৬৫/৭৪/১.অধ্যায়ঃ

পরিচ্ছেদ নাই।

73) سُوْرَةُ الْمُزَّمِّلِসূরাহ (৭৩) : আল-মুযযাম্মিলوَقَالَ مُجَاهِدٌ {وَتَبَتَّلْ} أَخْلِصْ وَقَالَ الْحَسَنُ {أَنْكَالًا} قُيُوْدًا مُنْفَطِرٌ بِهِ {مُثْقَلَةٌبِهٰ} وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ {كَثِيْبًامَّهِيْلًا} الرَّمْلُ السَّائِلُ {وَبِيْلًا} شَدِيْدًا.মুজাহিদ (রহ.) বলেন, وَتَبَتَّلْ একনিষ্ঠভাবে মগ্ন হওয়া। হাসান (রহ.) বলেন, أَنْكَالًا শৃঙ্খল। مُثْقَلَةٌبِهٰ ভারে অবনত। ইবনু ‘আববাস (রাঃ) বলেন, كَثِيْبًامَّهِيْلًا বহমান বালুকারাশি। وَبِيْلًا কঠিন।74) سُوْرَةُ الْمُدَّثِّرِসূরাহ (৭৪) : আল-মুদদাসসিরقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ {عَسِيْرٌ} شَدِيْدٌ {قَسْوَرَةٌ} رِكْزُ النَّاسِ وَأَصْوَاتُهُمْ وَكُلُّ شَدِيْدٍ قَسْوَرَةٌ وَقَالَ أَبُوْ هُرَيْرَةَ الْقَسْوَرَةُ قَسْوَرٌ الْأَسَدُ الرِّكْزُ الصَّوْتُ {مُسْتَنْفِرَةٌ} نَافِرَةٌ مَذْعُوْرَةٌ.ইবনু ‘আববাস (রাঃ) বলেন, عَسِيْرٌ কঠিন। قَسْوَرَةٌ মানুষের কোলাহল, আওয়াজ। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, قَسْوَرَةٌবাঘ। প্রত্যেক কঠিন বস্তুকে الْقَسْوَرَةُ বলা হয়। مُسْتَنْفِرَةٌ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পলায়নপর।

সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৪৯২২

يَحْيَى حَدَّثَنَا وَكِيْعٌ عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْمُبَارَكِ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِيْ كَثِيْرٍ سَأَلْتُ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَوَّلِ مَا نَزَلَ مِنَ الْقُرْآنِ قَالَ {يٰٓأَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ} قُلْتُ يَقُوْلُوْنَ {اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِيْ خَلَقَ} فَقَالَ أَبُوْ سَلَمَةَ سَأَلْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ ذَلِكَ وَقُلْتُ لَهُ مِثْلَ الَّذِيْ قُلْتَ فَقَالَ جَابِرٌ لَا أُحَدِّثُكَ إِلَّا مَا حَدَّثَنَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ جَاوَرْتُ بِحِرَاءٍ فَلَمَّا قَضَيْتُ جِوَارِيْ هَبَطْتُ فَنُوْدِيْتُ فَنَظَرْتُ عَنْ يَمِيْنِيْ فَلَمْ أَرَ شَيْئًا وَنَظَرْتُ عَنْ شِمَالِيْ فَلَمْ أَرَ شَيْئًا وَنَظَرْتُ أَمَامِيْ فَلَمْ أَرَ شَيْئًا وَنَظَرْتُ خَلْفِيْ فَلَمْ أَرَ شَيْئًا فَرَفَعْتُ رَأْسِيْ فَرَأَيْتُ شَيْئًا فَأَتَيْتُ خَدِيْجَةَ فَقُلْتُ دَثِّرُوْنِيْ وَصُبُّوْا عَلَيَّ مَاءً بَارِدًا قَالَ فَدَثَّرُوْنِيْ وَصَبُّوْا عَلَيَّ مَاءً بَارِدًا قَالَ فَنَزَلَتْ{يٰٓأَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ قُمْ فَأَنْذِرْ وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ}.

ইয়াহ্ইয়াহ ইব্‌নু কাসীর (রহ.) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ সালামাহ ইব্‌নু আবদুর রহমান (রহ.)-কে কুরআন মাজীদের কোন্ আয়াতটি সর্বপ্রথম অবতীর্ণ হয়েছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ প্রথম অবতীর্ণ হয়েছে। আমি বললাম, লোকেরা তো বলে اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ প্রথম অবতীর্ণ হয়েছে। তখন আবূ সালামাহ বললেন, আমি এ বিষয়ে জাবির ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেছিলাম এবং তুমি যা বললে আমিও তাকে হুবহু তাই বলেছিলাম। জবাবে জাবির (রাঃ) বলেছিলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে যা বলেছিলেন, আমিও হুবহু তাই বলব। তিনি বলেছেন, আমি হেরা গুহায় ই’তিকাফ করতে লাগলাম। আমার ই’তিকাফ শেষ হলে আমি সেখান থেকে নামলাম। তখন আমাকে আওয়াজ দেয়া হল। আমি ডানে তাকালাম; কিন্তু কিছু দেখতে পেলাম না, বামে তাকালাম, কিন্তু এদিকেও কিছু দেখলাম না। এরপর সামনে তাকালাম, এদিকেও কিছু দেখলাম না। এরপর পেছনে তাকালাম, কিন্তু এদিওক আমি কিছু দেখলাম না। শেষে আমি উপরের দিকে তাকালাম, এবার একটা বস্তু দেখতে পেলাম। এরপর আমি খাদীজা (রাঃ)-এর কাছে এলাম এবং তাকে বললাম, আমাকে বস্ত্রাচ্ছাদিত কর এবং আমার শরীরে ঠাণ্ডা পানি ঢাল। তিনি বলেন, তারপর তারা আমাকে বস্ত্রাচ্ছাদিত করে এবং ঠাণ্ডা পানি ঢালে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, এরপর অবতীর্ণ হল ঃ ‘হে বস্ত্রাচ্ছাদিত! উঠ, সতর্কবাণী প্রচার কর এবং তোমার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। [৪] (আ.প্র. ৪৫৫৩, ই.ফা. ৪৫৫৭)

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন