৯/২৭. অধ্যায়ঃ

ফজরের সময়।

সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৫৭৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، أَخْبَرَتْهُ قَالَتْ، كُنَّ نِسَاءُ الْمُؤْمِنَاتِ يَشْهَدْنَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْفَجْرِ مُتَلَفِّعَاتٍ بِمُرُوطِهِنَّ، ثُمَّ يَنْقَلِبْنَ إِلَى بُيُوتِهِنَّ حِينَ يَقْضِينَ الصَّلاَةَ، لاَ يَعْرِفُهُنَّ أَحَدٌ مِنَ الْغَلَسِ‏.‏

‘আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন; মুসলিম মহিলাগণ সর্বাঙ্গ চাদরে ঢেকে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে ফজরের জামা’আতে হাযির হতেন। অতঃপর সালাত আদায় করে তারা নিজ নিজ ঘরে ফিরে যেতেন। আবছা আঁধারে কেউ তাঁদের চিনতে পারতো না। [১]

[১]এ হাদীস দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, আমাদের দেশে অধিকাংশ মসজিদে যে সময় ফজরের সালাত আদায় করা হয় তা আদৌ এ হাদীস অনুযায়ী ‘আমল করা হয় না। কারণ ফজরের সালাত এমন অবস্থায় শেষ করা হয় যে, নিকট হতে তো দূরের কথা অনেক দূর থেকেও একে অন্যকে চিনতে পারে। শুধু তা-ই নয়। লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, রমযানের দিনগুলোতে যে সময় ফজরের আযান দেয়া হয় তার থেকে রমযান শুরুর পূর্বদিন ও ঈদুল ফিতরের দিন থেকে তার অনেক পরে আযান দেয়া হয়। অথচ একদিনে সময়ের ব্যবধান এত হতে পারে না। যদি কেউ নফল সওমের জন্য রমযানের সময়ের বাইরে দেয়া আযান পর্যন্ত সাহারী খেতে থাকেন তাহলে তার সাওম আদৌ হবে কি? কারণ উক্ত আযানের সময় সাহারীর শেষ সময়ও পার হয়ে যায়। দলিলহীনভাবে এ রকম না করে উচিত ছিল সর্বদা রমযানের ন্যায়ই অন্য সময়ও আযান দেয়া যেন আযানের পূর্ব পর্যন্ত সাহারী খেলে সাহারীর সময় থাকে। শুধু তাই নয় বরং শুধুমাত্র রমযান মাসেই তারা আউয়াল ওয়াক্তে ফজরের সালাত আদায় করে থাকেন।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন