৬৫/৩৩/৮.অধ্যায়ঃ
আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ
হে মু’মিনগণ! তোমরা খাওয়ার জন্য খাবার প্রস্তুতির অপেক্ষা না করে নাবীর ঘরে তোমাদেরকে অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত প্রবেশ করবে না; তবে তোমাদেরকে ডাকা হলে তোমরা প্রবেশ করবে এবং খাওয়া শেষ হলে নিজেরাই চলে যাবে, কথাবার্তায় মাশগুল হয়ে পড়বে না। তোমাদের এ আচরণ অবশ্যই নাবীকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদেরকে উঠিয়ে দিতে সংকোচ বোধ করেন। কিন্তু আল্লাহ সত্য বলতে সংকোচবোধ করেন না। তোমরা যখন তাঁর পত্নীদের নিকট হতে কোন কিছু চাইবে, তখন পর্দার অন্তরাল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র উপায়। আল্লাহর রসূলকে কষ্ট দেয়া এবং তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পত্নীদেরকে বিবাহ করা তোমাদের কারও পক্ষে কখনও বৈধ নয়। এটা আল্লাহর কাছে সাংঘাতিক অপরাধ। (সূরাহ আহযাব ৩৩/৫৩)يُقَالُ {إِنَاهُ} إِدْرَاكُهُ أَنَى يَأْنِيْ أَنَاةً فَهُوَ آنٍ {لَعَلَّ السَّاعَةَ تَكُوْنُ قَرِيْبًا} إِذَا وَصَفْتَ صِفَةَ الْمُؤَنَّثِ قُلْتَ قَرِيْبَةً وَإِذَا جَعَلْتَهُ ظَرْفًا وَبَدَلًا وَلَمْ تُرِدْ الصِّفَةَ نَزَعْتَ الْهَاءَ مِنَ الْمُؤَنَّثِ وَكَذَلِكَ لَفْظُهَا فِي الْوَاحِدِ وَالِاثْنَيْنِ وَالْجَمِيْعِ لِلذَّكَرِ وَالْأُنْثَى.বলা হয় إِنَاهُ খাদ্য পরিপাক হওয়া। এটা أَنَى يَأْنِيْ أَنَاةًথেকে গঠিত। لَعَلَّ السَّاعَةَ تَكُوْنُ قَرِيْبًا সম্ভবত ক্বিয়ামাত অতি নিকটবর্তী। যদি তুমি স্ত্রী লিঙ্গ হিসেবে ব্যবহার কর, তবে قَرِيْبَةً বলবে। আর যদি الصِّفَةَ না ধর ظَرْفًا বা بَدَلًا হিসেবে ব্যবহার কর তবে ‘তা’ নিয়ে যুক্ত করবে না। তেমনি এ শব্দটি একবচন, দ্বি-বচন, বহুবচন এবং নারী-পুরুষ সকল ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়।
সহিহ বুখারী : ৪৭৯৫
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৪৭৯৫
زَكَرِيَّاءُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا أَبُوْ أُسَامَةَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ خَرَجَتْ سَوْدَةُ بَعْدَمَا ضُرِبَ الْحِجَابُ لِحَاجَتِهَا وَكَانَتْ امْرَأَةً جَسِيْمَةً لَا تَخْفَى عَلَى مَنْ يَعْرِفُهَا فَرَآهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ يَا سَوْدَةُ أَمَا وَاللهِ مَا تَخْفَيْنَ عَلَيْنَا فَانْظُرِيْ كَيْفَ تَخْرُجِيْنَ قَالَتْ فَانْكَفَأَتْ رَاجِعَةً وَرَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ بَيْتِيْ وَإِنَّهُ لَيَتَعَشَّى وَفِيْ يَدِهِ عَرْقٌ فَدَخَلَتْ فَقَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنِّيْ خَرَجْتُ لِبَعْضِ حَاجَتِيْ فَقَالَ لِيْ عُمَرُ كَذَا وَكَذَا قَالَتْ فَأَوْحَى اللهُ إِلَيْهِ ثُمَّ رُفِعَ عَنْهُ وَإِنَّ الْعَرْقَ فِيْ يَدِهِ مَا وَضَعَهُ فَقَالَ إِنَّهُ قَدْ أُذِنَ لَكُنَّ أَنْ تَخْرُجْنَ لِحَاجَتِكُنَّ.
‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, পর্দার বিধান নাযিল হওয়ার পর সাওদাহ প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বাইরে গেলেন। সাওদাহ এমন স্থূল শরীরের অধিকারিণী ছিলেন যে, পরিচিত লোকদের থেকে তিনি নিজেকে গোপন রাখতে পারতেন না। ‘উমার ইব্নু খাত্তাব (রাঃ) তাঁকে দেখে বললেন, হে সাওদাহ! জেনে রাখ, আল্লাহ্র কসম! আমাদের নযর থেকে গোপন থাকতে পারবে না। এখন দেখ তো, কীভাবে বাইরে যাবে? ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, সাওদাহ (রাঃ) ফিরে আসলেন। আর এ সময় রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমার ঘরে রাতের খানা খাচ্ছিলেন। তাঁর হাতে ছিল টুকরা হাড়। সাওদাহ (রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আমি প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বাইরে গিয়েছিলাম। তখন ‘উমার (রাঃ) আমাকে এমন এমন কথা বলেছে। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, এ সময় আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর নিকট ওয়াহী অবতীর্ণ করেন। ওয়াহী অবতীর্ণ হওয়া শেষ হল, হাড় টুকরা তখনও তাঁর হাতেই ছিল, তিনি তা রেখে দেননি। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, অবশ্য দরকার হলে তোমাদেরকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। [১৪৬; মুসলিম ৩৯/৭, হাঃ ২১৭০, আহমাদ ২৪৩৪৪] (আ.প্র. ৪৪৩০, ই.ফা. ৪৪৩২)