৬৮/৭. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলল- “তুমি আমার জন্য হারাম।”
হাসান (রহঃ) বলেন, তবে তা তার নিয়্যাত অনুযায়ী হবে। ‘আলিমগণ বলেন, যদি কেউ তার স্ত্রীকে তিন ত্বলাক্ব দেয়, তবে সে স্ত্রী তার জন্য হারাম হয়ে যাবে। তাঁরা এটাকে হারাম নামে আখ্যায়িত করেছেন, যা ত্বলাক্ব বা বিচ্ছেদ দ্বারা সম্পন্ন হয়। তবে এ হারাম করাটা তেমন নয়, যেমন কেউ খাদ্যকে হারাম ঘোষণা করল; কেননা হালাল খাদ্যকে হারাম বলা যায়না। কিন্তু ত্বলাক্বপ্রাপ্তাকে হারাম বলা যায়। আবার তিন ত্বলাক্বপ্রাপ্তা সম্বন্ধে বলেছেন, সে (স্ত্রী) অন্য স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ব্যতীত প্রথম স্বামীর জন্য বৈধ হবে না।
সহিহ বুখারী : ৫২৬৪
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৫২৬৪
وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي نَافِعٌ قَالَ كَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا سُئِلَ عَمَّنْ طَلَّقَ ثَلاَثًا قَالَ لَوْ طَلَّقْتَ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ فَإِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَنِي بِهٰذَا فَإِنْ طَلَّقْتَهَا ثَلاَثًا حَرُمَتْ حَتّٰى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَكَ.
লায়স (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
লায়স (রহঃ) নাফি‘ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ইব্নু ‘উমার (রাঃ)- কে তিন ত্বলাক্ব প্রদানকারী সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলতেনঃ যদি তুমি একবার বা দু‘বার দিতে! কেননা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে এরূপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই স্ত্রীকে তিন ত্বলাক্ব দিলে সে হারাম হয়ে যাবে, যতক্ষণ না সে (স্ত্রী) তোমাকে ছাড়া অন্য স্বামীকে বিয়ে করে।(আধুনিক প্রকাশনী- অনুচ্ছেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- অনুচ্ছেদ)