَ فَأُمِيطَتْ يَدُهُ عَنْ جُرْحِهِ ثُمَّ أُرْسِلَتْ فَرَجَعَتْ كَمَا كَانَتْ وَكَانَ بَيْنَ أُحُدٍ وَبَيْنَ يَوْمَ حُفِرَ عَنْهُمَا سِتٌّ وَأَرْبَعُونَ سَنَةً ১৭قَالَ مَالِك لَا بَأْسَ أَنْ يُدْفَنَ الرَّجُلَانِ وَالثَّلَاثَةُ فِي قَبْرٍ وَاحِدٍ مِنْ ضَرُورَةٍ وَيُجْعَلَ الْأَكْبَرُ مِمَّا يَلِي الْقِبْلَةَ.
আবদুর রহমান ইবনু আবূ সা’সা’আ (রা) হতে বর্ণিতঃ
আমর ইবনু জামুহ (রা) এবং ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আমর (রা) দু’জনেই ছিলেন আনসার ও বনী সালমা গোত্রের। তাঁরা উহুদের যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন। তাঁদের দুজনকে একটি কবরে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। পানি নামার ঢালের মুখে তাঁদের কবর পড়ে গিয়েছিল। তাই পানির স্রোত ক্রমে তাঁদের কবর বিনষ্ট করে ফেলেছিল। তাঁদের লাশ স্থানান্তরিত করার উদ্দেশ্যে পরে তাঁদের কবর খোঁড়ান হলে দেখা গেল তাঁদের লাশ সম্পূর্ণ অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে। মনে হচ্ছিল কালকেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের একজন আহত হওয়ার সময় ক্ষত স্থানে হাত চেপে ধরেছিলেন। দাফন করার সময় তাঁর হাতটা সরিয়ে দিলে হাতটি আবার সেই স্থানেই এসে লেগে যায়। উহুদ যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার ছিচল্লিশ বৎসর পর তাঁদের লাশ স্থানান্তরিত করার সময় এই ঘটনা ঘটেছিল। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (র) বলেন, প্রয়োজনবশত এক কবরে একাধিক লাশ দাফন করলে কোন দোষ নেই। তবে এদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে কিবলার দিকে শোয়াবে।