৮৬/২২. অধ্যায়ঃ

পাগল ও পাগলী কে পাথর মেরে হত্যা করা যাবে না। [১০৫] ‘আলী (রাঃ) ‘উমার (রাঃ) – কে বললেন, আপনি কি জানেন না যে, পাগল থেকে জ্ঞান ফিরে না আসা পর্যন্ত, বালক থেকে সাবালক না হওয়া পর্যন্ত, ঘুমন্ত লোক না জাগা পর্যন্ত কলম তুলে নেয়া হয়েছে?

[১০৫] তারা যদি পাগল অবস্থায় ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তবে রজম করা যাবে না। এ ব্যাপারে ইমামদের মাঝে কোনো মতভেদ নেই। পক্ষান্তরে সুস্থ অবস্থায় যদি ব্যাভিচারে লিপ্ত হয়, অতঃপর পাগলামি পরিদৃষ্ট হয়, তাহলে সুস্থ হয়ে ওঠা পর্যন্ত রজম করা বিলম্ব করতে হবে কি না এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। জামহুর ওলামার মতে রজমের উদ্দেশই হল বিনাশ করা। ফলে এ বিলম্ব করার কোন অর্থই হয় না। অন্যদিকে আবার বেত্রাঘাতের ব্যাপারটি ভিন্ন। কারণ এর উদ্দেশ্য হল কষ্ট যন্ত্রণা দেয়া। সুতরাং তা কার্যকর করার জন্য সুস্থ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। (ফাতহুল বারী)

সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৬৮১৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ أَتَى رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ فِي الْمَسْجِدِ فَنَادَاهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي زَنَيْتُ‏.‏ فَأَعْرَضَ عَنْهُ، حَتَّى رَدَّدَ عَلَيْهِ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ، فَلَمَّا شَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ، دَعَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ أَبِكَ جُنُونٌ ‏"‏‏.‏ قَالَ لاَ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَهَلْ أَحْصَنْتَ ‏"‏‏.‏ قَالَ نَعَمْ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اذْهَبُوا بِهِ فَارْجُمُوهُ ‏"‏‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর কাছে এল। তিনি তখন মাসজিদে ছিলেন। সে তাঁকে ডেকে বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি যিনা করেছি। তিনি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এভাবে কথাটি সে চারবার বলল। যখন সে নিজের বিরুদ্ধে চারবার সাক্ষ্য দিল তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার মধ্যে কি পাগলামীর দোষ আছে? সে বলল, না। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি কি বিবাহিত? সে বলল, হ্যাঁ। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তাকে নিয়ে যাও আর পাথর মেরে হত্যা কর। [১০৬](আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৫৯)

[১০৬] হাদীসটি হতে জানা যায়ঃ(১) একজন মুসলিম ব্যক্তির জীবন শেষ করার ব্যপারে দৃঢ়ীকরণ।(২) মাসজিদের অভ্যন্তরে ইমামের নিকট খারাপ কাজের স্বীকারোক্তির বৈধতা এবং প্রয়োজনে বিভিন্ন অশ্লীল কথা যা মুখে উচ্চারণ করা লজ্জাকর তার বর্ণনা দেয়া।(৩) ঊচ্চ আওয়াজে বয়োজ্যেষ্ঠের আহবান করা।(৪) হাদ্দ কায়েমের জন্য কোন (আরবী) বা সম্ভাব্য বিষয়ের স্বীকারকারীকে পরিত্যাগ করা। কারণ সে যা বর্ণনা করবে তা সম্ভবত হাদ্দকে আবশ্যক করবে না অথবা সে ফিরে আসবে।(৫) যে ব্যাক্তি কোন গুনাহের কাজ করে লজ্জিত হবে তার দ্রুতগতিতে তাওবা করা মুস্তাহাব। তা কাউকে না জানানো।(৬) গুনাহের কাজ সম্পাদনকারী যদি তার গুনাহের কথা কাউকে জানায় তাহলে শ্রবণকারীর জন্য মুস্তাহাব পন্থা হল যে, সে তাকে তাওবা করতে বলবে এবং ব্যাপারটি গোপন রাখবে।(৭) হাদীসে উল্লেখিত (আরবী) বাহ্যিক ভাষ্য থেকে চারবার যেনার স্বীকারোক্তির পুনরাবৃত্তি করা শর্ত – এর প্রমাণ গ্রহণ করা হয়েছে।(৮) হাদ্দ কায়েমের জন্য নেতার অন্যকে দায়িত্ব প্রদান করা জায়েয।(৯) উক্ত হাদীস দ্বারা প্রমান পেশ করা হয়েছে যে, রজম করার জন্য গর্ত খনন করা শর্ত নয়।(১০) মাতালের স্বীকারোক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। (ফাতহুল বারী)

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন