১০/১২৩. অধ্যায়ঃ
রুকূ‘তে দু‘আ ।
সহিহ বুখারী : ৭৯৪
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৭৯৪
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي رُكُوعِهِ وَسُجُودِهِ " سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ".
‘আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকূ‘ ও সিজদায় এ দু‘আ পড়তেন- ‘سُبحاَنَكَ اللَّهُمَّ رَبّاَناَ وَبِحَمدِكَ اللَهُمَّ إِغفِرليِ’ “হে আমাদের রব আল্লাহ্! আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি এবং আপনার প্রশংসা করছি। হে আল্লাহ্! আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন”।[১]
[১] আধুনিক প্রকাশনীর ৭৫০ নম্বর হাদীসের টীকায় লিখা হয়েছে- “রুকূ‘ ও সিজদায় এ দু‘আ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইসলামের প্রথম দিকে পড়তেন। তখন রুকূ‘তে সুবহানা রব্বিয়াল ‘আযীম ও সিজদায় সুবহানা রব্বিয়াল আ’লা পড়ার নির্দেশ হয়নি। পড়ে এ দু‘টি দু‘আ নাযিল হলে এবং তা পড়বার আদেশ হলে পূর্বে উল্লেখিত দু‘আ মানসূখ বা বাতিল হয়ে যায় ।” এটি একেবারেই মনগড়া ও হাদীস বিরোধী কথা যার কোন দলীল নেই। ইমাম ইব্নু কাইয়্যিম যাদুল মা‘আদে এবং নাসিরুদ্দিন আলবানী স্বীয় সিফাত গ্রন্থে রুকু‘ ও সিজদার দু‘আর অর্থের পর লিখেছেনঃ “তিনি কুরআনের উপর ‘আমল করতঃ রুকূ‘ ও সিজদাতে এ দু‘আটি বেশি বেশি করে পড়তেন ।”(বুখারী হাদিস নং ৮১৭) আর এ সূরাটি নাযিল হয়েছে আল্লাহর রসূলের ইন্তিকালের অল্প কিছুদিন পূর্বে। সূরা নাসর হচ্ছে সর্বশেষ নাযিলকৃত সূরা। তাই উক্ত টীকার দাবী সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অজ্ঞতাপূর্ণ ।