৯৭/৪২. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ্র বাণীঃ তিনি সর্বক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত- (সূরা আর রহমান ৫৫/২৯)।
যখনই তাদের কাছে দয়াময়ের নিকট হতে কোন নতুন নাসীহত আসে- (সূরা আশ্ শু‘আরা ২৬/৫)। হয়ত আল্লাহ্ এরপর কোন উপায় করে দেবেন- (সূরা আত্ ত্বালাক ৬৫/১)। এভাবেই তিনি তোমাদের বংশধারা বিস্তৃত করেন, কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়, তিনি সব শোনেন, সব দেখেন। (সূরা আশ্ শু‘আরা ৪২/১১)।ইব্নু মাস‘উদ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন, আল্লাহ্ তা‘আলা নতুন কিছু নির্দেশ দানের ইচ্ছা করলে তা করেন। এ নতুন নির্দেশের মধ্যে এটিও যে, তোমরা সলাতের মধ্যে কথা বলো না।
সহিহ বুখারী : ৭৫২৩
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৭৫২৩
أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ قَالَ يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ كَيْفَ تَسْأَلُونَ أَهْلَ الْكِتَابِ عَنْ شَيْءٍ وَكِتَابُكُمْ الَّذِي أَنْزَلَ اللهُ عَلَى نَبِيِّكُمْ صلى الله عليه وسلم أَحْدَثُ الأَخْبَارِ بِاللهِ مَحْضًا لَمْ يُشَبْ وَقَدْ حَدَّثَكُمْ اللهُ أَنَّ أَهْلَ الْكِتَابِ قَدْ بَدَّلُوا مِنْ كُتُبِ اللهِ وَغَيَّرُوا فَكَتَبُوا بِأَيْدِيهِمْ الْكُتُبَ قَالُوا هُوَ مِنْ عِنْدِ اللهِ لِيَشْتَرُوا بِذَلِكَ ثَمَنًا قَلِيلاً أَوَلاَ يَنْهَاكُمْ مَا جَاءَكُمْ مِنْ الْعِلْمِ عَنْ مَسْأَلَتِهِمْ فَلاَ وَاللهِ مَا رَأَيْنَا رَجُلاً مِنْهُمْ يَسْأَلُكُمْ عَنْ الَّذِي أُنْزِلَ عَلَيْكُمْ
আবদুল্লাহ ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হে মুসলিম সমাজ! তোমরা কী করে আহলে কিতাবদেরকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞেস কর? অথচ তোমাদের যে কিতাব যেটি আল্লাহ্ তোমাদের নবীর ওপর নাযিল করেছেন, তা আল্লাহ্র কিতাবগুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা উপযোগী। যা সনাতন ও নির্ভেজাল। অথচ আল্লাহ্ তোমাদেরকে বলে দিয়েছেন, আহলে কিতাবগণ আল্লাহ্র কিতাবগুলোকে বদলে ফেলেছে, পাল্টে দিয়েছে এবং এরা নিজ হাতে লিখে দাবি করছে এগুলো আল্লাহ্র পক্ষ থেকে অবতীর্ণ। এর দ্বারা তারা তুচ্ছ সুবিধা লুটতে চায়। তোমাদের কাছে যে ইল্ম আছে, তা কি তোমাদেরকে তাদের কাছে কিছু জিজ্ঞেস করা থেকে বাধা দিচ্ছে না? আল্লাহ্র শপথ! তাদের কাউকে তোমাদের ওপর নাযিলকৃত বিষয় সম্পর্কে কখনো জিজ্ঞেস করতে আমি দেখি না। (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০১৫)