৯২/২৭. অধ্যায়ঃ
দাজ্জাল মদীনাহয় প্রবেশ করবে না ।
সহিহ বুখারী : ৭১৩৩
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৭১৩৩
عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْمُجْمِرِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَنْقَابِ الْمَدِينَةِ مَلاَئِكَةٌ لاَ يَدْخُلُهَا الطَّاعُونُ وَلاَ الدَّجَّالُ.
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাদীনার প্রবেশপথগুলোতে ফেরেশ্তা নিযুক্ত আছেন। কাজেই সেখানে প্লেগ ও দাজ্জাল প্রবেশ করবে না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৪৮)
[১] হাদীসটিতে মাদীনার ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। মাদীনার আরোও ফযীলত হচ্ছে :১. রসূলুল্লাহ (সাঃ) মক্কা থেকে মাদীনায় হিজরত করার পূর্বে মাদীনার নাম ছিল ইয়াসরিব। ফলে রসূল (সাঃ) সেখানে হিজরত করার কারণে তার নামকরণ করা হয়েছে মাদীনাতুল রাসূল বা মাদীনাতুন নববী।২. সেখানে রসূলের হিজরত হবার কারণে মাদীনার আরেকটি নাম হলো দারুল হিজরাহ।৩. রসূল (সাঃ) এর নামকরণ করেন ত্বায়্যিবাহ, ত্বীবা ইত্যাদী নামে।৪. ইবরাহীম u যেমন মাক্কার জন্য দু‘আ করেছিলেন তেমনি রসূল (সাঃ)ও মাদীনার বরকতের জন্য দু‘আ করেছিলেন। যথা : اللهم اجعل في المدينة ضعفي ما مكة من البركة (বুখারী ও মুসলিম) (ফাতহুল বারী)৫. মাদীনাহ ঈমানের অবস্থানস্থল ও ঠিকানা। দ্বীন এখান থেকেই প্রসারিত হয়েছিল আবার এখানে ফিরে আসবে। নাবী (সাঃ) বলেন, إن الإيمان ليأرز إلى المدينة كما تأرز الحية إلى جحرها (বুখারী ও মুসলিম)৬. রসূল (সাঃ) মাদীনাবাসীদের জন্য বরকতের দু‘আ করেন যথা : اللهم بارك لأهل المدينة।