৯৩/৩৭. অধ্যায়ঃ

যারা লিখে দেয় তারা হবে বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান।

সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৭১৯১

مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ أَبُو ثَابِتٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ السَّبَّاقِ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ بَعَثَ إِلَيَّ أَبُو بَكْرٍ لِمَقْتَلِ أَهْلِ الْيَمَامَةِ وَعِنْدَهُ عُمَرُ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ إِنَّ عُمَرَ أَتَانِي فَقَالَ إِنَّ الْقَتْلَ قَدْ اسْتَحَرَّ يَوْمَ الْيَمَامَةِ بِقُرَّاءِ الْقُرْآنِ وَإِنِّي أَخْشَى أَنْ يَسْتَحِرَّ الْقَتْلُ بِقُرَّاءِ الْقُرْآنِ فِي الْمَوَاطِنِ كُلِّهَا فَيَذْهَبَ قُرْآنٌ كَثِيرٌ وَإِنِّي أَرَى أَنْ تَأْمُرَ بِجَمْعِ الْقُرْآنِ قُلْتُ كَيْفَ أَفْعَلُ شَيْئًا لَمْ يَفْعَلْهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ عُمَرُ هُوَ وَاللهِ خَيْرٌ فَلَمْ يَزَلْ عُمَرُ يُرَاجِعُنِي فِي ذَلِكَ حَتَّى شَرَحَ اللهُ صَدْرِي لِلَّذِي شَرَحَ لَهُ صَدْرَ عُمَرَ وَرَأَيْتُ فِي ذَلِكَ الَّذِي رَأَى عُمَرُ قَالَ زَيْدٌ قَالَ أَبُو بَكْرٍ وَإِنَّكَ رَجُلٌ شَابٌّ عَاقِلٌ لاَ نَتَّهِمُكَ قَدْ كُنْتَ تَكْتُبُ الْوَحْيَ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَتَتَبَّعْ الْقُرْآنَ فَاجْمَعْهُ قَالَ زَيْدٌ فَوَاللهِ لَوْ كَلَّفَنِي نَقْلَ جَبَلٍ مِنْ الْجِبَالِ مَا كَانَ بِأَثْقَلَ عَلَيَّ مِمَّا كَلَّفَنِي مِنْ جَمْعِ الْقُرْآنِ قُلْتُ كَيْفَ تَفْعَلاَنِ شَيْئًا لَمْ يَفْعَلْهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَبُو بَكْرٍ هُوَ وَاللهِ خَيْرٌ فَلَمْ يَزَلْ يَحُثُّ مُرَاجَعَتِي حَتَّى شَرَحَ اللهُ صَدْرِي لِلَّذِي شَرَحَ اللهُ لَهُ صَدْرَ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَرَأَيْتُ فِي ذَلِكَ الَّذِي رَأَيَا فَتَتَبَّعْتُ الْقُرْآنَ أَجْمَعُهُ مِنْ الْعُسُبِ وَالرِّقَاعِ وَاللِّخَافِ وَصُدُورِ الرِّجَالِ فَوَجَدْتُ فِي آخِرِ سُورَةِ التَّوْبَةِ {لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ} إِلَى آخِرِهَا مَعَ خُزَيْمَةَ أَوْ أَبِي خُزَيْمَةَ فَأَلْحَقْتُهَا فِي سُورَتِهَا وَكَانَتْ الصُّحُفُ عِنْدَ أَبِي بَكْرٍ حَيَاتَهُ حَتَّى تَوَفَّاهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ ثُمَّ عِنْدَ عُمَرَ حَيَاتَهُ حَتَّى تَوَفَّاهُ اللهُ ثُمَّ عِنْدَ حَفْصَةَ بِنْتِ عُمَرَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ اللِّخَافُ يَعْنِي الْخَزَفَ.

যায়দ ইব্‌নু সাবিত (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইয়ামামার যুদ্ধে শহীদদের কারণে আবূ বকর (রাঃ) আমার নিকট লোক পাঠালেন তখন তাঁর কাছে ‘উমার (রাঃ)-ও উপস্থিত ছিলেন। আবূ বকর (রাঃ) বললেন, ‘উমার (রাঃ) আমার কাছে এসে বলেছেন যে, কুরআনের বহু হাফিয ইয়ামামার যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। এজন্য আমার ভয় হচ্ছে যে, আরো অনেক জায়গায় যদি কুরআনের হাফিযগণ এমন ব্যাপক হারে শহীদ হন তাহলে কুরআনের বহু অংশ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। সুতরাং আমি মনে করি যে, আপনি কুরআন সংকলনের আদেশ দিন। আমি বললাম, কী করে আমি এমন কাজ করব যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেন নি। ‘উমার (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! এটা একটা উত্তম কাজ। ‘উমার (রাঃ) আমাকে এ বিষয়ে বারবার বলছিলেন। এক পর্যায়ে আল্লাহ্ তা‘আলা আমার অন্তর খুলে দিলেন। যে বিষয়ে তিনি ‘উমার (রাঃ)-এর অন্তর খুলে দিয়েছিলেন এবং আমিও এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করলাম যা ‘উমার (রাঃ) পোষণ করেছিলেন। যায়দ (রাঃ) বলেন যে, এরপর আবূ বকর (রাঃ) বললেন, তুমি একজন বুদ্ধিমান যুবক, তোমার সম্পর্কে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। তুমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওয়াহী লিখতে। কাজেই তুমি কুরআন খোঁজ কর এবং তা একত্রিত কর। যায়দ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! কুরআন খোঁজ করে একত্রিত করার নির্দেশ না দিয়ে যদি আমাকে পাহাড়গুলোর একটিকে স্থানান্তর করার দায়িত্ব অর্পণ করতো, তাও আমার জন্য ভারী মনে হত না। আমি বললাম, কী করে আপনারা দু’জন এমন একটি কাজ করবেন, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেন নি । আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! এটি একটি উত্তম কাজ। আমি আমার কথা বার বার বলতে থাকলাম। এক পর্যায়ে আল্লাহ্ তা‘আলা আমার অন্তর খুলে দিলেন, যে বিষয়ে আবূ বকর (রাঃ) ও ‘উমার (রাঃ)-এর অন্তর খুলে দিয়েছিলেন। এবং তাঁরা দু’জন যা ভাল মনে করলেন আমিও তা ভাল মনে করলাম। কাজেই আমি কুরআন খোঁজ করতে শুরু করলাম। খেজুরের ডাল, পাতলা চামড়ার টুক্রা, সাদা পাথর ও মানুষের অন্তর থেকে আমি কুরআনকে জমা করলাম। সূরা তাওবার শেষ অংশ لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ তোমাদের মধ্য থেকেই তোমাদের নিকট একজন রাসূল এসেছেন.....(সূরাহ আত্-তাওবাহ ৯/১২৮) থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত এ অংশটুকু খুযাইমাহ কিংবা আবূ খুযাইমাহর কাছে পেলাম। আমি তা সূরার সঙ্গে জুড়ে দিলাম। কুরআনের এ সংকলিত সহীফাগুলো আবূ বকরের জীবনকাল পর্যন্ত তাঁর কাছে ছিল। অতঃপর আল্লাহ্ তা‘আলা তাকে ওফাত দিলেন। পরে ‘উমারের জীবনকাল পর্যন্ত তাঁর নিকট ছিল। অতঃপর আল্লাহ তার ওফাত দিলেন, অতঃপর হাফসাহ বিন্ত ‘উমার (রাঃ)-এর কাছে ছিল। মুহাম্মাদ ইবনু ‘উবাইদুল্লাহ্ বলেন, হাদীসে ব্যবহৃত اللِّخَفُ অর্থ হল চাড়ি (মাটির বড় গামলা)। [২৮০৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭০১)

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন