৯৭/৪৬. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ্র বাণীঃ হে রসুল! তোমার প্রতিপালকের নিকট থেকে যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার কর, যদি না কর তাহলে তুমি তাঁর বার্তা পৌছানোর দায়িত্ব পালন করলে না। (সূরা আল-মায়িদাহ ৫/৬৭)
যুহ্রী (রহঃ) বলেন, আল্লাহ্র পক্ষ থেকে হচ্ছে বার্তা পাঠানো আর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দায়িত্ব হলো পৌছে দেয়া (মানুষের কাছে) আর আমাদের দায়িত্ব হলো মেনে নেয়া। আল্লাহ্ বলেনঃ রসূলগণ তাঁদের প্রতিপালকের বাণী পৌছে দিয়েছেন কিনা তা জানার জন্য- (সূরা জ্বিন ৭২/২৮)। তিনি আরো বলেনঃ আমি তোমাদের কাছে আল্লাহ্র বার্তাসমূহ পৌছে দিচ্ছি। কাব ইব্নু মালিক (রাঃ) যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে (তাবূক যুদ্ধ) থেকে পিছনে রয়ে গেলেন, তখন আল্লাহ্ বলেনঃ আল্লাহ্ তো তোমাদের কাজকর্ম দেখবেন এবং তাঁর রসূল ও মু‘মিনগণও- (সূরা আত্ তাওবাহ ৯/১০৫)। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, কারো ভালো কাজে তোমাকে আনন্দিত করলে বলো, ‘আমাল কর, তোমার এ ‘আমাল আল্লাহ্, আল্লাহ্র রসূল, সমস্ত মু‘মিন দেখবেন। আর তোমাকে কেউ যেন বিচলিত করতে না পারে।মা‘মার (রহঃ) বলেন, (---) এর অর্থ এ কুরআন, (---) -এর অর্থ বর্ণনা করা ও পথ দেখানো। আল্লাহ্র এ বাণীর মত (---) এর অর্থ এটি আল্লাহ্র হুকুম। (---) এর অর্থ এতে কোন সন্দেহ নেই। (---)(---) অর্থাৎ এগুলো কুরআনের নিদর্শন। এর দৃষ্টান্ত আল্লাহ্রই বাণীঃ যখন তোমরা নৌকায় অবস্থান করো আর চলতে থাকে সেগুলো তাদের নিয়ে। এখানে (---) এর অর্থ (---) অর্থাৎ তোমাদের নিয়ে। আনাস (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মামা হারমকে তাঁর কাওমের কাছে পাঠালেন। তিনি সেখানে গিয়ে বললেন, তোমরা আমাকে বিশ্বাস কর কি? আমি আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি। এই বলে তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলতে লাগলেন
সহিহ বুখারী : ৭৫৩২
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৭৫৩২
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُرَحْبِيلَ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللهِ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللهِ أَيُّ الذَّنْبِ أَكْبَرُ عِنْدَ اللهِ قَالَ أَنْ تَدْعُوَ لِلَّهِ نِدًّا وَهُوَ خَلَقَكَ قَالَ ثُمَّ أَيْ قَالَ ثُمَّ أَنْ تَقْتُلَ وَلَدَكَ مَخَافَةَ أَنْ يَطْعَمَ مَعَكَ قَالَ ثُمَّ أَيْ قَالَ أَنْ تُزَانِيَ حَلِيلَةَ جَارِكَ فَأَنْزَلَ اللهُ تَصْدِيقَهَا وَالَّذِينَ {لاَ يَدْعُونَ مَعَ اللهِ إِلَهًا آخَرَ وَلاَ يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ وَلاَ يَزْنُونَ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ يَلْقَ أَثَامًا يُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ} الْآيَةَ
আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক লোক বলল, হে আল্লাহ্র রসূল! আল্লাহ্র কাছে কোন্ গুনাহ্টি সব চেয়ে বড়? তিনি বললেনঃ আল্লাহ্র বিপরীতে কাউকে ডাকা অথচ তিনিই (আল্লাহ্) তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। সে বলল, এরপর কোন্টি? তিনি বললেনঃ এরপর তোমার সঙ্গে আহার করবে এ ভয়ে (তোমার) সন্তানকে হত্যা করা। সে বলল, এরপর কোনটি? তিনি বললেনঃ এরপর তোমাদের প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে যিনা করা। এরই সমর্থনে আল্লাহ্ নাযিল করলেনঃ তারা আল্লাহ্র সাথে অন্য কোন ইলাহ্কে ডাকে না। আর যথার্থতা ব্যতীত কোন প্রাণ হত্যা করে না যা আল্লাহ্ নিষিদ্ধ করেছেন আর তারা ব্যভিচার করে না। আর যে এগুলো করে সে শাস্তির সাক্ষাৎ লাভ করবে। তার শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে ........... (সূরাহ আল-ফুরক্বান ২৫/৬৮)। [৪৪৭৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০২৪)