৬৫/৩৩/৪.অধ্যায়ঃ
পরিচ্ছেদ নাই।
يٰٓأَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِّأَزْوَاجِكَ إِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ الْحَيٰوةَ الدُّنْيَا وَزِيْنَتَهَا فَتَعَالَيْنَ أُمَتِّعْكُنَّ وَأُسَرِّحْكُنَّ سَرَاحًا جَمِيْلًا‘‘হে নাবী! আপনার পত্নীগণকে বলুন, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার বিলাসিতা কামনা কর, তবে এসো, আমি তোমাদের ভোগের ব্যবস্থা করে দেই এবং উত্তম পন্থায় তোমাদেরকে বিদায় দেই।’’ (সূরাহ আহযাব ৩৩/২৮)وَقَالَ مَعْمَرٌ {التَّبَرُّجُ} أَنْ تُخْرِجَ مَحَاسِنَهَا {سُنَّةَاللهِ} اسْتَنَّهَا جَعَلَهَا.التَّبَرُّجُ আপন সৌন্দর্য প্রকাশ করা। سُنَّةَ اللهِ যে নীতি আল্লাহ্ নির্ধারণ করেছেন।
সহিহ বুখারী : ৪৭৮৫
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৪৭৮৫
দুঃখিত! আরবী অংশ এখনো সংযুক্ত করা হয়নি।
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সহধর্মিণী ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর কাছে এলেন, যখন আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর সহধর্মিণীগণকে দু’টি পন্থার মধ্যে একটি পন্থা বেছে নেয়ার নির্দেশ দিলেন, তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সর্বপ্রথম আমা হতে শুরু করলেন এবং বললেন, আমি তোমার কাছে একটি কথা উল্লেখ করছি। তাড়াহুড়ো না করে তোমার পিতা-মাতার সঙ্গে পরামর্শ করে উত্তর দেবে। তিনি এ কথা ভালভাবেই জানতেন যে, আমার আব্বা-আম্মা তাঁর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরামর্শ কখনও দিবেন না। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, তিনি [রসূলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)] বললেন, আল্লাহ্ বলছেন, “হে নাবী! আপনি আপনার স্ত্রীদের বলুন, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার ভূষণ কামনা কর.....। তখন আমি তাঁকে বললাম, এ ব্যাপারে আমার আব্বা-আম্মা থেকে পরামর্শ নেবার কী আছে? আমি তো আল্লাহ্ তাঁর রসূল এবং আখিরাতের জীবনই কামনা করি। [৪৭৮৬; মুসলিম ১৮/৪, হাঃ ১৪৭৫] (আ.প্র. ৪৪২১, ই.ফা. ৪৪২৩)
[১] খায়বারের যুদ্ধের পর রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণ তাদের ভরণ-পোষণে অর্থ বৃদ্ধির অনুরোধ জানান। এ বিষয়ের প্রতি এখানে ইঙ্গিত করা হয়েছে।