৬৮/৭. অধ্যায়ঃ

যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলল- “তুমি আমার জন্য হারাম।”

হাসান (রহঃ) বলেন, তবে তা তার নিয়্যাত অনুযায়ী হবে। ‘আলিমগণ বলেন, যদি কেউ তার স্ত্রীকে তিন ত্বলাক্ব দেয়, তবে সে স্ত্রী তার জন্য হারাম হয়ে যাবে। তাঁরা এটাকে হারাম নামে আখ্যায়িত করেছেন, যা ত্বলাক্ব বা বিচ্ছেদ দ্বারা সম্পন্ন হয়। তবে এ হারাম করাটা তেমন নয়, যেমন কেউ খাদ্যকে হারাম ঘোষণা করল; কেননা হালাল খাদ্যকে হারাম বলা যায়না। কিন্তু ত্বলাক্বপ্রাপ্তাকে হারাম বলা যায়। আবার তিন ত্বলাক্বপ্রাপ্তা সম্বন্ধে বলেছেন, সে (স্ত্রী) অন্য স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ব্যতীত প্রথম স্বামীর জন্য বৈধ হবে না।

সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৫২৬৫

مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ طَلَّقَ رَجُلٌ امْرَأَتَه“ فَتَزَوَّجَتْ زَوْجًا غَيْرَه“ فَطَلَّقَهَا وَكَانَتْ مَعَه“ مِثْلُ الْهُدْبَةِ فَلَمْ تَصِلْ مِنْه“ إِلٰى شَيْءٍ تُرِيدُه“ فَلَمْ يَلْبَثْ أَنْ طَلَّقَهَا فَأَتَتْ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ زَوْجِي طَلَّقَنِي وَإِنِّي تَزَوَّجْتُ زَوْجًا غَيْرَه“ فَدَخَلَ بِي وَلَمْ يَكُنْ مَعَه“ إِلاَّ مِثْلُ الْهُدْبَةِ فَلَمْ يَقْرَبْنِي إِلاَّ هَنَةً وَاحِدَةً لَمْ يَصِلْ مِنِّي إِلٰى شَيْءٍ فَأَحِلُّ لِزَوْجِي الأَوَّلِ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ تَحِلِّينَ لِزَوْجِكِ الأَوَّلِ حَتّٰى يَذُوقَ الآخَرُ عُسَيْلَتَكِ وَتَذُوقِي عُسَيْلَتَهُ.

আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ত্বলাক্ব দিলে সে (স্ত্রী) অন্য স্বামীকে বিবাহ করে। পরে সেও তাকে ত্বলাক্ব দেয়। তার লিঙ্গ ছিল কাপড়ের কিনারা সদৃশ। সুতরাং মহিলা তার থেকে নিজের মনকামনা পূর্ণ করতে পারল না। দ্বিতীয় স্বামী অবিলম্বে ত্বলাক্ব দিলে সে (মহিলা) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার প্রথম স্বামী আমাকে ত্বলাক্ব দিলে আমি অন্য স্বামীর সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হই। এরপর সে আমার সঙ্গে সঙ্গত হয়। কিন্তু তার সঙ্গে কাপড়ের কিনারা সদৃশ বৈ কিছুই নেই। তাই সে একবারের অধিক আমার নিকটস্থ হল না এবং আপন মনস্কামনা সিদ্ধ করতে সক্ষম হল না। এরূপ অবস্থায় আমি আমার প্রথম স্বামীর জন্য বৈধ হব কি? রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি ততক্ষণ পর্যন্ত তোমার প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে না, যতক্ষণ না দ্বিতীয় স্বামী তোমার কিছু স্বাদ উপভোগ করে, আর তুমিও তার কিছু স্বাদ আস্বাদন কর।( আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৪)

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন