৬৭/২২. অধ্যায়ঃ
যারা বলে দু’বছরের পরে দুধপান করালে দুধের সম্পর্ক স্থাপন হবে না।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, “যে ব্যক্তি দুধপান কাল পূর্ণ করাতে ইচ্ছুক তার জন্য মায়েরা নিজেদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দু’ বৎসরকাল স্তন্য দান করবে।” – (সূরাহ আল-বাক্বারাহ ২/২৩৩)কম-অধিক যে পরিমাণ দুধ পান করলে বৈবাহিক সম্পর্ক হারাম হয়।
সহিহ বুখারী : ৫১০২
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৫১০২
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَشْعَثِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَيْهَا وَعِنْدَهَا رَجُلٌ، فَكَأَنَّهُ تَغَيَّرَ وَجْهُهُ، كَأَنَّهُ كَرِهَ ذَلِكَ فَقَالَتْ إِنَّهُ أَخِي. فَقَالَ " انْظُرْنَ مَا إِخْوَانُكُنَّ، فَإِنَّمَا الرَّضَاعَةُ مِنَ الْمَجَاعَةِ ".
‘আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কাছে এলেন। সে সময় এক লোক তার কাছে বসা ছিল। এরপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর চেহারায় ক্রোধের ভাব প্রকাশ পেল, যেন তিনি এ ব্যাপারে অসন্তুষ্ট হয়েছেন। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, এ আমার ভাই। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যাচাই করে দেখ, তোমাদের ভাই কারা? কেননা দুধের সম্পর্ক কেবল তখনই কার্যকরী হবে যখন দুধই হল শিশুর প্রধান খাদ্য। [১২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৭২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৩১)
[১২] সন্তানের দু’বছর বয়সের মধ্যে যদি দুধপান ক’রে থাকে, তবে দুধের সম্পর্ক হবে, নইলে হবে না।