৯৭/৪০. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র বাণীঃ সুতরাং জেনে শুনে কাউকেও আল্লাহ্‌র সমকক্ষ দাঁড় করো না। (সূরা আল-বাক্বারাহ ২/২২)

এবং তোমরা তাঁর সমকক্ষ দাঁড় করতে চাও? তিনি তো জগতসমূহের প্রতিপালক- (সূরা আল-বাক্বারাহ ২/৯)। এবং তারা আল্লাহ্‌র সঙ্গে কোন ইলাহ্‌কে ডাকে না- (সূরা আল-ফুরক্বান ২৫/৬৮)। কিন্তু তোমার কাছে আর তোমাদের পূর্ববর্তীদের কাছে ওয়াহী করা হয়েছে যে, তুমি যদি (আল্লাহ্‌র) শরীক স্থির কর, তাহলে তোমার কর্ম অবশ্য অবশ্যই নিষ্ফল হয়ে যাবে, আর তুমি অবশ্য অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে। না, বরং আল্লাহ্‌র ‘ইবাদাত কর, আর শুক্‌রগুজারদের অন্তর্ভূক্ত হও। (সূরা আয্ যুমার ৩৯/৬৫-৬৬)।এ আয়াতের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে ইক্‌রিমাহ (রহঃ) বলেন, তাদের অধিকাংশ আল্লাহ্‌তে বিশ্বাস করে, কিন্তু তাঁর শরীক করে- (সূরা ইউছুফ ১২/১০৬)। যদি তাদেরকে তুমি জিজ্ঞেস কর, আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছে কে ? তারা বলবে, আল্লাহ! এটিই তাদের বিশ্বাস। অথচ তারা আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যের ‘ইবাদাত করছে। বান্দার কর্ম ও অর্জন সবই সৃষ্টির অন্তর্ভূক্ত। কারণ আল্লাহ্ ইরশাদ করেছেন। (---)(---) তিনি সমস্ত কিছু যথার্য পরিমাণে সৃষ্টি করেছেন যথাযথ অনুপাতে- (সূরা আল-ফুরক্বান ২৫/২)।মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, আমি ফেরেশ্‌তাগণকে পাঠাই না হক ব্যতীত ...... (সূরা হিজর ১৫/৮)। এখানে ‘হক’ শব্দের অর্থ রিসালাত ও আযাব। সত্যবাদীদের তাদের সত্যবাদিতা সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করার জন্য- (সূরা আল-আহযাব ৩৩/৮)। এখানে (---) শব্দের অর্থ মানুষের কাছে যেসব রসূল আল্লাহ্‌র বাণী পৌছান। এবং আমিই এর সংরক্ষক- (সুরাহ হিজর ১৫/৯)। আমাদের কাছে আছে এর সংরক্ষণকারিগণ। (---) যারা সত্য এনেছে- (সূরা আয্‌ যুমার ৩৯/৩৩)। এখানে (---) এর অর্থ কুরআন, (---) এর অর্থ ঈমানদার। ক্বিয়ামাতের দিন ঈমানদার বলবে, আপনি আমাকে যা দিয়েছিলেন, আমি সে মোতাবেক ‘আমাল করেছি।

সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৭৫২০

قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُرَحْبِيلَ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَيُّ الذَّنْبِ أَعْظَمُ عِنْدَ اللهِ قَالَ أَنْ تَجْعَلَ لِلَّهِ نِدًّا وَهُوَ خَلَقَكَ قُلْتُ إِنَّ ذَلِكَ لَعَظِيمٌ قُلْتُ ثُمَّ أَيُّ قَالَ ثُمَّ أَنْ تَقْتُلَ وَلَدَكَ تَخَافُ أَنْ يَطْعَمَ مَعَكَ قُلْتُ ثُمَّ أَيُّ قَالَ ثُمَّ أَنْ تُزَانِيَ بِحَلِيلَةِ جَارِكَ

আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহর কাছে কোন গুনাহ্টি সবচেয়ে বড়? তিনি বললেনঃ আল্লাহর সঙ্গে শারীক করা। অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। আমি বললাম, এটি অবশ্যই বড় গুনাহ্। এরপর কোন্টি? তিনি বললেনঃ তোমার সন্তান তোমার সঙ্গে খাবে এ ভয়ে তাকে হত্যা করা। আমি বললাম, এরপর কোন্টি? তিনি বললেন, এরপর তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে যিনা করা। [৪৪৭৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০১২)

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন